রাগ উঠলে তা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+5 টি ভোট
1,041 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (47,700 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (1,990 পয়েন্ট)

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়–
 

১। ক্ষমা করতে শিখুন

মানুষ ভুল করবে, এটাই স্বাভাবিক। কোনো মানুষই ১০০% সঠিক নয়। তাই কারো ভুলের জন্য রেগে যাওয়াটা মোটেও কোন বুদ্ধিমানের কাজ না। রেগে গিয়ে তার ভুল কি ঠিক করতেপারবেন? না। তাহলে ভাবুন যা হওয়ার হয়ে গেছে; রাগ না করে ক্ষমা করে দিন , এতে করে পরবর্তীতে আপনার নিজেরই ভালো লাগবে।

২। হেঁটে আসুন

রেগে গিয়ে চিৎকার না করে যার উপর রাগ হয়েছে তার সামনে থেকে সরে যান। রাগারাগিতে কোনো পক্ষেরই লাভ হয় না। রাগ সামলাতে না পারলে অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘটনাস্থল ত্যাগ করুন। একটু হেঁটে আসুন। এতে রাগ বাড়ার সুযোগই তৈরি হবে না এবং আপনার মনও হয়তো একটু শান্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

৩। চিন্তা করুন

রেগে গেলে আপনি হাতের কাছে যা পান তাই ছুঁড়ে ফেলে দেন। হোক তা আপনার মোবাইল অথবা কাচের গ্লাস। তবে ছুঁড়ে ফেলার আগে একবার চিন্তা করে দেখুন তো, মোবাইলটা ভেঙে গেলে ক্ষতি টা কার হবে? আপনারই। তাই রাগান্বিত হলেও সব সময় সক্রিয় মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করুন।

৪। বুঝিয়ে বলুন

আপনার ঘরে কেউ নক না করে ঢুকে পরলে আপনার রাগ হয়। মনে হয়, এখনই ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেই। তাহলে রাগ না করে বুঝিয়ে বলুন, দেখুন সে কী বলে। হতে পারে সে আপনার অপছন্দের ব্যাপারটা জানেই না। আপনি চাইলে বিষয়টি দরজায় লিখে রাখতে পারেন। এতে আপনারও রাগ হবে না, এবং সবার বুঝতেও সুবিধা হবে।
 

৫। গভীরভাবে শ্বাস নিন

যখনই বুঝতে পারবেন যে আপনার রাগ হচ্ছে তখন গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন। এতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও মন অন্যদিকে সরে  যাবে। আর গভীর শ্বাস তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মাথায় অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়াবে, মাথায় রক্ত চলাচল হবে। ফলে আপনিএকটু স্থির বোধ করবেন। এতে করে আপনার রাগটাও কমে যাবে।

আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে রাগ নিয়ন্ত্রন করার জন্য এই হাদিস টি অনুসরন করতে পারেনঃ

তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “হে আল্লাহ্‌র রসূল(সঃ), তাহলে (রাগের) চিকিৎসা কি?” উত্তরে নবী করিম(সঃ) বললেন,

“কেউ যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগান্বিত হয়ে পড়ে তার উচিত সাথে সাথে বসে পড়া, আর রাগ না কমা পর্যন্ত ওই অবস্থায় থাকা। অন্যথায় তার উচিত শুয়ে পড়া।” [আবু দাউদ ৪৭৬৪] 

মুসলমানদের জন্য রাগ নিয়ন্ত্রণ ইবাদতের শামিল। সুরা আল ইমরানের ১৩৪ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃ

“যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।”

