ফুটবল গোল কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
343 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

 

ফুটবল গোল কেন?

মূলত দুটি কারণে ফুটবল গোল। একটি বায়ুগতিবিদ্যা বা অ্যারোডাইনামিকস এবং দ্বিতীয়টি খেলার গতি ও ফুটবল শটের লক্ষ্য নিশ্চিত করা। গোলাকার হওয়ায় সজোরে শট মারার পর ফুটবলের ওপর বায়ুর বাধা সবচেয়ে কম হয়। তা ছাড়া বাতাসের গতিবেগ ও দিক হিসাবে নিয়ে কায়দা করে কিক মেরে ফুটবলে এমন একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি করা যায়, যার ফলে বলটি প্রায় উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে হঠাৎ গোলপোস্টে ঢুকে পড়ে। গোলকিপার হতভম্ব হয়ে যান। গোলই তো ফুটবলের প্রাণ। অ্যারোডাইনামিকসের সুফল এটা। দ্বিতীয়ত, গতিই হলো ফুটবলের মূল আকর্ষণ। এক গোলপোস্ট থেকে গোলকিপার শট মারলেন, সেটা প্রায় অপর প্রান্তের গোলপোস্টের কাছে চলে গেল। মাঠের সব খেলোয়াড় ছুটছেন তার পেছনে। প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে ড্রপ খাওয়ার পরই চৌকস স্ট্রাইকার সেটা পায়ে পায়ে ক্যারি করে নিয়ে গেলেন একেবারে গোলপোস্টের কাছে। গ্যালারিতে প্রবল উত্তেজনা। এই বুঝি গোল হলো! এখন ফুটবলটি যদি গোলাকার না হয়ে ত্রিভুজাকার বা চৌকোনা হয়। তাহলে কি মাটিতে ড্রপ খাওয়ার পর সেই ফুটবল আর সামনে এগিয়ে যেত পারবে? নাকি শট মারার পর ফুটবল কোন দিকে ছুটবে, সেটা কেউ বলতে পারবে? তিনি হয়তো মারলেন গোলপোস্ট লক্ষ্য করে, আর ফুটবল চলে গেল বাঁ পাশের কর্নার পয়েন্টে! এর চেয়ে হতাশাজনক অবস্থা আর কী হতে পারে! ফুটবল গোলাকার বলেই এমন উদ্ভট পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। খেলোয়াড় ফুটবল অনায়াসে মাঠে গড়িয়ে নিয়ে যান। ড্রিবল করেন। প্রতিপক্ষকে ঘোল খাওয়ান। তারপর গোল! দর্শকেরাও এই গতির সঙ্গে প্রবল উত্তেজনা অনুভব করেন। প্রায় একই ধরনের কারণে শুধু ফুটবল নয়, ক্রিকেট, হকি, টেনিস, বাস্কেটবল, পিংপং সব খেলার বলই গোলাকার। তবে রাগবি বল একটু লম্বাটে গোল। এর মূল কারণ, এই খেলায় বলটি প্রধানত হাতে ধরে দৌড়ে মাঠ পার হতে হয়। এ জন্য নারকেলের আকারের গোল বল উপযুক্ত।

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
যদি গোল না হতো, তাহলে বিশ্বকাপ ফুটবলে কৃতী খেলোয়াড়েরা দূর থেকে ফ্রি-কিক নিয়ে গোলকিপারকে বোকা বানাতে পারতেন না। যাঁরা এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলাগুলো রাত জেগে দেখবেন, তাঁরা শুধু লক্ষ রাখবেন দূর থেকে নেওয়া ফ্রি-কিকের দিকে। রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা দুর্ভেদ্য দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় সেই দেয়ালের ডান পাশ ঘেঁষে জোরে শট নিলেন। বলটা বাধা ডিঙিয়ে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে ঠিক গোলপোস্টের ভেতর চলে যাচ্ছে। অথচ শুরুতে বলের গতিমুখ যেদিকে ছিল, তাতে গোল হওয়ার কথা নয়, বলটা গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যাওয়াই স্বাভাবিক। গোলকিপার হতবাক! এ রকম দৃশ্য প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক খেলায় দেখা যায়, এবারের বিশ্বকাপেও দেখা যাবে। বাতাসের গতি, ফুটবলের গতি এবং বিশেষভাবে এর ঘূর্ণনগতির (স্পিন) ওপর নির্ভর করে, শট নেওয়া ফুটবলটি কতটা বাঁকা পথে যাবে। এখানে বায়ু-গতিবিদ্যা (অ্যারো ডায়নামিকস) কাজ করে। কৌশলটি হলো, ফুটবলের এক পাশ ঘেঁষে এমনভাবে লাথি মারা, যেন সেটা বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে উল্লম্বভাবে (সমকোণে) কল্পিত অক্ষরেখার চারপাশে ঘূর্ণনগতি সৃষ্টি করে। ফুটবল গোল বলে এভাবে হিসাব করে শট নেওয়া সম্ভব। এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। ঘূর্ণায়মান বুলেট বা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া শেল কেন বাঁকা পথে যায়—এ ব্যাপারে জার্মান পদার্থবিদ গুস্তাভ ম্যাগনাস ১৮৫২ সালে গবেষণা করে যে ফলাফল পান, সেগুলো ফুটবলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বলটি যখন ঘুরতে ঘুরতে যায়, তখন বার্নুলির সূত্র অনুযায়ী এর এক পাশে ফুটবলের কেন্দ্রের তুলনায় বাতাসের আপেক্ষিক গতি বেশি এবং অন্য পাশে কম হয়। ফলে বলের গতিপথে ভারসাম্য থাকে না এবং বলটি কম চাপের দিকে ধনুকের মতো বাঁকা পথে চলে। অবশ্য খেলোয়াড়ের পদার্থবিদ্যা না জানলেও চলে।

