উচ্চ রক্তচাপ কি? এর কারণ লক্ষণ,ঝুঁকি,প্রতিকার ব্যাখ্যা করো - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
449 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (320 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (12,990 পয়েন্ট)
উচ্চ রক্তচাপকে (হাই বিপি) হাইপারটেনশনও বলে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃদয়ের ধমনীতে রক্ত ​​স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গতিতে প্রবাহিত হয়। যখন কোনো ব্যক্তির রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে থাকে তখন সেটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় উচ্চরক্তচাপ।উভয় বাহুতে যদি কোন ব্যক্তির রক্তচাপ ১৪০/৯০ (চাপের একটি একক) কিংবা তার উপরে থাকে তাহলে তার ‘উচ্চ রক্তচাপ’ বলা যেতে পারে।

 

নিয়মিত রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশী হলে সেটাকেই উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। সাধারণত, এক সপ্তাহের বিরতিতে কমপক্ষে তিনবার মাপলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত কিনা?

 

সঠিক চাপ মাপার জন্য কয়েকটি নিয়ম মানা জরুরী। তাছাড়াও অন্যান্য যেসকল বিষয় রক্তচাপকে প্রভাবিত করে সেগুলোও বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেমন, রক্তচাপ মাপার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে থেকে ধুমপান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ক্যাফেইন গ্রহণের কমপক্ষে একঘন্টা পর মাপতে হবে। দুশ্চিন্তামুক্ত অবস্থায় মাপা জরুরী। কমপক্ষে পাঁচ মিনিট সময় বসা অবস্থায় থাকা উচিত।

 

অনেক সময় আপনি বুঝতেই পারবেন না যে, আপনি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। অন্য কারণে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে জানা যায়। মূলত এই কারণেই যতো মানুষ হাই প্রেশারে ভোগেন তার মধ্যে কম করেও ৫০ শতাংশ কোনোদিনই জানতে পারেন না যে তাদের সমস্যা আছে। স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগ পর্যন্ত রোগ ধরা পড়ে না। কিডনিও খারাপ হতে শুরু করে। তবে কারো কারো কিছু উপসর্গ হয় যা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কারণেও হতে পারে। যেমন, মাথাব্যথা। বিশেষ করে মাথার পিছনে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্যথা শুরু হয়। দু-চার ঘণ্টা পর কমে। এছাড়াও আরো কয়েকটি উপসর্গ হচ্ছে, মাথাঘোরা। বুক ধড়ফড় করা। মনোযোগের অভাব। ক্লান্তি। হাঁপিয়ে ওঠা। মাংসপেশীর দুর্বলতা। পা ফোলা। বুকব্যথা। নাক দিয়ে রক্ত পড়া।

 

অল্প বয়সে আপনি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা যেমন বাড়তে পারে তেমনি বাড়বে মৃত্যুঝুঁকিও। নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু অভ্যাস পাল্টে ফেলুন আজই যেমন, ওজন ঠিক রাখা। হালকা ব্যায়াম করা। দুই-তিন কিলোমিটার টানা হাঁটলেও কাজ হয়। খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করা এবং যে খাবারে লবণ বেশি আছে যেন ফাস্টফুড, আচার, সসেজ, পাঁপড়ি, মুড়ি খাওয়া কমানো। যে খাবারে ওজন এবং কোলেস্টেরল বাড়ে যেমন মিষ্টি আলু, ঘি, মাখন, ডালডা, ডিমের কুসুম, ভাজাভুজি ও তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া। মানসিক চাপ, টানাপোড়েন এড়িয়ে চলা। তামাকের নেশা ছেড়ে দেওয়া। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। মাসে অন্তত দুই বার রক্তচাপ মাপা। প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়া। সাইড এফেক্ট হলে ডাক্তারকে জানানো। অন্য ওষুধ শুরু করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা। সারা জীবন ওষুধ খেতে হবে, নিয়ম মানতে হবে সেই মানসিক প্রস্তুতি রাখা।

 

