চাঁদ আকস্মিকভাবে গায়েব হলে পৃথিবীর কী হবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
772 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (71,290 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (71,290 পয়েন্ট)
চাঁদ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝার জন্য চাঁদকে একবার হারানোই যথেষ্ট একসময় পৃথিবীতে চাঁদ ছিলোনা এবং পৃথিবী শুধুমাত্র সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতো।

কিন্তু একটি লাকি কো-ইন্সিডেন্স পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলে দেয়। এটা ঠিক সেই মুহূর্ত যখন ভয়ংকর কিছু ঘটে এবং নতুন একটি সুন্দর সৃষ্টি হয় এবং মঙ্গল গ্রহ নামের একটি অজানা বস্তু পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষ করে। সংঘর্ষের ফলে ওই গ্রহটির কিছু ধ্বংসস্তূপ এবং পৃথিবী গ্রহের মিলিত কিছু কণা ও ধূলি পৃথিবীর কক্ষপথের চারপাশে ঘুরতে থাকে এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এর কারণে তারা একসাথে জড়ো হয় এবং একটি আকার ধারণ করে যাকে আমরা আজকের দিনে চাঁদ বলি।

তখনকার পৃথিবীতে কোন প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল না আর এই ঘটনার অনেক বছর পর পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদই পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির জন্য দায়ী এমনকি এটাও বলা হয়েছে চাঁদ পৃথিবীতে প্রাণীর জন্ম দিয়েছে। এটা পৃথিবীর ক্ষেত্রে এক মহাজাগতিক চুম্বকের মতো কাজ করে যা হয়তো জীবনকে আবার ফিরিয়ে নিতে পারে। কারণ সমুদ্রের পানির উপর চাঁদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণের সময় চাঁদ আমাদের পৃথিবীর watermarks কে আকর্ষিত করে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে। যার জন্যই জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়।

একটি হয় চাঁদের দিকে এবং অন্যটি হয় চাঁদের বিপরীত দিকে। পৃথিবীর যেদিকে চাঁদের অবস্থান থাকে সেখানকার পানির উচ্চতা অন্য জায়গার পানির উচ্চতার চেয়ে বেশি হয়। এভাবে চাঁদকে পৃথিবীতে আটকে রাখতে সাহায্য করে।

সূর্য তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে পৃথিবীতে আকর্ষণ করে কিন্তু সেটা চাঁদের তুলনায় অনেক কম। সূর্য চাঁদের তুলনায় এত বড় হওয়া সত্ত্বেও সূর্য চাঁদের তুলনায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম হওয়ার কারণ হল দূরত্ব। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব চাঁদের তুলনায় প্রায় ৪০০ গুণ বেশি এবং এই অবস্থায় আপনি ভেবে দেখুন,

যদি এখন সৌরজগতের চাঁদ কে সরিয়ে দেয়া হয় তবে কি হবে?

আজকের পোস্টে এতক্ষণ যাবত এবং পরবর্তীতে আমি এটাই আলোচনা করছিলাম ও করব।

যদি এখন সৌরজগত থেকে চাঁদ কে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে পৃথিবীর পানির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চাঁদের থেকে চলে যাবে সূর্যের কাছে যা দুটি বিপর্যয়কর ফলাফল তৈরি করবে। কিন্তু যদি চাঁদের অবস্থান পরিবর্তন করে দেয়া হয় তাহলে সূর্য ও চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর দুটি আলাদা আলাদা প্রান্তে কাজ করবে ফলে দুই প্রান্তের জলরাশি তাদের মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে মিলিত হওয়ার জন্য সুনামি সৃষ্টি করবে। যদি এমনটা হয় তাহলে পৃথিবীর সমুদ্র সংলগ্ন জায়গাগুলি পানির নিচে তলিয়ে যাবে যার ফলে আমরা নিজেদের কিছু সভ্যতা কে নিজেদের চোখে ধ্বংস হতে দেখব। মহাপ্রলয়ের পর সমুদ্র আবার শান্ত হয়ে যাবে তখন সমুদ্রে শুধুমাত্র সমুদ্রের টানে জোয়ার-ভাটা ঘটবে। কিন্তু আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী আর কখনোই একই রকম হবে না। সবকিছুই তখন পাল্টে যাবে সমুদ্রের পানির এই অস্থিরতার জন্য পৃথিবীর globalizing নষ্ট হয়ে যাবে ফলে পৃথিবী সম্পূর্ণ unpredictable climate এ পরিণত হয়ে যাবে. যার ফলে অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রযোজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে. কিন্তু climate আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে একদম পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত সমুদ্রের অস্থিরতার ফলে lonar gravity পৃথিবীতে নিজের কক্ষে স্থির রাখতে বাধা প্রদান করবে যার ফলে প্রতি ২৬০০ বছরে এই পৃথিবীর ৪ ডিগ্রী সাইকেলে রুটেড হতে থাকবে।

