ক্রোমোজমের ভৌত গঠন কি??? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
448 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (1,800 পয়েন্ট)
স্যাটেলাইট,গৌণকুঞ্চন, ক্রোমোনেমাটা,সেন্ট্রোমিয়ার,ধাত্র এই কয়টা দিয়ে ভৌত গঠন দিন।

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (5,110 পয়েন্ট)

ক্রোমোজোমের ভৌত গঠন

ক্রোমোজোম ভৌত গঠন অধ্যায়ন করার উপযুক্ত দশা হল মাইটোটিক মেটাফেজ দশা। এই মাইটোটিক মেটাফেজ দশায় একটি আদর্শ ক্রোমোজোমের গঠন নিম্নরূপ হয়…..

মেটাফেজ ক্রোমোজোম এর মধ্যে থাকে একটি মুখ্য খাঁজ (primary constriction) বা সেন্ট্রোমিয়ার এবং একটি গৌণ খাঁজ বা (secondary constriction)। সেন্ট্রোমিয়ার এর দুদিকে প্রসারিত থাকে ক্রোমোজোমের দুটি বাহু। প্রতিটি বাহু দুটি করে ক্রোমাটিডে বিভক্ত থাকে। এছাড়াও কোন কোন ক্রোমোজোমে গৌণ খাঁজের প্রান্তভাগে টেনিস বলের মত গোলাকার গঠন দেখা যায়, এদের নাম স্যাটেলাইট অঞ্চল। ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিন গুলির প্রান্তকে বলা হয় টেলোমিয়ার

ক্রোমাটিড

ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চলের দিকে প্রসারিত বাহুদের বলা হয় ক্রোমাটিড। সেন্ট্রোমিয়ারের প্রতি পাশের ক্রোমাটিড দুটি একই আকারের হয়ে থাকে। তবে সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে একদিকের দুটি ক্রোমাটিড অপর পাশের দুটি ক্রোমাটিড থেকে ছোট বা বড় হতে পারে। ছোট বাহুর ক্রোমাটিডকে বলা হয় p এবং বড়ো বাহুর ক্রোমাটিডকে বলা হয় q।

মাইটোটিক কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশার প্রাথমিক পর্যায় পর্যন্ত সেন্ট্রোমিয়ার বিভাজিত হয় না। তাই ক্রোমাটিডগুলি একই সঙ্গে থাকে। তবে মেটাফেজের মধ্য পর্যায়ে সেন্ট্রোমিয়ার বিভাজিত হবার ফলে ক্রোমাটিডগুলিও পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অ্যানাফেজ দশা প্রতিটি ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিনগুলি স্পিন্ডলের দিকে গমন করে। সুতরাং মেটাফেজ ক্রোমোজোমের গঠনে দুটি করে ক্রোমাটিড থাকলেও অ্যানাফেজ ক্রোমোজোমে থাকে একটি করে ক্রোমাটিড।

ক্রোমোনেমা

কখনো কখনো কোষ বিভাজনের ইন্টারফেজ দশা এবং বিশেষত প্রোফেজ দশায় ক্রোমোজোমের গঠন অত্যন্ত সরু সুতোর মতো দেখায়। এই অবস্থায় এদের বলা হয় ক্রোমোনেমা। আসলে এরা ক্রোমাটিডের প্রাথমিক অবস্থা। বিজ্ঞানীদের ধারণা ক্রোমোনেমা এবং তার পূর্ববর্তী রূপ ক্রোমাটিড এর মধ্যে একটি মাত্র দ্বিতন্ত্রী DNA অণু প্রোটিনের সঙ্গে বিশেষভাবে যুক্ত অবস্থায় সমগ্র ক্রোমাটিড জুড়ে অবস্থান করে।

ক্রোমোমিয়ার

ইন্টারফেজ দশা আর ক্রোমোজোম গুলি জটিল অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পর্যবেক্ষণ করলে এদের গায়ে দানার মতো উপাদান দেখতে পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলিকে বলা হয় ক্রোমোমিয়ার। মেটাফেজ দশায় ক্রোমোজোম গুলি পেচিয়ে খুব ঘন হয়ে যায়।
তাই এই দশায় ক্রোমোমিয়ারগুলি দেখা যায় না।

সেন্ট্রোমিয়ার

মেটাফেজ ক্রোমোজোম এর কোন একটি অংশে একটি করে বিশেষ খাঁজ থাকে। এই অংশের নাম মুখ্য খাঁজ বা সেন্ট্রোমিয়ার। ক্ষারীয় রঞ্জক দিয়ে ক্রোমোজোমকে রঞ্জিত করলে সেন্ট্রোমিয়ার অংশটি অধিকমাত্রায় রঞ্জিত হয়।এজন্য সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চলটি হেটারোক্রোমাটিন অঞ্চল বলে চিহ্নিত হয়েছে।

