শীতে সাধারণত শিশুদের কোন কোন রোগ হতে দেখা যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+5 টি ভোট
242 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

শীতকালে আবহাওয়া শুষ্ক। ধুলাবালি অনেক। শহরে তো অনেক ধুলাবালি, গ্রামেও রয়েছে। দুই নম্বর হলো ধোঁয়া। এ সময় গাছের পাতা পড়ে যায়। গ্রামে আমরা দেখেছি, সবকিছুকে এক জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শহরে কিন্তু গাড়ির ধোঁয়া রয়েছে। ফুলের বাগান, ফুলের রেণু—এসবের সঙ্গে কিন্তু বাচ্চাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা জড়িত। কারো যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে, সে যদি কোনো একটি বিষয়ের সংস্পর্শে আসে, তাহলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ সময় বিভিন্ন ভাইরাস আসে। এ ভাইরাস কিন্তু অ্যাজমা বাড়ায়। আর এই যে ধুলাবালিগুলো বাতাসে ঘুরছে, এর মধ্যেও প্রচুর ধুলাবালি থাকে। তাহলে যারা ছোট বাচ্চা, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তারা কিন্তু হঠাৎ করে নিউমোনিয়ার শিকার হয়ে যায়। তাহলে একটি হলো অ্যাজমা।

তিন নম্বর হলো, রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টের খুব প্রচলিত সমস্যা, একে আমরা অনেক সময় নিউমোনিয়া বলে চালাই, সেটি হলো, ব্রঙ্কিওলাইটিস। শীতে কিন্তু ব্রঙ্কিওলাইটিসের সমস্যায় অনেক শিশু আক্রান্ত হয়।

এ ছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, রাইনোভাইরাল ইনফেকশন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে পানি পড়লে যখন শিশু অসহিষ্ণু হয়ে যায়, তখন অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে হয়। এগুলো শীতে বেশি হয়।

ক্রেডিট: এনটিভি

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরও পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনের জন্য সময় নেয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়ানোর সময় বিভিন্ন শীতকালীন অসুখ মানুষের শরীরে আক্রমণের সুযোগ নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভৌগোলিক কারণে আবহাওয়া এবং পরিবেশও পরিবর্তন হয়ে থাকে। শীতকালে শুকনো আবহাওয়ায় সাধারণত বায়ুবাহিত ও ফুসফুসের রোগ বেশি হয়। এ সময় সর্দি-কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত অ্যালার্জিক রোগ, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হতে পারে। শীতে সর্দি-কাশি, কমন কোল্ড বা ঠাণ্ডা জ্বর বেশি দেখা দেয়। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস_ যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ও
প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার মাধ্যমে এ রোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শিশুদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, লালা, কাশি বা হাঁচি থেকে নিঃসরিত ভাইরাসের মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ হয়। এর ফলে রোগীর জ্বর, গলাব্যথা, ঢোক গিলতে অসুবিধা, বন্ধ নাক দিয়ে অনবরত সর্দি নিঃসৃত হওয়া, খুসখুসে কাশি এবং এর ফলে গলা, মাথা ও বুকে-পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। কোনো কোনো সময় খাবারে অরুচি, পাতলা পায়খানা হতে পারে। ছয় মাস বয়সের পর শিশুকে ও যাদের ক্রনিক ডিজিজ আছে, তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া যেতে পারে। শিশুদের নিউমোনিয়া শীতকালে মারাত্মক আকার ধারণ করে। শিশু বয়সে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোগ হলো নিউমোনিয়া। যেসব শিশু শীতকালে জন্মগ্রহণ করে, তারা এই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে। শীতের মধ্যে শিশুদের ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খাওয়ানো উচিত নয়। সব সময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। তা ছাড়া কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মায়েরা ছোট শিশুদের জন্ম থেকে দুই বছর পর্যন্ত মাথা উঁচু করে বুকের দুধ খাওয়াবেন। শুয়ে দুধ খাওয়ালে সর্দি, কাশি ও কানের ইনফেকশন হতে পারে। খুব বেশি শীতের কাপড় পরালে শিশু ঘেমে গিয়ে ঠান্ডা লাগতে পারে। প্রস্রাব করে তার ওপর শুয়ে থাকলে ঠান্ডা লাগতে পারে। শীতকালে যে ডায়রিয়া হয়, তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। প্রথমে বমি দিয়ে শুরু হয় এবং কিছুক্ষণ পর থেকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চালধোয়া পানির মতো পাতলা পায়খানা ঘন ঘন হতে পারে। ডায়রিয়া বা বমি হলে শুরুতেই খাওয়ার স্যালাইন ও অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই শরীরে পানিশূন্যতা যেন দেখা না দেয়। যে পরিমাণ পানি ও লবণ শরীর থেকে বের হবে, সে পরিমাণ পানি ও লবণ খাওয়ার স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জিংক ট্যাবলেট বা সিরাপ খাওয়াতে হবে। খোসপাঁচড়া ছাড়াও শিশুদের ফোঁড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, হাত-পা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি চর্মরোগ হতে পারে। তাই শীতকালে শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং ধুলাবালি নিয়ে খেলাধুলা বন্ধ রাখতে হবে। সর্বোপরি যে কোনো সমস্যার শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, ভালো থাকুন। -সমকাল
0 টি ভোট
করেছেন (5,760 পয়েন্ট)
সর্দি-কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত অ্যালার্জিক রোগ, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হতে পারে। শীতে সর্দি-কাশি, কমন কোল্ড বা ঠাণ্ডা জ্বর বেশি দেখা দেয়। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস_ যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ও প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার মাধ্যমে এ রোগের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে শিশুদের এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস, লালা, কাশি বা হাঁচি থেকে নিঃসরিত ভাইরাসের মাধ্যমে এ রোগের সংক্রমণ হয়। এর ফলে রোগীর জ্বর, গলাব্যথা, ঢোক গিলতে অসুবিধা, বন্ধ নাক দিয়ে অনবরত সর্দি নিঃসৃত হওয়া, খুসখুসে কাশি এবং এর ফলে গলা, মাথা ও বুকে পেটে ব্যথা অনুভূত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,946 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 234 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 362 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 146 বার দেখা হয়েছে
31 ডিসেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,077 জন সদস্য

62 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 60 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. amir

    110 পয়েন্ট

  2. CaitlynSperr

    100 পয়েন্ট

  3. SusanneEwers

    100 পয়েন্ট

  4. AnjaRoyster

    100 পয়েন্ট

  5. TimLuscombe

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...