ঘুম ভালো হওয়ার উপায় কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
1,986 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (12,990 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
নিচের উপায়গুলো মেনে চললে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং আরামদায়ক হবে।

★ ঘুমের আগে খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে শসা কিংবা যেকোনও শরীর ঠান্ডা রাখা খাবার খেলেই ঘুম ভাল হবে।

★যাবতীয় চিন্তা সরিয়ে ফেলে শুধুমাত্র ঘুমের দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত। সব যন্ত্রপাতি বন্ধ করা আর কৃত্রিম আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়া ভালো ঘুমের একটি উপায় হতে পারে।

★সময় বা ঘড়ির প্রতি আবিষ্ট হয়ে থাকা ভাল কোনও লক্ষণ নয়। কখন ঘুম থেকে উঠলেন বা প্রতিদিন কত সময় ঘুমালেন সেটি নিয়েই অনেকে চিন্তায় থাকেন। তাই শোবার ঘরের ঘড়িকে এমনভাবে রাখুন যেন হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে গেলেও ঘড়ির দিকে চোখ না যায়। তাই মুখের সামনে থেকে ঘড়ি সরিয়ে রাখুন।

★প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। ঘুমের সময়টা ঠিক রাখুন। বিজ্ঞান বলে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা ঘুমানোর আদর্শ সময়।

★একটি বিশেষ শ্বাসক্রিয়ার অভ্যাস করে ফেলতে পারলেই তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যাবে। যে অভ্যাসের পোশাকি ভাষা '৪-৭-৮'। যাদের রাতে ঘুম আসে না তাদের জন্য এই সহজ উপায়ের পথ দেখিয়েছেন লেখক তথা চিকিৎসক অ্যান্ড্রু ওয়েইল।


★ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম জল দিয়ে গোসল করলে ঘুম ভালো হয়। অথবা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম জল দিয়ে ভালোভাবে হাত-মুখ ধুয়ে নিন,পা চুল আঁচড়ে পরিপাটি হয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিন। এতেও ঘুম ভাল হবে।

★দৈনিক পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়। পর্যাপ্ত পরিশ্রমের ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে আর তাই ঘুম ভালো হয়।

★শোয়ার ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক রাখুন। দিনশেষে ঘুমানোর জন্য যে রুমটাতে ফিরে যাচ্ছেন তার পরিবেশ আরামদায়ক ,স্বস্তিদায়ক হলে ভাল হয়। আরামদায়ক বিছানা, নরম কুশন, হালকা রঙের পর্দা, খোলামেলা রুম যাতে হাওয়া চলাচল ভালো হয়, এগুলো খেয়াল রাখলে ঘুম ভালো হয়।


★বিছানায় যাওয়ার আগেই কাজ শেষ করা উচিত। প্রতিদিনই কিছু না কিছু কাজ থাকে যা আমরা শেষ করতে পারি না। আর অনেকেই সেসব কাজ নিয়েই চলে যান বিছানায়। ছোটখাটো একটা অফিসে পরিণত হয় সাধের বিছানা। এমনটা করা যাবে না।
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

কতক্ষণ বিশ্রাম নিলে একটা মানুষ চাঙ্গা বোধ করবে সেটা একেক জনের জন্য একক রকম। আবার সাত থেকে আট ঘণ্টাই যে ঘুমাতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে হল নির্ভেজাল ঘুমের কিছু কৌশল।

আট ঘণ্টার হিসাব: পরদিনের কাজগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাইলে আজ রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। আর পর্যাপ্ত ঘুম বলতেই আমরা বুঝি আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। তবে আট ঘণ্টা মেলাতে না পারলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। ছয় কিংবা সাড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমিয়েও সুস্থ থাকা যায় অনায়াসে।

ঘুমের পোশাক: ঘুমানোর সময় গায়ে কাপড় যত কম হবে কিংবা তা যত পাতলা হবে ত্বক তত বেশি বাতাস পাবে। আর ত্বকে বাতাস বেশি পৌঁছালে তা শীতল থাকবে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে।

টেলিভিশন দেখলে অসুবিধা নেই: সারাদিন নানান ঝামেলার চিন্তা পেরিয়ে রাত হলেই যে সেসব চিন্তা উবে তা মনে করাটা অবাস্তব। আর মাথায় এত চিন্তা নিয়ে ঘুম আসাটাও দুষ্কর। এক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে টেলিভিশন। টেলিভিশনে ‘টাইমার’ দিয়ে নিতে পারেন, যাতে ঘুমিয়ে পড়লে তা যেন একাই বন্ধ হয়ে যায়।

ঘুমানোর বিশেষ অভ্যাস: কারও গায়ে চাদর লাগবে, কেউ গান শুনতে না পারলে ঘুম হয় না, কারও কোলবালিশ ছাড়া ঘুমানো অসম্ভব ইত্যাদি নানান বিচিত্র ঘুমের অভ্যাস আছে মানুষের। এটা কোনো সমস্যা নয়, বরং তা আপনার নিজস্বতার অংশ।

মদ্যপান: মদ বা যেকোনো নেশাজাতীয় দ্রব্য হয়ত মাথায় ঝিমভাব আনবে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। তবে সেই ঘুম মধ্যরাতে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং তাতে গভীর ঘুমের সময় কমবে। ফলে পর্যাপ্ত সময় ঘুমানোর পরও ক্লান্তি থেকে যেতে পারে।

