এটাকে ‘হিপনিক জার্ক’ hypnic jerk বলে ডাক্তারী ভাষায়। এর আরো কয়েকটা নাম আছে, স্লিপ স্টার্ট (Sleep Start), হিপ্নাগোগিক জার্ক (Hypnagogic Jerk), মাইওক্লোনিক জার্ক (Myoclonic Jerk)।
স্টেজ একঃ মাত্র ঘুমানো, সহজেই উঠে যেতে পারে, মাসল খিচুনী বা হিপনিক জার্ক এই স্টেজেই হয়।
স্টেজ দুইঃ হৃদস্পন্দন ধীর হয়, শরীরে তাপমাত্রা কমে যায়, মাসল রিলাক্সড হয় শরীর গভীর ঘুমের জন্য তৈরী হয়।
স্টেজ তিন আর চারঃ এখন মগজ তরংগ ধীর হয়ে আসে, এই পর্যায় থেকে উঠা আসা দূরূহ হয়ে যায়।
#হিপনিক_জার্ক_কখন_হয়?
যখন পায়ের মাসল/পেশী দ্রুত অনিচ্ছাকৃত খিঁচুনী হয়, (সারা শরীরেই দেখা যেতে পারে) যদিও এখনো সঠিক কোন কারণ নির্ধারন করা যায় নাই এইটা কেন হয়। মনে করা হয়, দুইটা বিষয় আন্দাজ করা যায়, এক গভীর ঘুমের আগে মগজ শেষবারের মত চারপাশ দেখে নিতে চান আপনি নিরাপদ জায়গায় ঘুমাচ্ছেন।
ক্যাফেইন গ্রহন, বিকালে অতিমাত্রায় শাররীক ব্যায়াম, রাতে স্ট্রেসফুল কিছু করেলে এই হিপনিক জার্ক হইতে পারে। তাই এই গুলি এড়ানো ভালো, অভারটায়ার্ড, অতিরিক্ত খাঁটুনী, ঘুমানের সময়ের অনিয়ম, এইগুলি সমস্যা যোগ করে।
আবার শরীরে ম্যাগ্নেশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও আয়রনের অভাবেও স্পন্টানিয়াস হিপনিক জার্ক হতে পারে। ঠান্ডা, অন্ধকার, কোলাহল মুক্ত আরামদায়ক জায়গায় রুটিন সময়ের ঘুমাতে যাওয়া দরকার। হিপনিক জার্কের জন্য খুব চিন্তিত না হলেও চলবে, আবার ঘুমাতে চেষ্টা করলে হবে। দোয়া দরূদ পড়ে শোয়া উত্তম অভ্যাস