Abdullah Rahman Rahel-
➤একটোপিক প্রেগনেন্সি বলতে ঠিক কি বোঝায় ?
✪যখন ডিম্বানু ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যেই রয়ে যায় , তখন তাকে একটোপিক প্রেগনেন্সি বা টুবাল প্রেগন্যান্সি বলে ।
বেশিরভাগ সময় গর্ভধারণের প্রথম কয়েক সপ্তাহ’র মধ্যে একটোপিক প্রেগনেন্সি ধড়া পড়ে ।
➤একটোপিক প্রেগন্যন্সির লক্ষনগুলো কিকি ?
✪ভ্যাজাইনা থেকে অল্প রক্তপাত
নাউসিয়া এবং ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব
তলপেটে ব্যথা
পেটে টান ধড়া
শরীরের এক দিকে ব্যথা
দূর্বলতা
ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা
➤একটোপিক প্রেগন্যন্সির কারনগুলো কি কি ?
✪ফেলোপিয়ান টিউব নষ্ট হয়ে গেলে সেখান থেকে ডিম্বানু ইউট্রাসে আসতে পারে না । যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে :
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ইনট্রাউটেরাইন ডিভাইস (IUD) ব্যবহার করার প্রবণতা
আগে পেলভিক ইনফ্লামাটোরি জাতীয় কোনও রোগ (PID) হয়ে থাকলে
চালমাইডিয়া এবং গোনোরিহা জাতীয় যৌনসংক্রমন রোগ দেখা দিলে
ফ্যালোপিয়ান টিউব দিয়ে প্রসবের সময় সমস্যা দেখা দিলে
এর আগে কোন পেলভিক সার্জারি হয়ে থাকলে ( ফ্যালোপিয়ান টিউব থেকে ডিম্বানু বেরতে না পারলে )
➤একটোপিক প্রেগনেন্সি’র চিকিৎসা কিভাবে হয় ?
✪যদি ডাক্তার মনে করেন কোন কারণে ফেলোপিয়ান টিউবটি নষ্ট হয়ে গেছে , এমার্জেন্সি সার্জারি না করলে রক্তপাত বন্ধ করা সম্ভব নয়, তখন এই সার্জারি করা হয়ে থাকে । অনেক সময় ফেলোপিয়ান টিউব এবং ওভারি নষ্ট হয়ে গেলে তা কেটে বাদ দিতে হয় ।
আবার অনেকসময় ফেলোপিয়ান টিউবটি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয় না, সেক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রেগন্যান্সির বিকাশও আটকে যায় । ল্যাপরোস্কোপিক সাজার্রি করে ভ্রূণ বাদ দিয়ে, ক্ষতিগ্রস্থ অংশ সারিয়ে তোলা হয় । সার্জারির সময় ফেলোপিয়ান টিউবে একটি ছোট ছিদ্র করে ভ্রূণ বার করা হয় ।
ফ্যালোপিয়ান টিউবটি পুরোপুরি নষ্ট না হলে সেটিকে পুনরায় সারিয়ে তোলার জন্য এবং প্রেগনেন্সির বিকাশ না হলে প্রেগনেন্সি টিস্যুর বৃদ্ধি ওষধু দিয়ে বন্ধ করা হয় ।
➤একটোপিক প্রেগনেন্সির পর গর্ভধারণ করা যায় ?
✪বেশিরভাগ মহিলা যাদের একটোপিক প্রেগনেন্সি ধড়া পড়ে , তারা পরবর্তিকালে স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করতে পারেন । আপনার ফেলোপিয়ান টিউব যদি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে সেক্ষেত্রে ভবিষত্যে আপনি মা হতে পারবেন । যদি যৌন সংক্রমনের জন্য একটোপিক প্রেগন্যেন্সি হয় , সেক্ষেত্রেও পরবর্তিকালে আপনার প্রেগনেন্সির সব্ভাবনা বাড়বে । একটোপিক প্রেগন্যান্সির ঠিক কত সময় পর আপনি আবার মা হতে চান তা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিন । এক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসক 3থেকে 6 মাস পর্যন্ত অপেক্ষার পরামর্শ দেন ।
© desun hospital