কাইনেটোকোর

সেন্ট্রোমিয়ার এর পাশে অবস্থিত কাইনেটোকোর অংশটি দেখতে চাকতির মত হয়। এই চাকতি অংশেই মাইক্রোটিউবিউল গুলি যুক্ত থাকে। সাধারণত ৪ থেকে ৪০ টি মাইক্রোটিউবিউল কাইনেটোকোর অংশ যুক্ত হতে পারে। অধিকাংশ ক্রোমোজোমে একটি কাইনেটোকর থাকে। তাই একে বলা হয় মনোসেন্ত্রিক। তবে কিছু ক্ষেত্রে কাইনেটোকোর অংশটির কোন নির্দিষ্ট অবস্থান থাকে না ফলে মাইক্রোটিউবিউল গুলি সমগ্র ক্রোমোজোম জুড়ে ছড়িয়ে থাকে। এরূপ ক্রোমোজোমকে বলা হয় হলোসেন্ট্রিক।

টেলোমিয়ার

ক্রোমোজোমের প্রান্ত বা অন্তিম ভাগকে বলা হয় টেলোমিয়ার। বিজ্ঞানী মুলার সর্বপ্রথম টেলোমিয়ার অঞ্চলের উল্লেখ করেন।

গৌণ খাঁজ

কোন কোন ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজে অতিরিক্ত একটি খাজ দেখা যায়। একে বলা হয় গৌণ খাঁজ। এই অংশটিতে কাইনেটোকোর থাকে না। ফলে মাইক্রোটিউবিউল এই অংশের যুক্ত হয় না।

নিউক্লিওলার অর্গানাইজার

কোন কোন ক্ষেত্রে গৌণ খাঁজের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাইবোজোমাল RNA তৈরীর জন্য নির্দিষ্ট থাকে। এই জিনগুলি খুব সক্রিয় হওয়ায় গৌণ খাজের উৎপত্তি হয়ে থাকে। গৌণ খাঁজের এই অংশকে বলা হয় নিউক্লিওলার অর্গানাইজার।

স্যাটেলাইট

গোলাকার আকৃতির এক প্রকার গঠন গৌণ খাঁজের শেষ প্রান্তে কোন কোন ক্রোমোজোমে দেখা যায় এদেরকে স্যাটেলাইট বলে।

ক্রোমোজোমের ভৌত গঠনকে আমরা এভাবেই বর্ণনা করতে পারি।

সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুসারে ক্রোমোজোমের প্রকারভেদ

সেন্ট্রোমিয়ার অঞ্চল থেকে টেলোমিয়ার প্রান্ত পর্যন্ত ক্রোমাটিড গুলির দৈর্ঘ্য মেপে ক্রোমোজোম গুলিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।

মেটাসেন্ট্রিক

এই জাতীয় ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার এর দু’পাশের বাহুর দৈর্ঘ্য সমান থাকে। সুতরাং অ্যানাফেজ চলন কালে এদের ইংরেজি V মতো দেখায়।

সাবমেটাসেন্ট্রিক

এই জাতীয় ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার এর দু’পাশের বাহুর দৈর্ঘ্য সামান্য অসমান থাকে। সুতরাং অ্যানাফেজ চলন কালে এই ক্রোমোজোম গুলি ইংরেজি L অক্ষরের মত দেখায়।

অ্যাক্রোসেন্ট্রিক

এই ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার এর দুদিকের বাহু দুটি অসমান থাকে । ফলে একটি বাহু অন্য বাহু অপেক্ষা অধিক ছোট কিংবা বড়ো দেখায়। এই ক্রোমোজোম অ্যানাফেজ চলন এর সময় ইংরেজি J এর আকৃতি ধারণ করে।

টেলোসেন্ট্রিক

এই ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার ক্রোমাটিডের প্রান্তভাগে থাকে। ফলে অ্যানাফেজে এরা দন্ডের আকার ধারণ করে। অর্থাৎ ইংরেজি I এর মত দেখায়। এই জাতীয় ক্রোমোজোম খুব কম প্রাণীতে দেখা যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 84 বার দেখা হয়েছে
21 মার্চ 2023 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fariha akther (1,800 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 85 বার দেখা হয়েছে
11 নভেম্বর 2023 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Irfan Ahmed Abir (150 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
1 উত্তর 322 বার দেখা হয়েছে
28 জুন 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৮ (54,270 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 174 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 447 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,379 জন সদস্য

66 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 63 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Israt Jahan Taha

    130 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...