অর্থাৎ পৃথিবী কেন্দ্রিক অবস্থান পরিবর্তন হতে থাকবে। বর্তমানে পৃথিবীর চাঁদ ও সূর্যের অভিকর্ষ বলের প্রভাবে নিজের অক্ষে স্থির থাকে। ফলে পৃথিবী নিজ ইচ্ছায় অন্যদিকে নড়াচড়া করতে পারে না। কিন্তু আমরা যদি চাঁদ কে সরিয়ে দেই তাহলে আমরা আমাদের গ্রহের strongest driving force কেও সরিয়ে দেবো ফলে আমরা এই পুরো পৃথিবীসহ মহাশূন্যের আলাদা আলাদা দিকে ঘুরতে শুরু করব যার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রাও কমবে এবং বাড়বে।

এই মহাজাগতিক পরিবর্তন পৃথিবীর আবহাওয়া কেও সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিবে। পৃথিবীতে তখন কোন বসন্ত কাল আসবে না। শীত কাল থাকবে না গ্রীষ্ম ও বর্ষারও কোন নির্দিষ্ট সময় থাকবে না। তাপমাত্রা অদ্ভুতভাবে ওঠানামা করতে থাকবে। রাতে ৮২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলে সকালে তা -৫৮ ডিগ্রী ফারেনহাইট হয়ে যেতে পারে যেমনটা কিনা মঙ্গল গ্রহে হয়ে থাকে। প্রায় সমস্ত মানবজাতি মৃত্যুবরণ করবে কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষ হয়তো বেঁচে যাবে যা আমাদের সভ্যতার একমাত্র উদাহরণ হয়ে থাকবে। কিছু দুর্বল মানুষেরা হয়তো অন্য গ্রহে চলে যাবে কিন্তু যারা শক্তিশালী তারা আরো শক্তিশালী হবে। এই প্রকৃতির সাথে মানিয়ে চলার জন্য যা আবারো পুনরায় একটি নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করবে যার কল্পনা আমরা করতে পারি না।

আর চাঁদ কে সরিয়ে নেয়ার পর সবচাইতে বড় যে বিপর্যয় ঘটবে সেটা হল খাদ্যের অভাব। তখন সমুদ্রে আর কোন খাদ্য সংগ্রহ করা যাবে না কারণ সমুদ্রের অধিকাংশ খাদ্য পরিচালনা চাঁদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কারণ সাগরের মাছেরা রাত্রি বেলা চাদের আলোতে খাদ্য সন্ধান করে বেঁচে আছে। আর বড় বড় প্রাণীরা ঐ সকল ছোট প্রাণীদের খেয়ে বেঁচে রয়েছে। আর যখন চাঁদ থাকবে না তখন ওই বাস্তুসংস্থান টা সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যাবে ফলে প্রচুর সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাবে আর সেই প্রাকৃতিক অবস্থায় কিছু অদ্ভুত ও অভূতপূর্ব প্রাণীর প্রাণের সৃষ্টি হবে। আর এই সম্পূর্ণ জিনিসটা এই পৃথিবীর ইকোনমিক লাইফ স্টাইলকে সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দিবে এবং এভাবে পৃথিবী আবারো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।

এবং এভাবেই পৃথিবী একবার ধ্বংস হয়ে যাবে আবার পুনরায় গঠন হবে। সৃষ্টি হওয়ার পর আবার ধ্বংস হয়ে যাবে আবার পুনরায় গঠিত হবে আর এভাবেই চলতে থাকবে পৃথিবীর অবস্থা।