নাক ডাকার সমাধান: অ্যালার্জি নাক ডাকার সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। নাকের রাস্তায় কোনো কারণে বাধা সৃষ্টি হলে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় কম্পন সৃষ্টি হয়। যে কারণে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ‘ডিকনজেস্ট্যান্ট’ কিংবা ‘অ্যান্টিহিস্টামিন’ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া: অফিস কিংবা ক্লাসে সময়মতো পৌঁছানোর তাড়ায় ঘুম অপূর্ণ থেকে গেলে আগেভাগেই ঘুমাতে যেতে হবে। প্রথম কয়েকদিন ঘুম আসবে না, আবার ভোরে উঠতে হবে এই চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে যেতে পারে। তবে একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে তা ছকে বেঁধে ফেলতে পারবেন। আর সেই অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।

দুশ্চিন্তার ওষুধ লেখা: মাথায় রাজ্যের চিন্তার কারণে যদি ঘুম ধরা না দেয় তবে খাতা কলম নিয়ে বসে পড়তে পারেন। লিখতে শুরু করুন আপনার দুশ্চিন্তাগুলো এবং তা কীভাবে সমাধান করতে চান। এতে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে শান্ত হতে পারবেন। মস্তিষ্ককে দুশ্চিন্তা থেকে অন্যমনষ্ক করার জন্য সংখ্যা গুনতে পারেন।

অনিদ্রার সমাধান মাদক নয়: ঘুমাতে না পারার সমস্যা যদি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছায় তবে মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে হবে। তারা সমস্যার কারণ বের করে সেই অনুযাযী কার্যকর সমাধান দিতে পারবেন। তবে মাদকদ্রব্য সেবন কোনো সমাধান দেবে না, বরং আসক্ত হয়ে যেতে পারেন।

ক্যাফেইন: চা-কফি খেয়েও অনেক মানুষ ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। অভিযোগ করেন, চা-কফিতে তার কাজ হয় না। তাই বলে রাতে ঘুমানো আগে সেগুলো পান করলে সমস্যা আছে। ‘ক্যাফেইন’ গ্রহণের পর ঘুমিয়ে পড়তে পারলেও সেই ঘুম গভীর হবে না।

পেটে ভর দিয়ে ঘুমানো: এভাবে ঘুমানো ঘাড় ও মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পিঠের ভরে ঘুমাতে হবে। পারলে হাঁটুর নিচে বালিশ নিতে পারেন, তাতে পিঠের উপর চাপ কম পড়বে।

ক্রেডিট: বিডিনিউজ ২৪

0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
মোবাইল ফোন সরিয়ে রাখুন বরং সুচসুতো হাতে নিন

 

ড. হ্যান্ডলি বলছেন, টিউডর সময়ে যদিও মোবাইল ফোন বা টেলিভিশন ছিল না, কিন্তু তারা এ সময় অন্য কোন কাজেও সময় দিতো না। কখনো কখনো বিছানায় বসে বা বিছানার পাশে তারা প্রার্থনা করতেন অথবা শুয়ে শুয়ে বই পড়তেন।

 

অনেক সময় নারীরা ঘুমানোর আগে সুই সুতো বা কাটা দিয়ে উলের কাপড় বুনতেন। এ ধরণের কাজ মাথাকে ঠাণ্ডা করে যা অনেকটা ধ্যানের মতো।

 

ঘুমের সমস্যায় রয়েছেন, এমন অনেককে এ ধরণের কাজের পরামর্শ দিচ্ছেন ঘুম বিজ্ঞানীরা।মধ্যরাতে একবার জেগে ওঠা

 

মধ্যরাতে একবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া ভালো লক্ষণ যা টিউডর যুগেও ছিল বলে দেখতে পেয়েছেন ড. হ্যান্ডলি। তিনি বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে মানুষজন দুইভাগে ঘুমাতো। অনেকে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে উঠে মোমের আলোয় বই পড়তো বা চাদের আলোয় হাটাহাটি করতো। তারা হয়তো রাতে জেগে চার্চের ঘণ্টা শুনতো। সুতরাং রাত ১টা কি ২টার সময় ঘুম ভেঙ্গে খানিকক্ষণ সজাগ থাকা একেবারে খারাপ কিছু নয়।ভালো খাবার খাওয়া

 

ভালো ঘুমের সঙ্গে ভালো খাবারের সম্পর্ক রয়েছে। মধ্যযুগেও টিউডোররা জানতো তাদের ভালো খাবার কি হওয়া উচিত এবং অতিরিক্ত খাবার ঘুমের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে।

 

ড. হ্যান্ডলি বলছেন, বিশেষ করে ঘুমের আগে খাবারের বিষয়ে তারা খুব সতর্ক ছিল। তারা এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতেন যা খানিকটা ঠাণ্ডা ধরণের। বিশেষ করে তারা অনেক শসা খেতেন। কারো কারো মধ্যে খানিকটা অপিয়াম খাওয়ারও প্রবণতা ছিল।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,831 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+6 টি ভোট
1 উত্তর 209 বার দেখা হয়েছে
08 ফেব্রুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hasan Rizvy Pranto (39,270 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 718 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 377 বার দেখা হয়েছে
23 ফেব্রুয়ারি 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 1,859 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)

10,771 টি প্রশ্ন

18,440 টি উত্তর

4,741 টি মন্তব্য

257,212 জন সদস্য

33 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 32 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M D Akib

    110 পয়েন্ট

  2. LeathaFulfor

    100 পয়েন্ট

  3. ElvaLazenby8

    100 পয়েন্ট

  4. ww88cocom

    100 পয়েন্ট

  5. MariaLaradaC

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...