তিব্বতের উপর দিয়ে বিমান বা উড়োজাহাজ চলাচল করে না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
6,532 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)
খুবই অদ্ভুত একটা প্রশ্ন হলেও সত্যি যে তিব্বতের উপর দিয়ে কেন প্লেন চলেনা। আলোচনায় যাওয়ার আগে তিব্বত সম্পর্কে জেনে নেই। তিব্বত হলো এমন একটি জায়গা যেখানে ৬০০০ মিটারেরও এর বেশি উঁচু উঁচু পাহাড় থাকে। এমন অনেক পাহাড় রয়েছে যেগুলোর উচ্চতা ৮০০০ মিটারের চাইতেও বেশি হয়ে থাকে। সুউচ্চ পাহাড়ের জন্য তিব্বত বিখ্যাত। আর সম্পূর্ণ তিব্বত এমন উঁচু উঁচু পাহাড়ে ঘেরা। এবার আসা যাক কমার্শিয়াল প্লেন এর কথায়। একটি কমার্শিয়াল প্লেন সাধারণত ভূমি থকে ৮০০০ মিটার উপর দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু তিব্বতের পাহাড় গুলো এর থেকেও বেশি উঁচু। যে কারনে প্লেনের কাছে পাহাড় গুলো দেয়ালের মতো।

এটা আমরা সবাই জানি যে, আমাদের বায়ু মণ্ডল ৫টি স্তরে বিন্যস্ত। পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কাছের স্তরটি হচ্ছে ট্রপোস্পিয়ার যার উচ্চতা পৃথিবীর থেকে ৭ মাইল উপরে। আর পৃথিবী থেকে এভারেস্ট এর উচ্চতা ৫ মাইলেরও বেশি। যার ফলে বিমান চলতে হলে দুই স্তরের মাঝে চলতে হবে। এখানে অক্সিজেনের পরিমান কম হওয়ায় বিমান এই স্তর দিয়ে চলতে পারেনা।

অবশেষে বলা যায়, তিব্বতে থাকা উঁচু পাহাড় গুলার জন্য তিব্বতের উপর দিয়ে বিমান চলতে পারেনা।
0 টি ভোট
করেছেন (160 পয়েন্ট)

পৃথিবীতে অনেকগুলো নো ফ্লাই জোন রয়েছে, নিষিদ্ধ দেশ তিব্বত তাদের মধ্যে অন্যতম। তিব্বতের উপর দিয়ে বিমান কেন চলতে পারে না সে বিষয়ে আলোচনায় যাওয়ার আগে চলুন তিব্বত সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেই।

তিব্বতের উপর দিয়ে বিমান কেন চলতে পারে না

তিব্বত হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের একটি আঞ্চলিক পৰ্যায়ের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল । যদিও তিব্বতের জনগণ তা মানতে রাজি নয় যে, তারা চীনের অংশ । আয়তনে ১২,০০,০০০ বর্গ-কিলোমিটার অঞ্চল নিয়ে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল (চীনের জিংজিয়াং অঞ্চলের পর দ্বিতীয় সৰ্ববৃহৎ অঞ্চল) । পার্বত্য এবং দুর্গম পরিবেশের অঞ্চল হওয়ার জন্য চীনের সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল । উত্তর তিব্বতীয় ঢালু গড়ে ৪,৫৭২ মিটার (১৫,০০০ ফু) এর ও বেশি।নেপালের সাথে তিব্বত সীমান্তে মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত ।

বিবরণ

হিমালয় পর্বতমালা ( উচ্চতা ২৯,০২৯ ফুট ) এশিয়ার একটি পর্বতমালা যা তিব্বতীয় মালভুমি থেকে ভারতীয় উপমহাদেশকে পৃথক করেছে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, চীন, নেপাল ও ভূটান এশিয়ার এই ছয় দেশে বিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালায় মাউন্ট এভারেস্ট, কেটু, কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রভৃতি বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গগুলি অবস্থান করছে।

তিব্বতের উপর দিয়ে বিমান কেন চলতে পারে না?