তিনি অভিজ্ঞতা থেকে বুঝে নেন, বাতাসের গতি কোন দিকে কতটা থাকলে বলটি কোন পাশ দিয়ে কতটা জোরে ঘুরিয়ে মারতে হবে। ধরা যাক, সেকেন্ডে ২৫-৩০ মিটার (ঘণ্টায় ৭০ মাইল) বেগে ফ্রি-কিক মারা হলো এবং এর ফলে বলে সেকেন্ডে ৮-১০টি ঘূর্ণন সৃষ্টি হলো। নিয়ম অনুযায়ী একটি ফুটবলের ওজন ৪১০-৪৫০ গ্রাম। এর ফলে প্রতি বর্গ-সেকেন্ডে ৮ মিটার ত্বরণ সৃষ্টি হবে। যেহেতু বলটি ৩০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে প্রায় ১ সেকেন্ড সময়ব্যাপী বাতাসের মধ্য দিয়ে যাবে; এ অবস্থায় বলটি তার প্রাথমিক সরলপথের চেয়ে এমনকি ৪ মিটার পর্যন্ত বাঁকা হয়ে যেতে পারে, যা গোলকিপারকে ধাঁধায় ফেলার জন্য যথেষ্ট! ফুটবল যদি গোল না হতো, তাহলে খেলার মজাই থাকত না।
0 টি ভোট
করেছেন (9,190 পয়েন্ট)

দুটি কারণে ফুটবল গোল। একটি, বায়ুগতিবিদ্যা বা অ্যারোডায়নামিকস। দ্বিতীয়টি, খেলার গতি ও ফুটবল শটের লক্ষ্য নিশ্চিত করা। গোলাকার হবার কারণে সজোরে শট মারার পর ফুটবলের উপর বায়ুর বাধা সবচেয়ে কম হয়। তাছাড়া বাতাসের গতিবেগ ও দিক হিসেবে নিয়ে কায়দা করে কিক মেরে ফুটবলে এমন একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি করা যায়, যার ফলে বলটি উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে হঠাৎ গোলপোস্টে ঢুকে পড়ে। গোলকিপার হতভম্ব হয়ে যান। গোল-ই তো ফুটবলের প্রাণ! অ্যারোডায়নামিকসের সুফল এটা।

দ্বিতীয়ত, গতিই হলো ফুটবলের মূল আকর্ষণ। এক গোলপোস্ট থেকে গোলকিপার শট মারলেন, সেটা প্রায় অপর প্রান্তের গোলপোস্টের কাছে চলে গেল। মাঠের সব খেলোয়াড় ছুটছেন তার পেছনে। প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের সামনে ড্রপ খাওয়ার পরই চৌকস স্ট্রাইকার সেটা পায়ে পায়ে ক্যারি করে নিয়ে গেলেন একেবারে গোলপোস্টের সামনে। গ্যালারিতে প্রবল উত্তেজনা। এই বুঝি গোল হলো!

এখন ফুটবলটি যদি গোলাকার না হয়ে ত্রিভুজাকার বা চৌকোনা হয়। তাহলে কি মাটিতে ড্রপ খাওয়ার পর সেই ফুটবল আর সামনে এগিয়ে যেতে পারবে? নাকি শট মারার পর ফুটবল কোনদিকে ছুটবে, সেটা কেউ বলতে পারবে? তিনি হয়তো মারলেন গোলপোস্ট লক্ষ্য করে, আর ফুটবল চলে গেল বাঁ পাশের কর্ণার পয়েন্টে! এরচেয়ে হতাশাজনক অবস্থা আর কী হতে পারে!

ফুটবল গোলাকার বলেই এমন উদ্ভট পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। খেলোয়াড় অনায়াসে মাঠে ফুটবল গড়িয়ে নিয়ে যান। ড্রিবল করেন। প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে আক্রমণ করেন। তারপর গোল! দর্শকরাও এই গতির সঙ্গে প্রবল উত্তেজনা অনুভব করেন। প্রায় একই কারণে শুধু ফুটবল নয়, ক্রিকেট, হকি, টেনিস, বাস্কেটবল, পিংপং সব খেলার বলই গোলাকার। তবে রাগবি বল একটু লম্বাটে গোল। এর মূল কারণ, এই খেলায় বলটি প্রধানত হাতে ধরে দৌঁড়ে মাঠ পার হতে হয়। এজন্য ঐ খেলায় নারকেলের আকারের গোল বল উপযুক্ত!

তথ্যসুত্রঃ ইলি বাংলাদেশ/এনকে

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 465 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 252 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 392 বার দেখা হয়েছে
28 জুন 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+17 টি ভোট
2 টি উত্তর 9,736 বার দেখা হয়েছে
+20 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,006 বার দেখা হয়েছে

10,720 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

239,965 জন সদস্য

43 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 43 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...