গরমে ঘামাচি থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
326 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে ত্বকের লোমকূপের ভেতর থেকে শরীরের জল বা ঘাম বেরিয়ে আসে। ঘাম প্রচণ্ড গরমেও শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। আবার ঘামে শরীরের দূষিত রেচন পদার্থও থাকে।

ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনও কারণে ঘামে মিশে থাকা লবণের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না। ফলে লোমকূপের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। তার ওপর হয় জীবাণুর প্রকোপ। এভাবেই বেড়ে ওঠে ঘামাচি। আর ঘামাচি হলে অস্বস্তির শেষ থাকে না। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সমাধানে রয়েছে কিছু ঘরোয়া উপায়।

গরমে ঘামাচির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি উপায়—
 
১. কিছুক্ষণ পরপর ঘাম মুছে ফেলতে চেষ্টা করুন। ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না। সব সময় পরিষ্কার ও নরম রুমাল ব্যবহার করবেন। সঙ্গে অতিরিক্ত রুমাল রাখতে পারেন।
 
২. গরমকালে হালকা রং ও ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন, যাতে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে। গাঢ় রঙের পোশাক পরবেন না। আর মনে রাখবেন, গরমে টাইট বা গা জড়িয়ে থাকে এমন পোশাক এড়িয়ে চলবেন।
 
৩. গরমে প্রচুর পানি পান করতে হবে। আর খাবারের পাতে রাখতে হবে প্রচুর ফল ও শাকসবজি। এতে ঘামাচি এড়ানো সহজ হবে।
 
৪. যদি পারেন, দিনে দুবার গোসল করুন। আর গোসলের সময় কম ক্ষারযু্ক্ত সাবান ব্যবহার করবেন। ঘামাচি থাকলে বেশি ঘষবেন না।
 
৫. গোসল-পানিতে অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন। এ ছাড়া পানির বালতিতে লেবুর রস বা নিম পাতার রস মেশাতে পারেন। এতে ত্বকে জীবাণুর বিস্তার কম হবে এবং আপনি ঘামাচিমুক্ত থাকতে পারবেন।

ক্রেডিট: এনটিভি

0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
গরমের দিনে ঘামাচি একটি অতি পরিচিত সমস্যা। এর ফলে ত্বকে লাল লাল ছোট ছোট র‍্যাশ দেখা দেয়, যার ফলে শরীরে চুলকানি অনুভব হয়ে থাকে। বাচ্চা থেকে বয়স্ক কম-বেশি সকলেই গরমের দিনে ঘামাচির সমস্যায় ভুগে থাকেন। ঘামাচি প্রতিরোধ করতে বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রিকলি হিট পাউডার পাওয়া যায়। কিন্তু এবার সেসব দূরে রেখে ঘরে বসেই কিছু প্রাকৃতিক উপায়ের সাহায্যেই পেয়ে যেতে পারেন ঘামাচি থেকে মুক্তির উপায়।

 

১)বেকিং সোডা- ঘামাচি নিরাময়ে বেকিং সোডা খুবই কার্যকরী। ১ কাপ ঠাণ্ডা জলে ১-চা চামচ বেকিং সোডা ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি পরিষ্কার রুমাল ওই জলে ভিজিয়ে নিয়ে সেটি, ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় কিছুক্ষন লাগান। কয়েকদিন এমন করলে ঘামাচি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে।

 

২)নিম পাতা- নিমপাতা অ্যান্টিসেপ্টিক। এছাড়া তাতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ঘামাচি নিরাময়ে নিমপাতা খুবই কার্যকর। এর জন্য প্রথমে নিমপাতা ভালোভাবে বেটে নিতে হবে। এবার তার সঙ্গে খানিকটা জল মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগাতা হবে। মিশ্রণটি ত্বকের ওপর সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘামাচি কমে যাবে।

 

৩)চন্দন ও গোলাপ জল- খানিকটা সাদা চন্দন বেটে নিয়ে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবার সেই মিশ্রণটি ঘামাচির স্থানে দিনে একাধিকবার করে লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।

 

৪)অ্যালোভেরা- ত্বকের যেকোনও সমস্যা দূর করতে অ্যালোভেরার কোনও তুলনা নেই। অ্যালোভেরার মধ্যে থেকে জেল জাতীয় উপাদান বের করে নিয়ে তা সরাসরি ঘামাচির উপরে লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর তা শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো।

 

এই গরমে স্ক্যাল্পের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে

 

স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ইদের মরশুমে চেখে দেখুন এইসব বাহারি খাবার

 

ডেস্কে বসে একভাবে কাজ করেন- জেনে নিন কী কী সমস্যা ডেকে আনছেন

 

৫)মুলতানি মাটি- এমনিতে ত্বকের ঔজ্জল্য বৃদ্ধিতে মুলতানি মাটি অত্যন্ত প্রাচীন একটি উপাদান। তবে এর পাশপাশি ঘামাচির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে মুলতানি মাটি। এর জন্য ৪-৫ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ২-৩ চামচ গোলাপ জল এবং সেইসঙ্গে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে নিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন, তারপর সেটি ওই ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে তা ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। ফল পাবেন হাতেনাতেই।

 

৬)বরফ ও ঠান্ডা জল- গরমের দিনে প্রায় সকলের বাড়িতেই ঠান্ডা জল মজুত থাকে। দিনের যে-কোনও সময়ে যখনই সময় পাবেন বরফের কিউব ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে নিন। পাশাপাশি ঠান্ডা জলে একটি সুতির রুমাল ভিজিয়ে নিয়ে থেকে থেকে ঘামাচির ওপর লাগান। আরাম পাবেন।
0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঠান্ডা ঘরে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করলে ঘামাচি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ মেলে। নিয়মিত গোসল করতে হবে। আক্রান্ত স্থানে ঠান্ডা পানি ও বরফ লাগাবেন। ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরুন। ঘুমন্ত শিশুকে বারবার পাশ পরিবর্তন করে দিন। ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত গরম পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। গরমে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। ক্যালামাইন লোশন কাজে দেয়। বেশি মারাত্মক সমস্যা হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে স্টেরয়েড ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

ডা. তাহমিনা আক্তার, চর্ম বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+13 টি ভোট
1 উত্তর 1,240 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 599 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Martian (93,090 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,638 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 786 বার দেখা হয়েছে
29 এপ্রিল 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 265 বার দেখা হয়েছে
23 অক্টোবর 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,953 জন সদস্য

54 জন অনলাইনে রয়েছে
7 জন সদস্য এবং 47 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. AnkeKoonce5

    100 পয়েন্ট

  4. Omar007

    100 পয়েন্ট

  5. PhoebeMelend

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...