কাতুকুতু  দিলে কেন হাসি পায়? কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা কী আছে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
1,659 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (1,990 পয়েন্ট)
কাতুকুতু দিলেই সুরসুরি লাগে কেন? খিলখিল করে হাসির কারণই বা কী? শরীরের এই নির্দিষ্ট জায়গাগুলিতেই এমন অনুভূতি হওয়ার কারণ কী, তা ভেবে দেখেছেন কখনও? আবার অন্য কেউ সুরসুরি দিলে যতটা কাতুকুতু লাগে, নিজে হাজার চেষ্টা করলেও সেরকম মনে হয় না।

কাতুকুতু লাগলে মানুষের শরীরে যে প্রতিক্রিয়া হয়, দীর্ঘ দিন ধরেই তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। কাতুকুতুর ফলে কেন মানুষ হেসে ওঠে, এখনো পর্যন্ত সেই কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও, বিজ্ঞানীরা একমত, স্নায়ু উদ্দীপিত হওয়া এবং মস্তিষ্ক সচল হওয়ার ফলেই কাতুকুতুর কারণে হাসি পায়। ত্বকের একেবারে বাইরের বা উপরের স্তরকে বলা হয় এপিডারমিস। বিভিন্ন স্নায়ুর শেষ অংশগুলি ত্বকের এই স্তরের নিচে একত্রিত অবস্থায় থাকে। সেখানে উদ্দীপনার সৃষ্টি হলে মস্তিষ্কর দুটি অংশকে এই স্মায়ুগুলি সচল করে তোলে।

প্রথমত, ত্বককে ছুঁলে মস্তিষ্ক তা প্রথমে বিশ্লষণ করে, এরপরে শারীরিক তৃপ্তির অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে যে অংশ, মস্তিষ্কের সেই অংশও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাধারণত, শরীরের যে অংশগুলিতে হাড় থাকে না, সেই অংশগুলিতে কাতুকুতুর অনুভূতি বেশি হয়। যেমন পেটের পাশে বা নিচে অথবা পায়ের পাতার নিচে। বিজ্ঞানীদের মতে, এর পিছনে কাজ করে মানুষের আত্মরক্ষার তাগিদ। কারণ, কাউকে কাতুকুতু দিলেই সে হয় শরীর ভাঁজ করে দেয়, নয় নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে নেয় যাতে যে অংশ কাতুকুতু দেয়া হচ্ছে শরীরের সেই অংশটুকু সংকুচিত হয়ে যায় এবং কাতুকুতু দেয়ার জায়গা যেন না পাওয়া যায়।

তাহলে নিজেই নিজেকে কেন কাতুকুতু দেয়া যায় না? এর পিছনেও যুক্তি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, কেউ নিজেই নিজেকে চমকে দিতে পারে না। চমকে যাওয়া এবং অন্য কারো শরীরের অংশ বা বস্তুর স্পর্শ কাতুকুতুর অনুভূতির প্রাথমিক শর্ত। কেউ যদি নিজের শরীরের সংবেদনশীল অংশে কাতুকুতু দেয়ার কথা ভাবে, তাহলে তার মস্তিষ্ক আগে থেকেই সজাগ হয়ে গিয়ে শরীরের সংশ্লিষ্ট অংশ, কাতুকুতু দেয়ার গতি এবং সময়সীমাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে।

তাছাড়া, নিজেই নিজেকে কাতুকুতু দিলে মস্তিষ্কও সেভাবে কোনো বিপদের আঁচ করে না, ফলে আত্মরক্ষার তাগিদও আসে না। বরং, নিজেই নিজেকে কাতুকুতু দেয়ার চেষ্টা করলে ত্বক সামান্য উদ্দীপিত হয়, যার কারণে সামান্য খসখসে একটা অনুভূতি আসতে পারে, কিন্তু তার কারণে আপনি কখনোই হেসে মাটিতে গড়িয়ে পড়বেন না।
0 টি ভোট
করেছেন (7,800 পয়েন্ট)

কাতুকুতু দিলে হাসি পাওয়ার কারণ হলো, কাতুকুতু দেওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কিছু রাসায়নিকের নিঃসরণ হয়। এই রাসায়নিকগুলি আমাদের মস্তিষ্কে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, যা হাসি পাওয়ার কারণ হয়ে থাকে।

কাতুকুতু দেওয়ার ফলে নিঃসৃত রাসায়নিকগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ডোপামিন: এটি একটি সুখদায়ক রাসায়নিক যা আমাদের আনন্দিত করে তোলে।
  • সেরোটোনিন: এটি একটি মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক যা আমাদের শান্ত এবং সুখী করে তোলে।
  • অক্সিটোসিন: এটি একটি বন্ধন নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক যা আমাদের অন্যদের সাথে সংযুক্ত বোধ করতে সাহায্য করে।

কাতুকুতু দেওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্কের একটি অংশ, যাকে বলা হয় "থালামাস", উদ্দীপিত হয়। থালামাস হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা আমাদের সংবেদনগুলিকে প্রক্রিয়া করে। কাতুকুতু দেওয়ার ফলে থালামাসের উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, যা হাসি পাওয়ার কারণ হয়ে থাকে।

কাতুকুতু দিলে সবসময় হাসি পায় না। এর কারণ হলো, আমাদের শরীরের কিছু অংশ কাতুকুতুর জন্য বেশি সংবেদনশীল। যেমন, পায়ের পাতার নিচের অংশ, বগল, এবং নাভির চারপাশের অংশ। এই অংশগুলিতে কাতুকুতু দিলে বেশি হাসি পায়।

এছাড়াও, কিছু মানুষ কাতুকুতুর প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়। এই ধরনের মানুষদের কাতুকুতু দিলে খুব বেশি হাসি পায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,510 বার দেখা হয়েছে
25 জানুয়ারি 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,290 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 708 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 556 বার দেখা হয়েছে
+13 টি ভোট
2 টি উত্তর 648 বার দেখা হয়েছে

10,824 টি প্রশ্ন

18,530 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

661,110 জন সদস্য

56 জন অনলাইনে রয়েছে
7 জন সদস্য এবং 49 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    670 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    230 পয়েন্ট

  3. M_H_Rohan

    180 পয়েন্ট

  4. Soborno Isaac Bari

    170 পয়েন্ট

  5. giavangol2025

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...