অক্সিজেন ছাড়াই জীবনধারণ করতে পারে এমন কোনো জীব বা জীবাণু কি আছে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
529 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকে যে প্রাণী!

image

হেননিগুয়া সালমিনিকোলা, ছবি সংগৃহীত

পৃথিবীতে অক্সিজেন ছাড়া কোনো প্রাণী বাঁচতে পারে না।প্রথম থেকে আমরা এই বিষয়টি জেনে আসছি।

তবে সম্প্রতি ইসরাইলের তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছেন। তারা এমন এক প্রাণীর খোঁজ পেয়েছেন যাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না।

ইসরাইলি গবেষকদের ভিন্ন ধরনের এই প্রাণী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গোটা বিশ্বে।

গবেষকদের দাবি, এই প্রাণীটি দেখতে অনেকটা জেলিফিশের মতো। এরা এক ধরনের পরজীবী। এর বৈজ্ঞানিক নাম হেননিগুয়া সালমিনিকোলা (Henneguya salminicola)।
জানাগেছে, এই প্রাণী ‘মাল্টিসেলুলার’ জীব। যার শরীরে মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম নেই। এই কারণেই এদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না।

মানুষসহ বিশ্বের প্রতিটি প্রাণীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে মাইটোকন্ড্রিয়া পাওয়া যায় যা শ্বাস প্রশ্বাসের প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ‘হেননিগুয়া সালমিনিকোলা’ নামের পরজীবীই হল প্রথম এমন এক জীব যাদের শরীরে মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোমের অস্তিত্ব নেই।

গবেষণার দলের প্রধান ডায়না ইয়াহলোমি জানান, এই পরজীবী মানুষের ও অন্যান্য জীবের পক্ষে মোটেও ক্ষতিকর নয়। তবে গবেষক দল এখনো এটা জেনে উঠতে পারেননি কীভাবে এই প্রাণীর বিকাশ হয়েছে বা এর জন্মই বা হল কী ভাবে!

পরজীবীটি স্যালমন মাছের শরীরে পরজীবী হিসেবে পাওয়া গেছে। স্যালমন মাছ থেকেই খাদ্য অর্জন করে বেঁচে থাকে এই পরজীবী। তবে মাছের কোনো ক্ষতিও করে না এরা। যতক্ষণ মাছ বেঁচে থাকে ততক্ষণ বেঁচে থাকে এই পরজীবী ‘হেননিগুয়া সালমিনিকোলা’ও (Henneguya salminicola)।

ইয়াহলোমি জানান, এটিকে ফ্লুরোসেন্ট মাইক্রোস্কোপ দিয়ে এটি পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, এদের মধ্যে সবুজ নিউক্লিয়াস দেখা গেলেও মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ দেখা যায়নি। ২০১০ সালেও একই রকম ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

ইতালির পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির গবেষক রবার্তো ড্যানভোরো এই ধরনেরই পরজীবীর সন্ধান দেন। ওই পরজীবীদের শরীরেও মাইটোকন্ড্রিয়া পরিষ্কারভাবে দেখা যায়নি।
তবে গবেষণায় জানা যায়, ওই পরজীবীরা গভীর সমুদ্রে বছরের পর বছর বাস করতে পারে। এদের জীবন শক্তির উৎস হাইড্রোজেন সালফাইড। তবে সদ্য পাওয়া ‘হেননিগুয়া সালমিনিকোলা’ (Henneguya salminicola) নামের এই পরজীবীর বাঁচার জন্য হাইড্রোজেন সালফাইডেরও প্রয়োজন হয় না।

 

 

collected 

0 টি ভোট
করেছেন (180 পয়েন্ট)
অবশ্যই আছে।

কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যাদের বলা হয় 'obligate anaerobes '.

এরা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে মারা যায়। গাঁজন প্রক্রিয়ায় এই ধরনের অবায়বীয় জীব ব্যবহার হয়।

রিফারেন্স:

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Anaerobic_organism

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 122 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,022 জন সদস্য

68 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 68 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...