ট্রাইপোফোবিয়া কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
254 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

মৌচাকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গর্ত, সাবানের ছোট ছোট ফেনা, অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত প্রাণী কিংবা ছোট খাটো কোনো গর্ত দেখার কারণে যদি আপনার অস্বস্তিবোধ থেকে শুরু করে গুরুতর মাইগ্রেন, প্যানিক অ্যাটাক, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পর্যন্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সম্ভবত ট্রাইপোফোবিয়া নামক এক ধরনের ফোবিয়ায় আক্রান্ত। খুব সহজ কথায় বলতে গেলে, ট্রাইপোফোবিয়া হলো নির্দিষ্ট কিছু চাক্ষুষ বৈশিষ্ট্যর কারণে তৈরি ভয় মূলত বিভিন্ন গঠনের ক্ষুদ্র গর্ত দেখার কারণে তৈরি ভয়।

ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের তথ্যমতে, এটি সবচেয়ে কমন বা সাধারণ ফোবিয়ার মধ্যে একটি। এক রিসার্চে দেখা যায় যে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৬% এই ফোবিয়ার ভুক্তভোগী ছিলেন। ট্রাইপোফোবিয়া শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে : τρῦπα , trŷpa , যার অর্থ "গর্ত" এবং φόβος , ফোবোস , যার অর্থ "ভয়"। ধারণা করা হয়, ২০০৫ সালে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর থেকেই ট্রাইপোফোবিয়া শব্দটির জন্ম হয়। এই ফোবিয়াটি খুব বেশি প্রচারিত না হওয়ার কারণে ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই একা এই ফোবিয়ায় ভুগছেন বলে ধারণা করে থাকেন, একই কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ট্রাইপোফোবিয়াকে ট্রিগার করে এমনসব ছবির দেখাও মিলে প্রায়শই। তবে মনে রাখা উচিত, এই ফোবিয়ায় আক্রান্তরা এইসব ছবি দেখে মারাত্মক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পরে যান। ট্রাইপোফোবিয়া প্রায়ই একটি স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়া(an autonomic nervous system response) হিসেবে সামনে আসে । যে আকারগুলো ট্রাইপোফোবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তাদের মধ্যে রয়েছে গুচ্ছ গর্তযুক্ত জিনিস যেমন ফল এবং বুদবুদ, কিংবা পোকামাকড় দ্বারা তৈরি গর্ত এবং ক্ষতস্থানে সৃষ্ট গর্ত। আবার রোগাক্রান্ত টিস্যুতে গর্ত যেমন কুকুর বা অন্য প্রাণীতে কীটপতঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট গর্ত । এই আকার-আকৃতিগুলো দেখে, কেউ কেউ দাবি করেন যে তাদের শরীর কাঁপছে, তাদের ত্বকে কিছু হামাগুড়ি দিচ্ছে/ crawling করছে অথবা প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করছেন, ঘামছেন, বুক ধড়ফড় করছে বা বমি বমি ভাব বা চুলকানি অনুভব করছেন ।অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে গুজ বাম্পস, অস্বস্তি বোধ করা, এবং দৃষ্টিশক্তির অস্বস্তি যেমন চোখে ঝাপসা দেখা, দৃষ্টি বিভ্রম ইত্যাদি।

ট্রাইপোফোবিয়া ভয় অথবা ঘৃণা কিংবা উভয়েরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে। যারা ট্রাইপোফোবিয়ায় আক্রান্ত তাদের মধ্যে ঘৃণার (disgust) অনুভূতি বেশ প্রখর থাকে ।

