আসলে পৃথিবীতে জলপরীর কোনো অস্তিত্ব আছে কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
2,626 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
কবির-

রূপকথার খুবই জনপ্রিয় একটি কাল্পনিক চরিত্র হলো জলপরি বা মারমেইড, যাদের দেহের উপরের অংশ নারীদের মতো ও নিচের অংশ মাছের মতো। মারমেইড বা জলপরীর সবচেয়ে বড় গল্পগুলো হলো মধ্যযুগের নাবিকদের নিয়ে। তারা দাবী করতো মাঝসমুদ্রে কখনো জাহাজ হারিয়ে গেলে অনেক সময় নৌকা নামিয়ে কুয়াশার ভিতর দ্বীপ খুঁজতে যেতে হত। তখন তারা নাকি কোনো পাথর বা ছোট্ট বালিচরের তীরে খুবই সুন্দর কিছু নারীর দেখা পেতেন যারা তাদের নাম ধরে ডাকত। নাবিকরা কাছে গেলেই তারা নাকি হিংস্র প্রাণীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়তো। এদেরকে siren বা কুহকীনি বা কেউ কেউ মারমেইডও বলে ।

এই রহস্যটি আরও ঘোলা হয় যখন মাদাগাস্কার এর কাছে একটি চলন্ত জাহাজ থেকে রেকর্ড করা মাত্র এক-দেরশো মিটার দুরত্বেই এক সাথে ডজনখানেক মারমেইডসদৃশ প্রাণীকে দ্রুত সাঁতরে থাকতে দেখা যায় (YouTube)। বিষয়টি আরো ঘোলা হয় যখন কয়েকজন জেলে (পরিচয় অজানা) দাবি করেন তাদের জালে মারমেইড আটকা পড়েছে ।

তবে আর যাই হোক, মানুষ এখন পর্যন্ত মাত্র ৫% সমুদ্রের রহস্য উদ্ধার করতে পেরেছে । অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতায় এদের অস্তিত্ব এটা প্রমাণ করে নিশ্চয়ই আমাদের পূর্বপুরুষগণ এ জাতীয় কিছু দেখেছিলেন। কারণ এতকিছুকে কাকতালীয় বলা যাবে না। যদি জ্বীন সত্য হতে পারে, তো মৎস্যকণ্যা কেন নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি বলে থাকি, এরা আছে, তবে হয়তো দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ নয় (যেমন গরিলা)। তো পাচ্ছি না কেন? ঐযে বললাম ৫%, আরো ৯৫% বাকি । সমুদ্রে মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়া, পরিবেশ দূষণ, উষ্ণতা বাড়া ইত্যাদি কারণে হয়তো এরা আত্নগোপনে চলে গেছে ।
+7 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
মৎস্যকন্যা বা মারমেইড হচ্ছে এক ধরনের জলজপ্রাণী, যার উপরের অংশ নারীর মতো এবং নিচের অংশ একটা মাছের মতো। হাজার বছরের পৃথিবীতে একটি বিশাল প্রশ্ন হচ্ছে এই মৎস্যকন্যা বাস্তবে আছে না-কি নেই। এই প্রশ্নের উত্তর আজো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলের উপকথাতেই এ ধরনের প্রাণীর গল্প প্রচলিত রয়েছে। পৃথিবীর সব আদি সভ্যতায় মারমেইড বা মৎস্যকন্যাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। যেসব অঞ্চলের সভ্যতায় এদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি সেগুলো হচ্ছে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন অর্থাৎ সমগ্র পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ, ভারতীয় উপমহাদেশ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আটলান্টিক মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, ওশেনিয়া ইত্যাদি।

 তথ্যসূত্র :  বিডি প্রতিদিন
করেছেন
মারমেইড বা জলপরীর সবচেয়ে বড় গল্পগুলো হলো মধ্যযুগের নাবিকদের নিয়ে । তারা দাবী করতো মাঝসমুদ্রে কখনো জাহাজ হারিয়ে গেলে অনেক সময় নৌকা নামিয়ে কুয়াশার ভিতর দ্বীপ খুঁজতে যেতে হত । তখন তারা নাকি কোনো পাথর বা ছোট্ট বালিচরের তীরে খুবই সুন্দর কিছু নারীর দেখা পেতেন যারা তাদের নাম ধরে ডাকত । নাবিকরা কাছে গেলেই তারা নাকি হিংস্র প্রাণীর মতো ঝাঁপিয়ে পড়তো । এদেরকে siren বা কুহকীনি বা কেউ কেউ মারমেইডও বলে ।

 এই রহস্যটি আরও ঘোলা হয় যখন মাদাগাস্কার এর কাছে একটি চলন্ত জাহাজ থেকে রেকর্ড করা মাত্র এক-দেরশো মিটার দুরত্বেই এক সাথে ডজনখানেক মারমেইডসদৃশ প্রাণীকে দ্রুত সাঁতরে থাকতে দেখা যায় (YouTube)। বিষয়টি আরো ঘোলা হয় যখন কয়েকজন জেলে (পরিচয় অজানা) দাবি করেন তাদের জালে মারমেইড আটকা পড়েছে ।
তবে আর যাই হোক, মানুষ এখন পর্যন্ত মাত্র ৫% সমুদ্রের রহস্য উদ্ধার করতে পেরেছে । অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতায় এদের অস্তিত্ব এটা প্রমাণ করে নিশ্চয়ই আমাদের পূর্বপুরুষগণ এ জাতীয় কিছু দেখেছিলেন । কারণ এতকিছুকে কাকতালীয় বলা যাবে না । যদি জ্বীন সত্য হতে পারে, তো মৎস্যকণ্যা কেন নয় । ব্যক্তিগতভাবে আমি বলে থাকি, এরা আছে, তবে হয়তো দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ নয় (যেমন গরিলা)। তো পাচ্ছি না কেন ? ঐযে বললাম ৫%, আরো ৯৫% বাকি । সমুদ্রে মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়া, পরিবেশ দূষণ, উষ্ণতা বাড়া ইত্যাদি কারণে হয়তো এরা আত্নগোপনে চলে গেছে ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+11 টি ভোট
1 উত্তর 396 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 296 বার দেখা হয়েছে

10,854 টি প্রশ্ন

18,552 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

852,124 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 22 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...