হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে জানতে চাই। - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
1,904 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (20,390 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (20,390 পয়েন্ট)
১৭০০ থেকে ১৮০০ সালের মাঝা মাঝি চিকিতসা বিজ্ঞান আজকের মত ছিল না। তখন ভাবা হত সপ্তাহে একবার (পুরুষের!) কিছু পরিমান রক্ত ডান হাত থেকে বের করে দিলে শরীর ও মন সুস্থ থাকে। নারীদের যেহেতু প্রাকৃতিক ব্যবস্থা আছে তাই নারীদের এটা প্রয়োজন নেই। কতটা উদ্ভট বলে মনে হচ্ছে আমাদের তাই না?!!

জার্মানি তে স্যার হ্যানিম্যান এই পদ্ধতির চরম বিপক্ষে ছিলেন৷ তার ধারনা ছিল এসব করে কারো অসুখ ভাল হয় না। বরং তিনি দিলেন এক নতুন তত্ত্ব। নাম তার "লাইক কিওরস লাইক" অর্থ্যাত কোন অসুখের কারন্নযা তার সুস্থতার কারন ও তাই৷ যেমন, পেয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি বের হয়। আবার চোখের এলার্জি হলেও চোখ দিয়ে পানি বের হয় তাহলে পেঁয়াজ হল এলার্জীর একটা ঔষধ।

কিন্তু তাই বলে কি চোখ খুলে পেয়াজের রস ঢেলে দিবে চোখে!  এই সমস্যা সনাধানে এগিয়ে আসলেন আবার হ্যানিম্যান নিজেই। দিলেন তার দ্বিতীয় তত্ত্ব৷ বললেন " কোন ঔষুধের ঘনমাত্রা যত কম হবে তার কার্যকারিতা তত বেশি হবে। " ( আমরা পরে দেখব এটার ঘটনা)

এবারে আর নতুন কোন সমস্যা দেখা দিল না৷ মানুষ হোমিও চিকিতসা নেওয়া শুরু করল৷ কারাও কারো অসুখ ভাল হল কারো হল না কিন্তু সে তো সব ওষুধেই হয়। এখনকার যুগেই কি ঔষুধ খেলে সাথে সাথে অসুখ ভাল হয়ে যায়?

হোমিও ঔষধ কোন কোন অসুখের জন্য তৈরি হত?

জ্বর, স্বর্দি কাশি, মাথাব্যাথা, পেট ব্যাথা, ঘুম কম, বাচ্চা বিছানায় পিশাব করে দেয় এসব সহ ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস, বাতের ব্যাথা, চোখের পানি পড়া এলার্জি সব কিছুর চিকিতসা হয় হোমিও দিয়ে! ( এটলিস্ট হয় বলে দাবি করা হয়)

হোমিও ঔষদের পরিমান নিয়ে কি যেন শোনা যায়?

একদম ঠিক শোনা যায়। ঐ যে হ্যানিম্যানের ২য় সূত্র বলে যে যত কম ঘনমাত্রা তত বেশি শক্তিশালি ঔষধ। চলুন মাওরা বেশ শক্তিশালি একটা ঔষধ বানাই৷

১। ১ লিটার পানিতে ১ গ্রাম ঔষুধ গুড়া দিলাম। তাহলে প্রতি ১ হাজার টি পানির অনুতে ১ টি ঔষুধের অনু আছে৷

২৷ এবারে ভাল করে ঝাকিয়ে ১ লিটার পরুষ্কার পানিতে ঐ খান থেকে ১ গ্রাম ঔষুধ পানি দিলাম৷ তাহলে প্রতি ১ মিলিওনে ১ টি ঔষুধ কনা আছে। অর্থ্যাত 1 ppm.

৩। এবারে আবার ঝাকিয়ে ১ লিটার পরিষ্কার পানিতে ২ নাম্বারের ঔষুধ পানি থেকে ১ গ্রাম দিলাম। এবার ১ বিলিওনে একটা ঔষুধ কনা আছে। একে বলে 1 ppb.

৪। আবার ঐ একই কাজ করলাম।  এবার প্রতি ট্রিলিওনে আমার ঔষুধের কনা ১ টি বা সংক্ষেপে 1 ppt.

এভাবে ১০ -১২ বার করলে তৈরি হয় হোমিও প্যাথিক ঔষধ। সত্যি কথা বলতে এই ঔষুধের মধ্যে প্রথম নেওয়া ১ গ্রামের কোন কনা আর থাকে না৷ এইটা অবস্য আমাদের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার রা স্বীকার করে নেন। এবং এইখানে আসে হ্যানিম্যানের হাইপোথিসিস।

হ্যানিম্যান ভাবতেন, ঐ ঔষধ এতবার পানিতে মিসে মিসে যাওয়ার ফলে পানি ওষুধের গুনাগুন মনে রেখেছে৷ কিন্তু যেহেতু পানির মন বলে কিছুই নাই। আর কেমিক্যালি ঐ ঔষুধের কোন অনশিষ্টাংশ আর বেঁচে নাই তাই হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কাজ দিয়েছে এমন কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কথার নাই।

তাহলে কি এটা আসলেই সম্পুর্ণ ভুল ভাল?

