আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ এর উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকের দেশগুলোর মানুষের চেহারা প্রায় কাছাকাছি। যেমন : নেপাল, ভুটান, চিন, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, ফিলিপাইন ইত্যাদি। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান অন্যান্য ওই দেশ গুলোর থেকে চেহারা ভিন্ন কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
201 বার দেখা হয়েছে
"বাংলাদেশ ও বিশ্ব" বিভাগে করেছেন (2,030 পয়েন্ট)
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ (ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান) এর উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকের দেশগুলোর মানুষের চেহারা প্রায় কাছাকাছি, ছোট ছোট চোখ। যেমন : নেপাল, ভুটান, চিন, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, ফিলিপাইন ইত্যাদি। কিন্তু ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান অন্যান্য ওই দেশ গুলোর থেকে চেহারা ভিন্ন কেন?

বি: দ্র: উল্লেখিত দেশ গুলো ছাড়াও বাংলাদেশ এবং ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করা মানুষ গুলোর চেহারাও সেসব দেশের মানুষের মতোই। কিন্তু কেন?

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (880 পয়েন্ট)

এর বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ আছে:

1. ঐতিহাসিক অভিবাসন:

  • আর্যদের আগমন: খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে, ইন্দো-ইরানীয় ভাষাভাষী আর্যরা ভারতীয় উপমহাদেশে অভিবাসন শুরু করে। তারা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এসেছিল এবং তাদের নিজস্ব শারীরিক বৈশিষ্ট্য (যেমন, লম্বা নাক, চোখের রঙ) ছিল।
  • মঙ্গোলদের আক্রমণ: ১৩ শতকে, মঙ্গোলরা ভারতীয় উপমহাদেশ আক্রমণ করে। তাদের আগমনের ফলে জনসংখ্যার সাথে মিশ্রণ ঘটে এবং কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটে।
  • অন্যান্য অভিবাসন: আরব, পারস্য, তুর্কি, এবং ইউরোপীয়দের মতো অন্যান্য জনগোষ্ঠীর আগমনের ফলেও ভারতীয় উপমহাদেশের জনসংখ্যার সাথে মিশ্রণ ঘটেছে।

2. ভৌগোলিক অবস্থান:

  • ভৌগোলিক বাধা: হিমালয় পর্বতমালা ভারতীয় উপমহাদেশকে উত্তরের অন্যান্য দেশগুলো থেকে আলাদা করে রেখেছে। এই বাধা দীর্ঘ সময় ধরে জনসংখ্যার মিশ্রণকে সীমাবদ্ধ করেছে।
  • আবহাওয়া: ভারতীয় উপমহাদেশের গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্যের (যেমন, ত্বকের রঙ, চুলের ধরণ) পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।

3. জিনগত বৈচিত্র্য:

  • জিনগত মিশ্রণ: ভারতীয় উপমহাদেশে জনসংখ্যার জিনগত বৈচিত্র্য অনেক বেশি। বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মিশ্রণের ফলে শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
  • অনন্য জিন: ভারতীয় উপমহাদেশের কিছু জনগোষ্ঠীর নিজস্ব অনন্য জিন আছে যা তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে প্রভাবিত করে।

4. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব:

  • বিবাহ ও জাতিব্যবস্থা: ভারতীয় উপমহাদেশে, বিবাহ প্রায়শই একই জাতি বা বর্ণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এই প্রথা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বৈচিত্র্য হ্রাস করতে সাহায্য করে।
  • জীবনযাত্রার মান: ভারতীয় উপমহাদেশের কিছু অংশে দারিদ্র্য ও অপুষ্টির হার বেশি।
0 টি ভোট
করেছেন (2,030 পয়েন্ট)

মূলত দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের দুইটি প্রধান গ্রুপ রয়েছে।

একটি আর্য অন্যটি দ্রাবিড়।

আমরা সবাই এই দুইটি জাতির মিশ্রণ। উত্তর ভারতীয় অঞ্চল ও পাকিস্তানে আর্য জিনের পরিমাণ বেশি পাশাপাশি তাদের কিছু ইরানিয়ান, তুর্কিক ও আরবীয় জিনের মিশ্রণ আছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে দ্রাবিড় জিনের প্রাভব অনেকটা বেশী, তাই তাদের দেখতে একটু বেশি কালো ও তামিলদের মতো।

অন্যদিকে পূর্ব ভারত তথা, বাংলা, ওড়িশা, ত্রিপুরা ও আসামের মানুষের মাঝে রয়েছে অতিমাত্রায় অস্টোলয়েটেড মিশ্রণ, মানে আমাদের মাঝে সবথেকে বেশি আস্ত্রীয় ও তারপরেই যথাক্রমে আর্য ও দ্রাবিড় মিশ্রণ রয়েছে। তাই আমাদের দেখতে নর্থ ইডিয়ান ও পাকিস্তানীদের থেকে একটু কালো তবে দক্ষিণ ভারতীয়দের থেকে সাদা।

আর নেপাল, চিন, থাইল্যান্ড, ভারতের পূর্বাঞ্চল, বার্মা, জাপান এরা হচ্ছে মঙ্গোলদের জাতি। যাদের শীতের পরিবেশে থাকার কারণে চোখের উপর ও নিচে চর্বির স্তর রয়েছে, তাই চোখ ছোট দেখায়।

তাছাড়া ইন্দোনেশিয়া আর মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও নেটিভ অস্ট্রেলিয়ানরা হলো অস্ট্রোলয়েড জাতি।

আমরা বাঙ্গালীরা প্রধানত অস্ট্রোলয়েড অর্থাৎ অস্ট্রিক জাতি তবে আমাদের ভাষা হলো আর্য ভাষা। আর গায়ের রং হলো কিছুটা দ্রাবিড়দের মতো।

অর্থাৎ আমরা একটি সংকর জাতি। 

 

© Collected (FB ID: Pierre Currie)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 408 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,031 বার দেখা হয়েছে
11 ডিসেম্বর 2020 "বাংলাদেশ ও বিশ্ব" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Zubayer Mahmud (11,220 পয়েন্ট)

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

561,602 জন সদস্য

54 জন অনলাইনে রয়েছে
14 জন সদস্য এবং 40 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...