সিলোম বলতে কী বুঝায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
2,064 বার দেখা হয়েছে
"প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

মেসোডার্ম এবং পেরিটোনিয়াম নামে মেসোডার্মাল কোষস্তর এ আবৃত দেহগহ্বরকে সিলোম বলে।
সিলোম প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে প্রাণীদের কয়েকটি উপায়ে ভাগ করা যায়।

যথা- 

১. অ্যাসিলোমেট: এদের কোষে সিলোম থাকে না।এদের দেহে সিলোমের পরিবর্তে ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাঁকা স্থানটি মেসোডার্মাল স্পঞ্জি প্যারেনকাইমা কোষে পূর্ণ থাকে। Porifera, Cnidaria, Ctenophora, Platyhelminthes পর্বের প্রানীরা অ্যাসিলোমেট।
যেমন: Aurelia (জেলিফিস), চ্যাপ্টাকৃমি, ফিতা কৃমি।

২. অপ্রকৃত সিলোমেট: যে সকল প্রাণীদের দেহগহ্বর থাকে না এবং তা পেরিটোনিয়ামে অর্থ্যাৎ মেসোডার্মাল আস্তরণে আবৃত নয় সেসব প্রাণীরা হচ্ছে অপ্রকৃত সিলোমেট। Nematoda, Rotifera, Kinorhyncha পর্বের প্রাণীরা অপ্রকৃত সিলোমেট।
যেমন: কেঁচোকৃমি, চোখ কৃমি।

৩. প্রকৃত সিলোমেট: অপেক্ষাকৃত উন্নত শ্রেণীর প্রাণীর মেসোডার্মের অভ্যন্তর থেকে গহ্বররূপে সিলোম উদ্ভূত হয়। মেসোডার্মের অভ্যন্তর গহ্বরটি চাপা,মেসোডার্মাল এবং এপিথেলিয়াল কোষে গঠিত পেরিটোনিয়াম স্তরে আবৃত। এধরণের প্রাণীরা হচ্ছে প্রকৃত সিলোমেট। Mollusca, Annelida, Arthopoda, Echinodermata, Chordata পর্বের প্রাণীরা প্রকৃত সিলোমেট। যেমন: Tenusalosa ilisha (ইলিশ), Culex pipens (মশা)।

+2 টি ভোট
করেছেন (54,270 পয়েন্ট)
প্রাণীদেহের দেহ প্রাচীরের প্যারাইটাল আবরণী ও পৌষ্টিকনালির ভিসেরাল আবরণীর মধ্যবর্তী স্থানের তরলে পূর্ণ গহ্বরকে সিলোম বলে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে সিলোমের সৃষ্টি হয়। সিলোম দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ ধারণ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এ ছাড়া সংবহন, বর্জ্য পদার্থ ধারণ ও নিষ্কাশন ইত্যাদি কাজে সহায়তা করে। প্রাণীদেহে সিলোমের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির বিচারে সমগ্র প্রাণীকূলকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগগুলো হলো− * সিলোমবিহীন (Acoelomate) প্রাণী: যেসব প্রাণীর দেহাভ্যন্তরে তরলে পূর্ণ গহ্বরের পরিবর্তে অন্ত্র ও অন্যান্য অঙ্গ এবং বিভিন্ন ধরনের কোষ বা কলায় পরিপূর্ণ থাকে তাদেরকে সিলোমবিহীন প্রাণী বলে। অর্থাৎ এদের সিলোম অনুপস্থিত। যেমন− নিডোরিয়া (Cnidaria) পর্বের জেলিফিশ, প্লাটিহেলমিনথিস (Platyhelminthes) পর্বের ফিতাকৃমি। * অপ্রকৃত সিলোম বিশিষ্ট (Pseudocoelomate) প্রাণী: যেসব প্রাণীর দেহাভ্যন্তরে তরলে পূর্ণ গহ্বর উপস্থিত কিন্তু তা প্যারাইটাল আবরণী ও ভিসেরাল আবরণী দ্বারা আবৃত নয় তাদেরকে অপ্রকৃত সিলোম বিশিষ্ট প্রাণী বা প্রাণী বলে। এজাতীয় সিলোমে মেসোডার্মাল আবরণ (প্যারাইটাল আবরণী ও ভিসেরাল আবরণী) অনুপস্থিত থাকায় একে প্রকৃত সিলোম হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। নিমাটোডা (Nematoda) পর্বের প্রাণীসমূহে অপ্রকৃত সিলোম দেখতে পাওয়া যায়। যেমন− গোল কৃমি। * প্রকৃত সিলোম বিশিষ্ট (Eucoelomate) প্রাণী: যেসব প্রাণীর দেহাভ্যন্তরে দেহ প্রাচীরের প্যারাইটাল আবরণী ও পৌষ্টিকনালির ভিসেরাল আবরণীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে তরলে পূর্ণ গহ্বর তথা প্রকৃত সিলোম বিদ্যমান তাদেরকে প্রকৃত সিলোম বিশিষ্ট প্রাণী বলে। অ্যানিলিডা (Annelida) থেকে কর্ডাটা (Chordata) পর্বের প্রাণীসমূহে প্রকৃত সিলোম দেখতে পাওয়া যায়।

©️ Quora

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
1 উত্তর 1,485 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 205 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 713 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 679 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 1,556 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,995 জন সদস্য

61 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 61 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...