ট্রাইপোফোবিয়া নিয়ে গবেষণা এখনও বেশ সীমিত, তবে কেন এটি ঘটে সে সম্পর্কে বেশ কিছু তত্ত্ব রয়েছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বগুলোর মধ্যে একটি হলো বিবর্তনীয় কারণ। ধারণা করা হয় যে, রোগ বা বিপদের সাথে সম্পর্কিত জিনিসগুলোর একটি বিবর্তনীয় প্রতিক্রিয়া হলো ট্রাইপোফোবিয়া। যেমন- রোগাক্রান্ত ত্বক, পরজীবী এবং অন্যান্য সংক্রামক অবস্থা ইত্যাদির সাথে গর্ত বা বাম্পের কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায় ( যেমনঃ ক্ষতস্থানের গর্ত, বিভিন্ন প্রাণীর দেহে পরজীবি)। এইসব ঘটনা ট্রাইপোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ট্রিগার হিসেবে কাজ করে, এগুলো ভয়ের চেয়ে বেশি ঘৃণা অনুভব করার প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আরেকটি তত্ত্ব পরামর্শ দেয় যে গুচ্ছ গর্তের সাথে কিছু বিষাক্ত প্রাণীর চামড়া এবং আবরণের প্যাটার্নের সাথে মিল থাকায় ট্রাইপোফোবিক লোকেরা অচেতন মনে এই প্যাটার্নগুলোকে মিলিয়ে ফেলে ফলে এই নিদর্শনগুলোকে ভয় পেতে থাকেন।

এই ধারণা সমর্থন করে এমন কিছু গবেষণাও আছে। ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ট্রাইপোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা কীভাবে এই শর্ত অনুযায়ী তাদের এই ফোবিয়া আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ হিসেবে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। একটি মৌচাক ( সাধারণ ট্রাইপোফোবিক  বস্তু) দেখার সময়, যাদের ট্রাইপোফোবিয়া নেই তারা মধু বা মৌমাছির মতো জিনিসগুলোর কথা ভাবেন। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যাদের ট্রাইপোফোবিয়া আছে তারা অচেতন মনে মৌচাককে বিপজ্জনক জীবের সাথে তুলনা করে ফেলে যেমন র‍্যাটলস্নেকের সাথে মৌচাকের প্যাটার্নগত মিল রয়েছে। যদি তারা এ সম্পর্কে নাও জানেন তবুও তারা তাদের ঘৃণা বা ভয়ের অনুভূতির কারণে ট্রাইপোফোবিয়ার শিকার হতে পারেন ।
ট্রাইপোফোবিয়ার কোনো চিকিৎসা নেই। কিন্তু এক্সপোজার থেরাপি ( যা ফোবিয়া চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়) একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

পুরুষদের চেয়ে নারীরা ট্রাইপোফোবিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। যেহেতু,, অধিকাংশ ট্রাইপোফোবিয়া ভুক্তভোগী জানেনই না যে তিনি এটি দ্বারা আক্রান্ত তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করার ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। আমাদের আপলোড করা ট্রাইপোফোবিক ছবি যেন কারো ট্রাইপোফোবিয়াকে ট্রিগার করে না বসে এদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।


Collected From: Team Science Bee

0 টি ভোট
করেছেন (150 পয়েন্ট)
ট্রাইপোফোবিয়া হলো একটি অস্থিতিশীল ভয় বা আতঙ্কের অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি কিছু নির্দিষ্ট উদ্দীপণার বা আকৃতির দ্বারা আতঙ্কিত হয়ে থাকে। এই ভয়টি সাধারণভাবে সার্কফোবিয়া হিসেবেও পরিচিত।
যেমন,কেউ যদি  প্রকৃতির পাখি, বনপ্রানী, ফুলের ছবি বা বাগানের দৃশ্য দেখলে আতঙ্কিত হয়,তাহলে সে ট্রাইপোফোবিক।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 13,972 বার দেখা হয়েছে
06 অক্টোবর 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,400 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 539 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 465 বার দেখা হয়েছে

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

854,683 জন সদস্য

75 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 75 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. xocdia88aeorg

    100 পয়েন্ট

  2. pu88now

    100 পয়েন্ট

  3. Ggpokerrrcom1

    100 পয়েন্ট

  4. n8gamesorg

    100 পয়েন্ট

  5. hbbet2pro

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...