Oats খাওয়া কি ভালো ? এটা কি সত্যি যে oats শরীরে কোলেস্টরলের পরিমাণ কমায় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
356 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (105,560 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+7 টি ভোট
করেছেন (34,660 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

হ্যাঁ , ওটস খাওয়া ভালো ৷ 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না থাকলে দেখা দেয় হৃদযন্ত্রের অসুখ। কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে ধমনীতে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক গবেষণাতেই দেখা যায়, ওটসের বেটা-গ্লুক্যান আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

 

 গবেষনা থেকে দেখা গিয়েছে যে এতে রয়েছে অতি উচ্চ মাত্রায় সহজে দ্রবণীয় বেটা-গ্লুকান, যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করে। এবং ধারনা করা হয় হৃদরোগ কমাতেও সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখে । এ ছাড়া ও আরো কিছু কিছু উপকারী উপাদান আছে যেমন আলফা-টোকোটেরিওনল এবং আলফা-টোকোফেরল, যে উপাদানগুলো এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং হৃদযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে, আলজেইমার রোগ, গ্লোকোমা এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। ওটসের উপকারিতা ওটস একটি খুব উপকারী শস্য। ওটস এ প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বিদ্যমান থাকে।

এই ফাইবার আমাদের শরীরে নানা উপকারে আসে। চলুন সংক্ষেপে ওটস আমাদের কি কি ক্ষেত্রে উপকারী শস্য হিসেবে কাজে দেখে নেওয়া যাক। কোলেস্টেরল কমায়: ওটস এ বিদ্যমান ফাইবার লিপিড বা চর্বি কমায়। ওটসে রয়েছে অতি উচ্চ মাত্রায় সহজে দ্রবণীয় বেটা-গ্লুকান যা শরীরের জন্যে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে বেশ সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

ওটসের ডায়েটারিফাইবার কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, খিদে কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে। ওজন কমায়: যারা ওজন কমাতে ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য প্রতিদিন সকালে এক বাটি ওটস নাশতা হিসেবে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। ওটস প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ২০১৩ সালের Journal of the American College of Nutrition একটি জরিপে বলা হয়েছে "অন্য যেকোনো খাদ্যশস্যের তুলনায় ওটমিল বেশিক্ষণ পেট ভরা রাখে ।" গবেষকরা আর বলেন যে, স্বাদবিহীন ইনস্ট্যান্ট ওটমিল ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের মধ্যে স্বাদবিহীন ওটস অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে।

কারণ এতে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বেটা গ্লুকোন ও পেপটাইডের বন্ধন। এ উভয় উপাদানই হল ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন । হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ওটস এ উচ্চ মাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেল ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। ওটস্ এর এন্টিঅক্সিডেন্ট খুবই অনন্য যাকে এভেনানথ্রামাইডস বলা হয়।এটি ফ্রি-রেডিকেল কর্তৃক এল ডি এল কোলষ্টেরল এর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে ফলে হৃদ রোগ হবার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

ওটের লিগ্নান্স হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ও বেটা গ্লুকোন হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।ইউরোপিয়ান ক্লিনিক্যাল নিউট্রেশন জার্নালে প্রকাশিত একটি কানাডিয়ান গভেষণা মতে ওটস লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এলডিএল এবং কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ওটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জে টি ব্রাটেন এর গভেষণা মতে ওটসে থাকা দ্রবনীয় ফাইবারের প্রধান উপাদান বেটা গ্লুকেনের কারনে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে। OZ এবং Roizen এর মতে ওটস হৃদ রোগের জন্যে হুমকিদায়ক রক্তের ক্লোটস কমাতে সাহায্য করে একই সাথে আর্টারিকে স্বাভাবিক রাখে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ওটস খান তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।

রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে:ওটসে আছে উচ্চ মাত্রার শর্করা। তাই সকালের বা বিকেলের নাশতা হিসেবে এটি শরীরে শক্তি যোগাতে কাজ করে। আবার এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে ফাইবার ফলে এটি ধীরে ধীর হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণকে সীমিত রাখে। ওটমিল খুব সহজেই টাইপ ২ ডায়াবেটিসএর ঝুঁকি কমাতে পারে বলে জানা যায়।

 

ওটসে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রোগ ব্যাধির ফরমেশন কে স্থির রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এটি খাবারটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । ওটসে রয়েছে শহক্তিশালী ফাইবার ।এ ফাইবার রোগ প্রতিরোধক কোষ সৃষ্টি করে ও শরীরকে আরো বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন করে তুলে । ওটের বেটা গ্লুকোনের অ্যান্টি মাইক্রোবাইয়াল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:টমিল কিছু কিছু হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। যে সব হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণে স্তন ক্যান্সার হতে পারে। ওটমিলের হোল গ্রেইন্স পোষ্ট-মেনোপজাল মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।ওটসে রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি কার্যকর ভাবে ব্রেস্ট ও অন্যান্য হরমোন সম্পৃক্ত ক্যান্সার কে ধ্বংস করতে পারে।

