লজ্জাবতি গাছ ছুঁতেই মাটিতে নেতিয়ে পড়ে।পরবর্তীতে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে।এর বৈজ্ঞানিক কারণ কী ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+18 টি ভোট
601 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (71,300 পয়েন্ট)
পূনঃরায় খোলা করেছেন

2 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (71,300 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
লজ্জাবতী পাতার গোড়াটা একটু ফোলা থাকে, আর এর মধ্যে থাকে বড় বড় কোষ আর এই কোষের মধ্যে থাকে জল ! আর এই জলের কারণেই লজ্জাবতী গাছ তার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে পারে I কিন্তু,আমরা যখন হাত দিয়ে স্পর্শ করি তখন এর পুরো শরীরে একধরনে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চলতে থাকে আর এই বৈদ্যুতিক প্রবাহের জন্য সাহায্যে কর লজ্জাবতীরই এক রাসায়নিক পদার্থ নাম "অ্যাসিটাইলিন কোলিন" এই পদার্থের মাধ্যমে তখন সারা শরীরে বিদ্যুত প্রবাহ চলে থাকে আর তখন লজ্জাবতীর সেই বড় বড় কোষগুলো থেকে পানি আর খনিজ লবন বের হয়ে আসে ,আর তারপরেই সেই পাতা নুয়ে পরে আর আমরা তাকে বলি লজ্জা পাওয়া ! কিন্তু,বেশকিছুক্ষণ পর যখন আবার বিদ্যুতপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন সেই পানি আবার পূর্বের জায়গায় চলে আসে আর পাতাও আগের মত হয়ে যায় ,আর আমরা হয়ত তখন বলি লজ্জাবতী গাছের লজ্জা এখন ফিনিশড ! তবে, যতটুকু জানি এর চেয়েও বিচিত্র এক গাছ পৃথিবীতে পাওয়া যায়, একে অনেকেই অতি লজ্জাবতী বলে ! আর এর নাম হলো "টেলিগ্রাফিক ট্রি" আর একে লজ্জা পাওয়ানোর জন্য স্পর্শ করানোরও প্রয়োজন নেই কাছে গিয়ে একটা তুড়ি বাজানো হলে যথেষ্ট
0 টি ভোট
করেছেন (43,950 পয়েন্ট)
আমরা সবাই কমবেশি এই উদ্ভিদটির সঙ্গে পরিচিত। উদ্ভিদটি দেখেছেন অথচ এর পাতা ছুঁয়ে একে লজ্জা প্রকাশ করতে দেখেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এজন্য অনেকে এ উদ্ভিদকে ডাকেন লাজুক লতা নামে। লাজুক স্বভাবের কোন মেয়েকে দেখে আমরা বলি যেন ‘লজ্জাবতী লতা’। এর পাতা স্পর্শ করলেই নববধূর মতো নুইয়ে পড়ে। আর এ জন্যই উদ্ভিদটির নাম লজ্জাবতী। কিন্তু লজ্জাবতী কিভাবে স্পর্শে সাড়া দেয়!

 

লজ্জাবতী Fabaceae গোত্রের Mimosoideae উপ-গোত্রের বর্ষজীবী, আগাছা ও ওষুধি উদ্ভিদ। এর অনেকগুলো প্রজাতি আছে। সচরাচর আমরা যে লজ্জাবতী উদ্ভিদটি দেখি এর বৈজ্ঞানিক নাম Mimosa pudica. স্থানভেদে এটিকে লজ্জাবতী, লাজুক লতা, লজ্জালু, অঞ্জলিকারিকা বলে। ইংরেজিতে একে Sensitive Plant, Sleepy Plant, Touch-me-not প্রভৃতি নামে ডাকা হয়। এর আদি নিবাস মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে। তবে এটি বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই দেখতে পাওয়া যায়। একক কলোনি তৈরি করে। অন্য কোনো বীরুৎ উদ্ভিদকে এ কলোনিতে জায়গা দেয় না।

 

 

লজ্জাবতী লতা

লজ্জাবতীর কাণ্ড কাঁটাযুক্ত, তুলনামূলক শক্ত। এটি বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ হলেও মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে বাড়ে। এর গাঁট থেকে শেকড় বের হয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে থাকে। এর পাতা দ্বিপক্ষল, সরু ও লম্বাটে। ৮ থেকে ১২ জোড়া পত্রক থাকে। অনেকটা তেঁতুল পাতার মতো দেখতে। পাতার বোঁটার গোড়ার অংশ বেশ মোটা।

 

এর ফুলগুলো বেগুনি ও গোলাপি রংয়ের হয়। দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো গোল, নরম ও সুন্দর। এর পুষ্পদণ্ড ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। পত্র বৃন্ত ও লতার সংযোগস্থল থেকে পুষ্পদণ্ড বের হয়। কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে গাছে থোকায় থোকায় ফুল আসে।

 

 

লজ্জাবতী

লজ্জাবতী কীভাবে স্পর্শে সাড়া দেয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, লজ্জাবতী অনুভূতিপ্রবণ উদ্ভিদ, এটি সচেতনভাবেই স্পর্শে সাড়া দেয়। শুধু মানুষের স্পর্শেই নয়, যে কোন ধরনের স্পর্শেই এটি নিজেকে গুটিয়ে নেয়। এছাড়া তাপের প্রভাবে ও সন্ধ্যা বেলা পাতা গুটিয়ে নেয় গাছটি।

 

 

লজ্জাবতী

তিনি বলেন, লজ্জাবতী পাতার গোড়ার অংশ বেশ ফোলা ও মোটা। এই ফোলা অংশে প্রাচীরময় বড় বড় অনেক কোষ আছে। এই কোষগুলো স্বাভাবিকভাবে যখন পানি ভর্তি থাকে তখন এটি সতেজ ও পাতাগুলো ছড়ানো অবস্থায় থাকে। কিন্তু ছোঁয়া পেলে গাছের পুরো শরীরে মৃদু তড়িত প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রভাবে কোষের পাতলা প্রাচীর ভেদ করে পানি পেছনের দিকে চলে যায় ফলে পাতা পানিশূন্য হয়ে চুপসে যায় এবং বোঁটাটি নীচে নুয়ে পড়ে। নতুন কোন ছোঁয়া না পেলে কোষগুলো আবারও পানিপূর্ণ হয়ে যায়। এবং পাতা ও বোঁটা আগের অবস্থানে ফিরে আসে।

 

 

লজ্জাবতী

ড. জসীম আরও বলেন, এর অনেক ভেষজ গুণ আছে। তাছাড়া এটি জৈব সার হিসাবেও খুব ভাল। লজ্জাবতীর অপর একটি জাত থাই লজ্জাবতীতে আছে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। বিদেশে ভুট্টা ও বাজরার জমিতে এটি জৈব সার হিসাবে ব্যবহার হয়। এছাড়া এর শেকড়ের জন্মানো লালচে রঙের গুটি বা নডিউল বাতাস থেকে নাইট্রোজেন সঞ্চয় করে আমবাগানের মাটিতে সরবরাহ করে। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
1 উত্তর 266 বার দেখা হয়েছে
31 ডিসেম্বর 2020 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,340 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
1 উত্তর 788 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,284 বার দেখা হয়েছে

10,846 টি প্রশ্ন

18,546 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

847,319 জন সদস্য

117 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 116 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. M_H_Mueez

    120 পয়েন্ট

  3. googlemapheadle

    100 পয়েন্ট

  4. ku3933site1

    100 পয়েন্ট

  5. aaqqbet

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...