হঠাৎ পায়ে ঝিনঝিন ধরে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+18 টি ভোট
476 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (105,570 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
অনেকে মনে করে থাকেন, ঝি ঝি ধরার সাথে আমাদের রক্তনালির সম্পর্ক আছে। তাদের ধারনা, যখন কোনো অংশে চাপ পরে, ওই অংশে সাময়িক সময়ের জন্য রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার জন্য ঝি ঝি ধরার মতো অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু, এটা সঠিক নয়। ঝি ঝি ধরার পিছনে কারণটা রক্ত নালিতে চাপ পড়ার কারণে নয়, মূলত হয় সেই স্থানের স্নায়ু র উপর চাপ পড়ার কারণে এবং যখন চাপ অপসারিত হয় তখন আস্তে আস্তে আর ঝি ঝি ধরাও থাকে না। একটু ব্যাখ্যা করি তাহলে, স্নায়ু হচ্ছে আপনার শরীরের বিশেষায়িত কোষ যাকে নিউরনও বলা হয়। এরা শরীরের যেকোনো ধরণের বার্তা, এক স্থান থেকে আরেক স্থানে তড়িৎ সংকেতের মাধ্যমে পরিবহন করে। স্নায়ু গুলো একটা আরেকটির সাথে বিশেষ ভাবে যুক্ত থাকে এবং তথ্য এক স্নায়ু থেকে আরেক স্নায়ুতে অতি দ্রুত গতিতে পাঠিয়ে থাকে। যে কোনো ধরনের বার্তা শরীরে ছড়িয়ে থাকা স্নায়ুর মাধ্যমে আপনার মেরুদণ্ডের ভিতরে থাকা সুষম্নাকান্ড হয়ে মস্তিস্কে পৌছায়। যেমন ধরুন, আপনি আগুনে হাত দিয়েছেন, হাত দেয়ার সাথে সাথে উত্তাপ অনুভব করবেন এবং সাথে ব্যথাও পাবেন। কেন পাবেন? কারণ আপনার হাতের চামড়ার নিচে থাকা সেন্সরী রিসেপ্টর সেই উত্তাপ আর ব্যথার বার্তাকে স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিস্কে পাঠিয়ে দেয় এবং তখন বুঝতে পারেন যে আপনার গরম লাগছে এবং ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। ঠিক Paresthesia তেও এরকম ঘটনা ঘটে। যখন স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে তখন আর কোনো ধরনের বার্তা সাময়িক সময়ের জন্য মস্তিস্কে যেতে পারে না, ফলে আপনি কোন অনুভুতিও পান না। যখনি চাপ অপসারিত হয়, আবার সব কিছু চালু হয় এবং এই অস্বাভাবিক অনুভূতি স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিস্কে যায় আর আপনি ঝি ঝি ধরার মতো অস্বাভাবিক অনুভূতি পেয়ে থাকেন। কিছু সময়ের মধ্যে এই অনুভূতি আর থাকে না।
0 টি ভোট
করেছেন (1,410 পয়েন্ট)

ঝি ঝি কেন ধরে?

ঝি ঝি ধরার অনুভূতিটা আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা রহস্যজনক মনে হলেও এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা কিন্তু খুবই সহজ।

 

আমাদের দেহের সবখানেই অসংখ্য স্নায়ু রয়েছে যেগুলো মস্তিষ্ক ও দেহের অন্যান্য অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে থাকে।

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞএস এম সিয়াম হাসান বলেন, "বসা বা শোয়ার সময় সেসব স্নায়ুর কোনো একটিতে চাপ পড়লে দেহের ঐ অংশে রক্ত চলাচলকারী শিরার ওপরও চাপ পড়ে। ফলে শরীরের ঐ অংশে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এর ফলে ঝি ঝি ধরতে পারে।"

 

স্নায়ুতে চাপ পড়ার ফলে শরীরের ঐ অংশ থেকে যেসব তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছানোর কথা ছিল, তা বাধাগ্রস্থ হয়। একইসাথে স্নায়ুগুলোও হৃৎপিণ্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পাওয়া থেকে বিরত থাকে যেহেতু রক্ত সরবরাহকারী শিরার ওপর চাপ পড়ে।

 

এরকম পরিস্থিতি থেকে যখন চাপ অপসারিত হয়, তখন একসাথে প্রচুর পরিমাণ রক্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গে প্রবাহিত হয় এবং একসাথে প্রচুর পরিমাণ তথ্য মস্তিষ্কে প্রবাহিত হতে শুরু করে।

 

এই 'ঝি ঝি ধরা' অনুভূতিটিকে তিন ধাপে বিভক্ত করা যায়।

 

প্রথমত, চাপ প্রয়োগ হওয়ার মিনিট খানেক পর তিন থেকে চার মিনিটের জন্য স্থায়ী হওয়া অস্বস্তিকর অনুভূতি, যেটিকে 'কমপ্রেশন টিঙ্গলিং' বলা হয়।

 

এই অনুভূতিকে অনেকে এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেন, তাদের 'চামড়ার ভেতরের অংশে পিপড়া দৌড়াদৌড়ি করছিল।'

 

দ্বিতীয় ধাপটি সাধারণত শুরু হয় দশ মিনিট পর। এই ধাপে হাতে বা পায়ে অসাড়তা বোধ হয় এবং যতক্ষণ স্নায়ুর ওপর চাপ থাকে ততক্ষণ এই অনুভূতি থাকে।

 

তৃতীয় ও শেষ ধাপটি শুরু হয় চাপ অপসারণ করার পর। এই অংশটিকেই ইংরেজিতে 'পিনস অ্যান্ড নিডলস' বলা হয়।

 

প্রথম দুই ধাপের তুলনায় এই ধাপটি অপেক্ষাকৃত বেশি যন্ত্রণাদায়ক, তবে সাধারণত এই ধাপে যন্ত্রণা বা ব্যাথার চেয়ে ভিন্ন ধরণের উত্তেজনা বোধ করে বলেই জানিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ।

 

কিছুটা ব্যথা বা যন্ত্রণার অনুভূতি থাকলেও তার পুরোটাই শারীরিক।

 

এই অনুভূতি কিছুক্ষণের মধ্যেই স্তিমিত হয়ে গেলেও ঠিক কোন জায়গায় এই অনুভূতির সূচনা হয়েছিল বা কোথায় শেষ হয়, সেটি নির্দিষ্টভাবে বলতে পারে না মানুষ।

 

ঝি ঝি ধরলে সাময়িকভাবে অসাড় হয়ে যাওয়া অঙ্গটি টানটান করে রাখলে সাধারণত কিছুক্ষণের মধ্যে দ্রুত ঐ অঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়।

 

© BBC

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 168 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
1 উত্তর 267 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 915 বার দেখা হয়েছে
13 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+18 টি ভোট
1 উত্তর 276 বার দেখা হয়েছে
28 নভেম্বর 2020 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন HABA Audrita Roy (105,570 পয়েন্ট)

10,815 টি প্রশ্ন

18,521 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

648,103 জন সদস্য

63 জন অনলাইনে রয়েছে
11 জন সদস্য এবং 52 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Dibbo_Nath

    230 পয়েন্ট

  2. M_H_Rohan

    180 পয়েন্ট

  3. Soborno Isaac Bari

    170 পয়েন্ট

  4. giavangol2025

    120 পয়েন্ট

  5. keonhacai1820

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...