প্রতিদিন এক বাটি ওটমিল মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৪১% পর্যন্ত কমাতে পারে বলে জানা যায়। কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: ওটসের উচ্চ মাত্রার ফাইবার কোলন ও ইন্টেস্টাইনালের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এটি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে। চিন্তা দূর করে: এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

সেরোটোনিন হল এমন একটি হরমোন যা ক্ষুধা, ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সেরোটোনিন থাকার ফলে ওটস চিন্তা বা দুঃখ দূর কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম গভীর ঘুমের জন্য দায়ী। ওটসে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম তাই এটি মনকে শান্ত ও প্রফুল্ল রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।

ওটস কখন ও কিভাবে খাবেন এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে ওটস জনপ্রিয় খাদ্য না হলেও পশ্চিমা বিশ্বে এটি একটি বহুল পরিচিত একটি খাবার। তারা ব্রেকফাস্টে ওটস খেতে পছন্দ করে করে। ইদানিং ওটসমিল আমাদের দেশেও জনপ্রিয় হচ্ছে। ওটস আর ওটস মিলের পার্থক্য হলে ওটস থেকে যখন প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বানানো হয় তখন একে ওটসমিল বলে।

যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা চাইলে সকাল ও রাতে ওটস খেতে পারেন। ওটস খেলে ক্ষিদা তো মিটবেই সেই সাথে আপনার ওজন বেড়ে যাবার ভয় নেই। বরং ওজন বাড়ার বদলে কমতে থাকতে।ওটে থাকা বিটা গ্লুকেন ফাইবার হাইলি ভিসকাস হয়, যে কারণে স্লো ডাইজেস্ট হয় আর অনেক সময় পেট ভর্তি রাখে| ভোজন রসিকদের জন্যে ব্যাপারটা মজার না যে আপনি ভর পেট খাবেন কিন্ত আপনার ওজন না বেড়ে বরং কমতে থাকবে ? লুসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষনা থেকে জানা যায় যে, ' ওটের মধ্যে এমন একধরনের পদার্থ থাকে যা ক্যালোরি ধরে রাখার পাশাপাশি খিদেও মিটিয়ে দেয়।' এই গবেষনা করে জানা গিয়েছে অন্যান্য শষ্যদানায় ফ্যাট কম থাকলেও খিদে মেটে না এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেহে যায় না।

অন্যদিকে ব্রেকফাস্টে ভারি কোনও খাবার খেলে পেট ভরলেও ক্যালোরি বেড়ে যায় কিন্তু সম্পূর্ণ পুষ্টি হয়না। গবেষনাটি ১০০জন পুরুষ ও মহিলাকে নিয়ে করা হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছে ওটমিল খাওয়ার পর পেট ভরার পাশাপাশি দেহ সঠিক পুষ্টিও পাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল ওটস খাবেন কি ভাবে?

ওটস আপনি অনেক ভাবেই খেতে পারেন। এখানে কয়েকটি উপায় বাতলে দেওয়া হলঃ ১। সকালের নাস্তায় দুধ দিয়ে ওটস খেতে পারেন| এর মধ্যে কুচি করে পছন্দ মত ড্রাই ফ্রুট্স দিতে পারেন । ২।

সকালের নাস্তায় টক দৈ দিয়েও ওটস খেতে পারেন| সাথে ছোট ছোট কুচি করে আপেল বা খেজুর দেওয়া যেতে পারে । এ ছাড়াও স্ট্রবেরি বা ব্লু বেরিও দিতে পারেন। ৩। চাইলে দুপুরের প্রধান মিলে ভাতের বদলে ওটস সেদ্ধ করে নিতে পারেন | এবার ভাতের মত ডাল, তরকারি, মাছের ঝোলের সাথে খেয়ে ফেলুন| ৪। ওটস দিয়ে খিচুরি বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে। ৫। স্ন্যাকস হিসেবে বিকেলে চা বা কফির সাথে ওটসের বিস্কিট খেতে পারেন।

Source :   Breaking Gram

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+13 টি ভোট
1 উত্তর 213 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
1 উত্তর 316 বার দেখা হয়েছে
+15 টি ভোট
1 উত্তর 108 বার দেখা হয়েছে
10 ডিসেম্বর 2020 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন HABA Audrita Roy (105,560 পয়েন্ট)

10,727 টি প্রশ্ন

18,372 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,645 জন সদস্য

45 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 44 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Ahnaf_Tahmid

    330 পয়েন্ট

  3. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  4. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  5. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ তাপমাত্রা রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...