তিব্বত হলো এমন একটি জায়গা যেখানে ৬০০০ মিটারেরও এর বেশি উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে। এমন অনেক পাহাড় রয়েছে যেগুলোর উচ্চতা ৮০০০ মিটারের চাইতেও বেশি হয়ে থাকে । সুউচ্চ পাহাড়ের জন্য তিব্বত বিখ্যাত। আর সম্পূর্ণ তিব্বত এমন উঁচু উঁচু পাহাড়ে ঘেরা । যে পাহাড়গুলো বছরের প্রায় আট মাস-ই তুষার আবৃত থাকে ।

আমরা জানি যে, আমাদের বায়ু মণ্ডল ৫টি স্তরে বিন্যস্ত। পৃথিবী থেকে সবচেয়ে কাছের স্তরটি হচ্ছে ট্রপোস্পিয়ার যার উচ্চতা পৃথিবীর থেকে ৭ মাইল উপরে। আর পৃথিবী থেকে এভারেস্ট এর উচ্চতা ৫ মাইলেরও বেশি। যার ফলে বিমান চলতে হলে দুই স্তরের মাঝে চলতে হবে। এখানে অক্সিজেনের পরিমান কম হওয়ায় বিমান এই স্তর দিয়ে চলতে পারেনা।

এবার আসা যাক কমার্শিয়াল প্লেন এর কথায়: একটি কমার্শিয়াল প্লেন সাধারণত ভূমি থেকে ৮০০০ মিটার উপর দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু তিব্বতের পাহাড় গুলো এর থেকেও বেশি উঁচু। যে কারনে প্লেনের কাছে পাহাড় গুলো দেয়ালের মতো।

বেশিরভাগ প্লেনের উচ্চতা 20,000 ফিটেরও বেশি উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে । বেশিরভাগ বিমানে যাত্রীর কাছে 20 মিনিটের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় ( জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ) । বিমান চলাচলের নিয়ম অনুযায়ী, অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এমন উচ্চতায় পৌঁছে গেলে ২০ মিনিটের পূর্বে ১০০০০ ফিট নেমে আসতে হবে । তিব্বতে পর্বতমালার বিস্তৃতি, ২৮,০০০-৩০,০০০ ফুট উচ্চতায় । এক্ষেত্রে বিমান চালকদের পাহাড় এর উপর দিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানকে যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে হয়, সেখান থেকে অক্সিজেন পাওয়া যায়, ২০ মিনিটের মধ্যে বায়ুমন্ডলের এমন উচ্চতায় নেমে আসা কঠিন হয়ে পড়ে । বিমান পরিবহনকারীরা এই ধরণের হট্টগোল চায় না, তাই তারা তিব্বতের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া এড়িয়ে চলে ।

কিন্তু মজার বিষয় হলো তিব্বতে কিন্ত বিমানবন্দর রয়েছে । অর্থাৎ তিব্বতের উপর দিয়ে বিমান না গেলেও তিব্বতে কিন্ত বিমান ওঠা-নামা ঠিকই করে। তিব্বতের কয়েকটি বেসামরিক বিমানবন্দর হচ্ছে লাসা গঙ্গার বিমানবন্দর, কামডো বাগডা বিমানবন্দর, নিয়িংছি বিমানবন্দর, এবং গুন্সা বিমানবন্দর। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ৪৪৩৬ মিটার উচ্চতার নাজ্ঞু দাগ্রিং বিমানবন্দর হচ্ছে ২০১৪ সালে পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বিমানবন্দর।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
1 উত্তর 413 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 526 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 2,034 বার দেখা হয়েছে
19 এপ্রিল 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,310 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
1 উত্তর 303 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,061 জন সদস্য

67 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 65 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...