মৃদু উচ্চরক্তচাপ সাধারণত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যায়াম এবং শারিরীক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। ফল, শাক সব্জি, স্নেহবিহীন দুগ্ধজাত খাদ্য এবং নিম্নমাত্রার লবণ ও তেলের খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট রোগীর রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম রক্ত চলাচলের উন্নতি করে। এবং রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পরিবেশগত চাপ যেমন উঁচু মাত্রার শব্দের পরিবেশ বা অতিরিক্ত আলো পরিহার করাও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে।

 

এছাড়াও, খুব বেশি রাগারাগি-চেঁচামেচি করা যাবে না। লবণ পুরোপুরি বন্ধ করবেন না। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন- দুধ, ছানা, ছোট মাছ, পেঁয়াজ বেশি করে খেতে হতো। এখনও অনেকে সেই নিয়ম মেনে চলেন। এ সমস্ত খাবার খেতে পারেন। কিন্তু ওষুধের বদলে নয়। ব্যথা কমার ওষুধ, গর্ভনিরোধক বড়ি থেকে রক্তচাপ বাড়তে পারে। কাজেই হাইপ্রেশার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এ সব ওষুধ খাবেন না।

 

গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ মা-সন্তান দুজনের জন্যই বিপজ্জনক। কাজেই সমস্যা হলে ডাক্তার দেখান। সন্তান জন্মানোর পরও ফলোআপ চালিয়ে যাবেন। কারণ কিছু মহিলার ক্ষেত্রে পরবর্তীকালেও সমস্যা থেকে যায়। ডাক্তারি পরামর্শে ওষুধ খাবেন। তবে মাঝারি এবং মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে হয় সঙ্গে জীবনযাত্রার নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি।
কারও ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে।
অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে, তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়।
যদিও বয়স নির্বিশেষে রক্তচাপ খানিকটা বেশি বা কম হতে পারে।
লক্ষণ
উচ্চ রক্তচাপের একেবারে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ সেভাবে প্রকাশ পায় না। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:

প্রচণ্ড মাথা ব্যথা করা, মাথা গরম হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘোরানো
ঘাড় ব্যথা করা
বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
অল্পতেই রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা
রাতে ভালো ঘুম না হওয়া
মাঝে মাঝে কানে শব্দ হওয়া
অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা
এসব লক্ষণ দেখা দিলে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে এবং ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

উচ্চ রক্তচাপের কারণ
সাধারণত মানুষের ৪০ বছরের পর থেকে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
পরিবারে কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম না করলে
প্রতিদিন ছয় গ্রাম অথবা এক চা চামচের বেশি লবণ খেলে
ধূমপান বা মদ্যপান বা অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাদ্য/পানীয় খেলে
দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে
শারীরিক ও মানসিক চাপ থাকলে।
জীবনযাপনে পরিবর্তন আর নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এজন্য কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে:

খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া - লবণের সোডিয়াম রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়, ফলে রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যায়।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা - ধূমপান শরীরে নানা ধরণের বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে ধমনী ও শিরার নানারকম রোগ-সহ হৃদরোগ দেখা দিতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করা - শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হৃদযন্ত্রের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। বেশি ওজনের মানুষের মধ্যে সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করা - নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করলে হৃৎপিণ্ড সবল থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা কম করা - রাগ, উত্তেজনা, ভীতি অথবা মানসিক চাপের কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘসময় ধরে মানসিক চাপ অব্যাহত থাকলে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা - মাংস, মাখন বা তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল যুক্ত খাবার খাওয়ার কারণেও রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টোরেল রক্তনালীর দেয়াল মোটা ও শক্ত করে ফেলে। এর ফলেও উচ্চ রক্তচাপ দেখা যেতে পারে।
এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ হলে অতিরিক্ত কোলেস্টরেল জাতীয় খাবার পরিহার করে ফলমূল শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 481 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 259 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 189 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 233 বার দেখা হয়েছে

10,720 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

240,067 জন সদস্য

71 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 71 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...