না হয়ত এমন না৷ মানসিক দিক থেকেও অনেক সময় কিছু হালকা অসুখ সেরে যায়। যেমন ধরুন মাথা ব্যাথা করছিল কারন ঘুম কম হয়েছে৷ হোমিও ঔষধ খেয়ে ভাবলেন ওষুধ তো খেয়েছি কমে যাবে৷ মস্তিষ্কের কোন ক্রিয়ায় হিয় মাথা ব্যাথা এই চিন্তার কারনে কমে গেল৷ আপনি ভাবলেন হোমিও প্যাথিতে কাজ দিয়েছে৷ কিন্তু ঔষুধ সরাসরি কেমিক্যাল বা ফিজিক্যাল চেঞ্জের মাধ্যমে কোন কিছু ভাল করেছে এমনটা বৌজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নয়।

আচ্ছা তাহলে সাইড ইফেক্ট?

এতক্ষণ ধরে আমরা দেখলাম ঐ ওষুধ গুলো পানি ছাড়া কিছুই না।  তাহলে সাইড ইফেক্ট আসার কোন সম্ভাবনাই নাই৷ অর্থ্যাত ঐ ওষুধ খেয়ে কোন সাইড ইফেক্ট হবে এমনটা যেমন ভাবা যাবে না৷ ওটা খেয়ে কিউর হয়ে যাবেন এটাও তো ঠিক না৷ তবে খারাপ দিক আছে। সেটা হল৷ ধরে নিন আপনার পেটে আলসার হয়েছে৷ এবারে আপনি হোমিও ওষুধ খেয়ে খেয়ে বসে আছেন এদিকে আলসার বাবাজি বেড়েই চলেছে। কিংবা আরো ভয়ানক হয় যদি ক্যান্সার হয়। এদিকে আপনি হোমিওর ভরসায় ওদিকে ক্যান্সার ওর কাজ এ ব্যাস্ত৷ বলেন দেখি আপনার শরীরে খারাপ প্রভাব পড়বে কিনা।

এখন সিদ্ধান্ত হোমিও ঠিক নাকি ভুল?

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মত যথেষ্ট তথ্য উপরে হাজির করেছি। বাকিটা আপনার বিবেচনা৷

SOURCES:

National Center for Complementary and Integrative Health: “Homeopathy.”

American Institute of Homeopathy: “What Is Homeopathy?”

British Homeopathic Association: “Helping People.”

FDA: “Over-the-Counter Asthma Products Labeled as Homeopathic.”

American Cancer Society:

 

©আকিব
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
ঢাকার কলাবাগানের বাসিন্দা মনসুর আহমেদ প্রায় পনেরো বছর ধরে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও নিচ্ছেন।

 

তিনি বলছেন, কোন কোন রোগে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো উপকার পেয়েছেন।

 

''আঁচিল, চর্মরোগের মতো সমস্যাগুলোয় হোমিওপ্যাথি ওষুধে খুব ভালো উপকার পেয়েছি। হাসপাতালে গেলে এগুলোর জন্য সার্জারি বা লেজার করে।

 

কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে কিছুদিনের মধ্যে এগুলো ভালো হয়ে গেছে।'' তিনি বলছেন।কিন্তু শারীরিক বড় সমস্যার জন্য তিনি বরাবরই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

 

কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ''হোমিওপ্যাথি ওষুধে ভালো হতে কিছুদিন সময় লাগে। কিন্তু সার্জারি করার মতো বা বড় কোন সমস্যায় সেই দেরী করার ঝুঁকি নিতে চাইনা বলেই এ ধরণের সমস্যা হলে হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে যাই।''

 

বাংলাদেশে মিঃ আহমেদের মতো অনেক মানুষ নানা সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এই চিকিৎসা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

 

বরগুনার পাথরঘাটার হাসিনা বেগম বলছেন, ''হাসপাতালে গেলে অনেক টাকা লাগে, কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে ডাক্তারের খরচ, ওষুধের অনেক কম।

 

সময় লাগলেও রোগ ভালো হয়। আর তাতেও ভালো না হলে হাসপাতাল তো আছেই।''
0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
১৭৯০ সালে আবিষ্কৃত তার এ চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হোমিওপ্যাথি । তিনি আরো প্রমাণ করেন যেকোনো ওষুধ সুস্থ মানুষের ওপর যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে তা সৃদশ লক্ষণের রোগীকে আরোগ্য করতে পারে। অর্থাৎ ওষুধের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতার মাধ্যমেই এর রোগ আরোগ্যকারী ক্ষমতা নিহিত।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 132 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 132 বার দেখা হয়েছে

10,720 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

239,933 জন সদস্য

54 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 53 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...