চন্দ্রধনু কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
416 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

চাঁদের আলোয় রংধনু : চন্দ্রধনু!

সূর্যের আলোয় আমরা যেমন রংধনু দেখি, সেই একই প্রক্রিয়ায় রাতে চাঁদের আলোয় চন্দ্রধনু তৈরি হয়। রংধনুর মত চন্দ্রধনু সচরাচর চোখে পড়ে না। রাতের আকাশ ও আবহাওয়ার বেশকিছু শর্ত ঐকতানে এলেই কেবল দেখা মেলে এই চন্দ্রধনুর।

বৃষ্টি হলে বাতাসে পানির কণা ভেসে বেড়ায়। বাতাসে ভাসমান পানির কণায় যখন ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলো এসে পড়ে, তখন প্রতিফলন, প্রতিসরণ এবং বিচ্ছুরণের মাধ্যমে তৈরি হয় চন্দ্রধনু বা মুনবো। এই ধনু দেখতে হলে আকাশ হতে হবে কুচকুচে কালো, আর চাঁদ থাকবে একদম দিগন্তরেখার কাছাকাছি। তবেই চাঁদের বিপরীত প্রান্ত সাদাটে রঙ এর চন্দ্রধনু আমাদের চোখে পড়বে। উজ্জ্বল আকাশে চন্দ্রধনু তৈরি হলেও তা চোখে ধরা পড়বে না। কারণ যেকোনো ধরণের ঔজ্বল্য ম্লান চন্দ্রধনুকে আরও অনেক বেশি ম্লান আর ঝাপসা করে দিতে পারে।

প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আলোর বিচ্ছুরন যেখানে হচ্ছে, সেখানে কেন আমরা সাদাটে ধনু দেখতে পাচ্ছি? কেন রঙধনুর মত বর্ণিল সাতরঙ্গা ধনু দেখা যায় না? এর কারণ চাঁদের গা থেকে প্রতিফলিত আলো স–র্যের আলোর তুলনায় অনেক বেশি ম্লান। এই ম্লান আলোতে যে রংধনু তৈরি হচ্ছে তা আমাদের খালি চোখে মলিন, ধূসর-সাদাটে লাগে। তবে লং এক্সপোজার ছবিতে চন্দ্রধনুর সাতরং সহজেই ধরা পড়ে। তাই খালি চোখে চন্দ্রধনুর আসল সৌন্দর্য অবলোকনের চাইতে লং এক্সপোজার ক্যামেরা অনেক বেশি কার্যকর।

সাধারণত এক পশলা বৃষ্টির পর আমরা সূর্যের আলোয় রংধনু দেখতে পাই। চন্দ্রধনু দেখতে পেতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হয়, সেসব শর্তের অনেককিছুই বৃষ্টিস্নাত আকাশ না-ও পূরণ করতে পারে। এজন্য চন্দ্রধনু দেখার সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হল সেসব এলাকা, যেখানে জলপ্রপাত আছে।

তথ্যসূত্র : প্রথম আলো

0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
চন্দ্রধনু
 || রাইজিংবিডি.কম

 প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিরল! বহু বছর পর দেখা গেল সেই চন্দ্রধুন!

চন্দ্রধুন। চাঁদের আলো বায়ুম-লে সূর্যের মতো রংধনু সৃষ্টি করে। তবে চন্দ্রধনু দেখেছেন, এমন মানুষ পৃথিবীতে খুবই সামান্য, তা বলা যায়। কারণ চন্দ্রধনু প্রকৃতির এক বিরল উপহার।

নিস্বর্গবিদ কেলি গ্রোভিয়ার চন্দ্রধনু নিয়ে বিবিসিতে লিখেছেন। ব্রিটিশ কবি উইলিয়াম কোলের চন্দ্রধনু দেখার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছেন তিনি।  ১৭৯৯ সালে নরফোকে এক শরত সন্ধ্যায় একাকী হাঁটছিলেন কবি উইলিয়াম কোল। হঠাৎ রাতের আকাশে তিনি আবিষ্কার করেন রংধনুর মতো বর্ণিল ধনু।

রংধনু সৃষ্টি হয় সূর্যের আলোয়। আর চন্দ্রধনু সৃষ্টি হয় চাঁদের আলোয়। চাদের আলোয় আকাশে ধনুর মতো যে আলোকোচ্ছটা কবি কোল দেখেছিলেন, তার রূপ তিনি কবিতায় বর্ণনা করেছেন, যার দুটি লাইন এমন- ‘বায়ুম-লে আদ্র বাতাস বইছে/ঝাপসা চাঁদোয়ায় ভেসেছে চন্দ্রধুন।’
ভাষান্তরে ক্রুটি থাকতে পারে। তবে কবি কোলের চোখে চন্দ্রধনুর যে রূপ ধরা পড়েছে, তা ছিল সত্যি ও মোহনীয়।

চন্দ্রধনু নিয়ে পাঠকের বিভ্রান্তি থাকতে পারে। এ জন্য কবি কোল তার কবিতার শেষে একটি নির্দেশনা জুড়ে দেন, যাতে তিনি বলেন, ১৭৯৯ সালের ‘নরফোক ক্রনিক্যাল’-এর ১৭ নভেম্বর সংখ্যায় চোখ রাখুন। এ সংবাদপত্রে চন্দ্রধনু সম্পর্কে খবর প্রকাশ করা হয়।

সেই থেকে ২১৭ বছর পর চন্দ্রধনু নিয়ে আবার খবর প্রকাশিত হলো। আবার এক শরত রাতের ঝাপসা চাঁদের আলোয় উঁকি দিল চন্দ্রধনু। কবি কোলের মতো চন্দ্রধনু নিয়ে কেউ নতুন করে কবিতা লিখেছেন কি না, এখনো জানা যায়নি। তবে এবার চন্দ্রধনু নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর রূপ নিয়ে বলা হয়েছে অনেক কথা।

ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের আকাশে ১৮ অক্টোবর কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় চন্দ্রধনু। এর একজোড়া ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 277 বার দেখা হয়েছে
18 জানুয়ারি "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Reyajur Rahman (9,280 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 182 বার দেখা হয়েছে
21 জুলাই 2023 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rafikul Al Imran (5,340 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 150 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 202 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 639 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,410 জন সদস্য

61 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 59 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Israt Jahan Taha

    130 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...