কোয়ার্ক, হেড্রন, লেপ্টন বলতে কী বোঝায়? ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন-এর সাথে এদের সম্পর্ক কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
725 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

পরমাণু গঠিত হয় এসব ক্ষুদ্র কণা দ্বারাই। প্রথমে ভাবা হতো, প্রোটন, নিউট্রন এগুলোই ক্ষুদ্র কণা। কিন্তু, আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের কল্যাণে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন আরো ক্ষুদ্র কণা। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে এই ক্ষুদ্র কণাগুলো পরমাণুর অভ্যন্তরে থাকে।

প্রথমেই আসি কোয়ার্ক এর কথায়: ১৯৬৪ সালে California Institute of Technology -এর তাত্ত্বিক পদার্থবিদ Murray Gell-Mann এবং ১৯৬৮ সালে Stanford Linear Accelerator Center এর বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয়- প্রোটন আর নিউট্রন আরো ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত। Murray Gell-Mann এই কণার নাম দিলেন কোয়ার্ক।

কোয়ার্ক হল মৌলিক কণা এবং বস্তুর মৌলিক উপাদান। কিন্তু, কোয়ার্ক কে প্রকৃতিতে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়না। কোয়ার্কের কতকগুলো স্বকীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর রয়েছে চার্জ, ভর, রঙ চার্জ, ঘূর্ণন (স্পিন)। এখানে একটা জিনিস আমাদের কাছে নতুন লাগতে পারে, তা হলো "রঙ চার্জ"। রঙ চার্জ নিয়ে একটু ভুল ধারণ আছে। এটা আসলে বুঝার সুবিধার্তে তিনটা রঙ দিয়ে আমরা চার্জকে নির্দেশ করে। তিনটি রঙ হলো: লাল, নীল, সবুজ। এই চার্জ গুলো ইলেকট্রিক চার্জের মতই। একটা কোয়ার্কের কেবল একটা রঙের চার্জই থাকতে পারে। মানে লাল, নীল, সবুজের মধ্যে যেকোনো একটি।

image

এই চার্জগুলোর ও আবার একটা বিপরীত চার্জ থাকে বিপরীত কোয়ার্কে। যদি ধনাত্মক কোয়ার্কে লাল থাকে, তার বিপরীতে ঋণাত্বক কোয়ার্কে থাকবে সায়ান (সবুজে নীল), সবুজের বিপরীতে ম্যাজেন্টা, নীলের বিপরীতে হলুদ।

image

প্রকৃতির চারটি মৌলিক বল দ্বারাই কোয়ার্ক অভিজ্ঞতা লাভ করে। কোয়ার্কের আরো ছয়টি কোয়ান্টাইজড ধর্ম রয়েছে, যেগুলো ফ্লেভার নামে পরিচিত। সেগুলো হল : আপ কোয়ার্ক, ডাউন কোয়ার্ক, বটম কোয়ার্ক, টপ কোয়ার্ক, চার্ম কোয়ার্ক, স্ট্রেঞ্জ কোয়ার্ক। আপ আর ডাউন কোয়ার্কের সবচেয়ে কম ভর থাকে। আপ আর ডাউন কোয়ার্ক ই মহাবিশ্বে সাধারণ এবং তারা স্থিতিশীল। যেহেতু, আপ আর ডাউন কোয়ার্ক গুলো স্থিতিশীল, বাকি কোয়ার্ক গুলো উচ্চশক্তির সংঘর্ষের মাধ্যমে তৈরি হয়। টপ কোয়ার্কের প্রথম দর্শন মিলেছিলো ১৯৯৫ সালে ফার্মি ল্যাবে। একটি কোয়ার্কের আকার ১০^-১৯ মিটারের ও কম। স্পিন বা ঘূর্ণন নিয়ে আরো কিছু কথা বলে নিই। আপ কোয়ার্কের স্পিন যেদিকে ডাউন কোয়ার্কের স্পিন হবে তার বিপরীত দিকে।
কোয়ার্কের চার্জ কিন্তু ভগ্নাংশ আকারে হয়। একটি আপ কোয়ার্কের চার্জ +২/৩ হলে একটা ডাউন কোয়ার্কের চার্জ হবে -১/৩।
তাহলে এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে, প্রোটন কিভাবে গঠিত হয় কোয়ার্ক দিয়ে?
প্রোটন = দুইটি আপ কোয়ার্ক + একটি ডাউন কোয়ার্ক।
দুইটি আপ কোয়ার্ক আর একটি ডাউন কোয়ার্ক এর চার্জের যোগফলই হলো +১। যা প্রোটনের চার্জ।
এবার নিউট্রনর ক্ষেত্রে,
নিউট্রন= দুইটি ডাউন কোয়ার্ক + একটি আপ কোয়ার্ক।
দুইটি ডাউন কোয়ার্ক আর একটি আপকোয়ার্ক এর চার্জ যোগ করা হলে যোগফল হবে শুন্য। মানে নিউট্রনের চার্জ শূন্য।
কিন্তু আপনার প্রশ্নমতে, ইলেকট্রনে কোনো কোয়ার্ক থাকেনা। মানে, ইলেকট্রনের সাথে কোয়ার্কের সম্পর্ক ঘটানো যাচ্ছেনা। কারণ, ইলেকট্রন, কোয়ার্কের মতই একটা মৌলিক কণা। এর কোনো অভ্যন্তরীণ গঠন নেই।

এবার চলে যাই হ্যাড্রনে।
হ্যাড্রন: হ্যাড্রন হল যৌগিক কণা। দুইটি অথবা দুইয়ের অধিক কোয়ার্ক নিয়ে হ্যাড্রন গঠিত হয়। কোয়ার্ক গুলো হ্যাড্রনে পরষ্পরের সাথে উচ্চশক্তি দিয়ে যুক্ত থাকে। হ্যাড্রনকে কোয়ার্কের উপর ভিত্তি করে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১। ব্যারিয়ন ২। মেসন।
ব্যারিয়নে বিজোড় সংখ্যক কোয়ার্ক থাকে আর মেসনে জোড় সংখ্যক কোয়ার্ক থাকে। তাহলে এখান থেকে, উল্লেখিত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে প্রোটন আর নিউট্রনই হলো ব্যারিয়ন। কারণ প্রোটন ও নিউট্রন উভয়ের রয়েছে বিজোড় সংখ্যক হ্যাড্রন।

 

 

collected 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 299 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 329 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 344 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 394 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2020 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,320 পয়েন্ট)

10,719 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

239,776 জন সদস্য

44 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 44 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...