চলুন হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করিঃ
ইবনে সিরীন [রহ] বলেন- যদি কোনো ব্যক্তি স্বপ্নে দেখে যে, সে কোনো রোগ-ব্যাধি অথবা মৃত্যুর কোনো আলামত ছাড়াই মারা গেছে, তবে সে দীর্ঘ হায়াত লাভ করবে। আর যদি কোনো ব্যক্তি স্বপ্নে দেখে যে, সে মারা গেছে, আর এ কারণে কান্নাকাটি ও দাফন-কাফনে লোকজন জড়ো হয়েছে, তবে তার দুনিয়া নিরাপদ থাকবে। কিন্তু তার আখেরাত অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছে। কিন্তু যদি দেখে যে, সে মারা গেছে, তবে মৃত্যুর কোনো পরিবেশ সেখানে নেই। তবে বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা আছে। সূত্র : আর-রুইয়াতু ওয়াত-তাবীর, ইবনে সিরীন [রহ]
এখন কথা হলো আপনি কি করবেন।
রাসুল (সা.) বলেছেন, যদি কেউ অপছন্দনীয় তথা ভয় বা খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখে তাহলে সে যেন তাড়াতাড়ি অজু করে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় এবং দর্শিত স্বপ্নের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ কাউকে কিছু না বলে। [আবু দাউদ]
তোমাদের কেউ যদি এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে, তাহলে জানবে যে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে। তখন সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ও অন্যদের কাছে বর্ণনা করে।অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, এ স্বপ্নের কথা শুধু তাকে বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। আর যদি স্বপ্ন অপছন্দের হয়, তাহলে বুঝে নেবে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তখন সে শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে আর এ স্বপ্নের কথা কারো কাছে বলবে না। কারণ খারাপ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।(বর্ণনায় : বুখারি ও মুসলিম)
হাদিসে এসেছে عن أبي قتادة رضي الله عنه قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم "الرؤيا الصالحة" وفي رواية "الرؤيا الحسنة من الله والحلم من الشيطان، فمن رأى شيئاً يكرهه فلينفث عن شماله ثلاثاً وليتعوذ من الشيطان، فإنها لا تضره" متفق عليه. رواه البخاري في التعبير (باب الرؤيا الصالحة جزء من ستة وأربعين جزءاً) وأبواب أخرى وبدء الخلق (باب صفة إبليس وجنوده) ومسلم في أول كتاب الرؤيا. আবু কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবি কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: সুন্দর স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে। কেউ স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে বাম পাশে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করবে আর শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। ( এভাবে বলবে, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম) তাহলে এ স্বপ্ন তাকে ক্ষতি করতে পারবে না।(বর্ণনায় : বুখারি ও মুসলিম)
.
.
আশা করি আপনার উত্তর পেয়ে থাকবেন।