সংগৃহীত।
0 টি ভোট
করেছেন (2,990 পয়েন্ট)
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ এইটা আমাদের কারোরই অজানা নয়। কিন্তু কিছু মানুষ মনে করে যে চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে কি আর এমন পরিবর্তন হতো? কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই চাঁদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি না।

 

চাঁদ না থাকলে সর্বপ্রথম এবং অবশ্যই যে পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করবো সেটা হলো পৃথিবীর রাত। চাঁদ আছে বলেই আমরা রাতের বেলা জোছনার আলো পাই। রাতের বেলা সূর্যের আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে আসে যার ফলে পৃথিবী রাতের বেলা আলোকিত হয়। কিন্তু এই চাঁদ না থাকলে আমাদের রাত হবে নিকষ কালো অন্ধকার।

তবে চাঁদ না থাকলে শুধু আমাদের রাতের জীবনে পরিবর্তন আসবে না। চাঁদ না থাকলে আমাদের দিনের ও পরিবর্তন ঘটবে।

চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে জোয়ার ভাটা হতো না। আমরা দেখতে পারতাম না সমুদ্রের বিশাল বিশাল ঢেউ।

 

পৃথিবী যেমন চাঁদ কে মহাকর্ষীয় বলে টানে তেমনি চাঁদ ও পৃথিবীর উপর মহাকর্ষীয় বলের প্রভাব খাটায়। চাঁদ এর মহাকর্ষীয় বলের কারনে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি কম থাকে। চাঁদের এই মাধ্যাকর্ষনজনিত বলের কারনে সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে এবং সেই পানিতে বাতাস লাগে ফলে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর আবর্তনের কারনে সমুদ্র যখন চাঁদের দিকে আসে তখন চাঁদের আকর্ষনে সেখানে উচ্চ জোয়ারের সৃষ্টি হয় তখন ঠিক তার বিপরীতে তখন নিম্ন জোয়ারের সৃষ্টি হয়। এবং বাকি দুই পাশে তখন ভাটার সৃষ্টি হয়।পৃথিবী যেহেতু ঘুরছে তাই পৃথিবীর ঘূর্ণন এর কারনে জোয়ার ভাটার ও পরিবর্তন হয়। যদি চাঁদ না থাকে তাহলে বর্তমান উচ্চ জোয়ার গুলো প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের মতো হবে এবং নিম্ন জোয়ার গুলো আর নিম্ন হবে ফলে জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে সেগুলোর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

তারপর প্রভাব পড়বে, পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির উপর। জানেন কিভাবে?
ধরুন, আপনি কোনো বিন্দুতে সজোরে যেভাবে ঘুরতে পারবেন, আপনার হাতে যদি কোনো ভারী বস্তু দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কি আপনি এইভাবে ঘুরতে পারবেন? অবশ্যই না। চাঁদ ঠিক আপনার হাতের ওই ভারী বস্তুর ভূমিকা পালন করছে। এখন আমাদের দিন - রাত মিলিয়ে হয় ২৪ ঘন্টা, কিন্তু চাঁদ যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে দিন - রাত মিলিয়ে হতো ৬ ঘন্টা । তাহলে বুঝতে পারছেন তো চাঁদের গুরুত্ব কতটা?

 

চাঁদ যদি না থাকতো তবে আমাদের ঋতুচক্রও পরিবর্তিত হত না। তখন কোথাও সারা বছর বৃষ্টি হতো, আবার কোথাও সারা বছর রোদ ; যা আমাদের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এছাড়াও চাঁদ না থাকলে পৃথিবীতে দুপুরে তাপমাত্রা থাকবে ৮০°F আর ভোরবেলায় প্রায় -৫১°C, যা প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান।

এছাড়া চাঁদ না থাকলে, পৃথিবী পুরোপুরি সূর্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যার ফলে সুনামি, জলোচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় দুর্যোগ পৃথিবীতে দেখা দিবে, এখন পৃথিবী আস্তে আস্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 250 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 245 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 242 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 629 বার দেখা হয়েছে
21 জুন 2022 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nishat Tasnim (7,950 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 307 বার দেখা হয়েছে

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

561,565 জন সদস্য

56 জন অনলাইনে রয়েছে
10 জন সদস্য এবং 46 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...