খতনা বা মুসলমানি করানো কেন ভাল? বা খতনা বা মুসলমানি কেন করানো হয়?
উত্তর দিন
6
অনুসরণ
অনুরোধ
আরও
4টি উত্তর
Shahadat Hossain, এন এফ এল এ মানব সম্পদ উন্নয়ন (2012-বর্তমান)
19 মে, 2020 এ উত্তর দেওয়া হয়েছে · Md Shojib Mariya, m s ইসলামী সংস্কৃতি & সাহিত্য, পাঁচথুবী ফাযিল মাদ্রাসা (2016) আপভোট দিয়েছেন
পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের নির্দিষ্ট পরিমাণ চামড়া কেটে বাদ দেওয়াকে খত্‌না বলে যা আমাদের দেশে মুসলমানি বলে, সম্ভবত মুসলিমরা এটার চর্চা গুরুত্বের সাথে করে বলে এরকম নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। মুসলিমরা এটা করেন জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করে।
প্রাচীন মিশরে ঈসা (আঃ) এর জন্মের ২,৩০০ বছর আগে থেকে এটা প্রচলিত ছিল। আবার Grafton Elliot Smith এর মতে ১৫,০০০ বছরের বেশি সময় আগে এটা চালু হয়েছিল। মুসলিমদের আগে ইহুদিদের মধ্যেও এটা প্রচলিত ছিল।
কেন করা হয় খতনা
ধর্মীয় কারণে মুসলমান ও খ্রিস্টানরা খতনা করিয়ে থাকে। কিছু কিছু রোগ হলে যেমন ফাইমোসিস, প্যারাফাইমোসিস হলে খতনা বা মুসলমানি করাতে হয়। ফাইমোসিস হলো পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া এমনভাবে মূত্রনালীকে ঢেকে রাখে, যার কারণে প্রস্রাব ঠিকমতো বের করতে পারে না। প্রস্রাব বের হতে না পেরে পুরুষাঙ্গের মাথা ফুলে ওঠে এবং শিশু ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকে। এভাবে বেশিদিন চলতে থাকলে প্রস্রাবে ইনফেকশন, এমনকি কিডনি ফেইলিওরও হতে পারে। আবার অনেক সময় পুরুষাঙ্গের মাথার দিকের চামড়া উল্টে গিয়ে টাইট হয়ে যায়। যার ফলে চামড়াকে আর সামনে ও পেছনের দিকে নাড়াচাড়া করা যায় না। এক্ষেত্রে মাথার দিকে ফুলে যায় এবং রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। উভয় ক্ষেত্রেই জরুরি ভিত্তিতে খতনা করানো প্রয়োজন। অনেক সময় ছোট শিশুদের পুরুষাঙ্গ প্যান্টের চেইনের সঙ্গে আটকে যেতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতেও অনেক সময় খতনা করানো হয়।
খতনার উপকারিতা
খত্‌না করার বেশকিছু উপকার আছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ
১. পুরুষাঙ্গের মধ্যের ঐ অংশে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়;
২. বিভিন্ন যৌনরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে যেমনঃ স্বামীর পেনাইল ক্যান্সার, স্ত্রীর সার্ভিকাল ক্যান্সার প্রভৃতি;
৩. স্ত্রী সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রীর জন্য সুবিধা হয় প্রভৃতি।
এছাড়াও কিছু রোগের (Phimosis, balanitis, balanoposthitis) ক্ষেত্রে ডাক্তাররা পুরুষাঙ্গের ঐ চামড়াটুকু কেটে বাদ দেন।
জেনে হয়তো অবাক লাগবে, খতনার কিন্তু উপকারিতাও আছে! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতাটি হলো, খতনা করে পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র খতনার কারণেই এ ক্যান্সার মুসলমান ও খ্রিস্টানদের মধ্য নেই বললেই চলে। পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে এক ধরনের সাদা পদার্থ জমে এবং এটিই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য দায়ী
©