+1 টি ভোট
করেছেন (47,700 পয়েন্ট)
রাগ একটি স্বাভাবিক অনুভূতি এবং যখন তা কাজ বা বাড়িতে থাকুক না কেন, সমস্যা বা সমস্যার মধ্য দিয়ে কাজ করতে আপনাকে সহায়তা করে তখন একটি ইতিবাচক আবেগ হতে পারে। তবে ক্রোধ তখনই সমস্যাযুক্ত হয়ে উঠতে পারে যখন এটি আগ্রাসন, উত্সাহ, এমনকি শারীরিক বিভাজনের দিকে পরিচালিত করে। রাগ/ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার কারন রাগ কন্ট্রোল না করলে এর ফলে আপনি মাঝে মাঝে অনুশোচনা বোধ করতে পারেন। রাগ/ক্রোধ বাড়ার আগে আপনি রাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট কৌশলগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
১. গণনাঃ ১-১০ পর্যন্ত গণনা করা শুরু করুন।আপনি যদি সত্যিই অনেক রাগান্বিত হয়ে যান তখন তবে গণনা ১০০ থেকে শুরু করুন। গণনা করার ফলে আপনার হৃদস্পন্দন কমবে এবং সেই সাথে আপনার রাগও কমবে।
২. একটি দীর্ঘশ্বাস নিনঃ আপনি রাগান্বিত হওয়ার ফলে আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের হার নরমাল থেকে আস্তে আস্তে অনেক বেড়ে যায়। তাই সেই সময়ে আপনার নাকের সাহায্যে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস গ্রহণ করুন এবং বেশ কয়েক মুহুর্তের জন্য আপনার মুখ থেকে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।
৩. ঘোরাঘুরি করুনঃ নিয়মিত ব্যায়াম আপনার স্নায়ুগুলিকে শান্ত করতে এবং রাগ কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া মেডিটেশন/ধ্যান করুন এবং ঘুরতে যান। আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাম্পিং করে এমন কিছু করুন যা আপনার মন এবং শরীরের জন্য ভাল।
৪. আপনার পেশী শিথিল করুনঃ প্রগতিশীল পেশী শিথিলতা আপনাকে একবারে আপনার দেহের বিভিন্ন পেশী গোষ্ঠীগুলিকে টানটান করতে এবং ধীরে ধীরে শিথিল করার আহ্বান জানায়। আপনি উত্তেজনা এবং মুক্তি হিসাবে, ধীর, ইচ্ছাকৃত শ্বাস নিন
0 টি ভোট
করেছেন (15,200 পয়েন্ট)
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ কথাটি বেশ প্রচলিত। কিন্তু হুট করে রেগে গেলে নিশ্চয়ই তা মনে থাকে না। প্রতিটি মানুষেরই রাগ থাকে। রাগ স্বাভাবিক অনুভূতি। তবে তার প্রকাশ অনেক সময়েই অস্বাভাবিক হয়ে যায়। অনেকে আবার অল্পতেই রেগে যায়। রাগ মানুষের অনেক ক্ষতি করে। আর সবাই চায় রাগ কমাতে। যদি সত্যিই রাগকে সংবরণ করতে চান, তাহলে মেনে চলতে পারেন কিছু পরামর্শ।কারও সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হুট করে রেগে গেলেন। যখন আপনি সামনের কারও ওপর রেগে গেছেন, তখন তার সামনে থেকে সরে যাওয়া বা জায়গার পরিবর্তন করাটা হবে সেরা সমাধান। কারণ, সামনে থাকলেই কথা হবে বেশি, আর সে কথা থেকে রাগের আগুনটা বাড়বে বৈ কমবে না। লেখক, চিত্রশিল্পী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেন, ‘রাগে যা শুরু হয় তা লজ্জায় শেষ হয়।’ সুতরাং শেষ করার অপেক্ষায় না থেকে স্থান পরিবর্তন করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।রাগান্বিত মুহূর্তে মুখ বন্ধ রাখা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু এ সময় ঠোঁটে তালা মেরে রাখতে পারাটা দারুণ কার্যকর। যার সঙ্গে রাগারাগি হচ্ছে, তাকে ইচ্ছেমতো বলতে দিন কিন্তু আপনি টুঁ–শব্দটিও করবেন না। ধৈর্য ধরে রাখতে পারলে পরে বিষয়গুলো নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। তিনি আপনাকে যতই উত্ত্যক্ত করুন, আপনি কিছুতেই মুখ খুলবেন না। কারণ, রেগে আপনি যা বলবেন, তা মোটেই আপনার মনের কথা নয়। তাই কথা বলা বন্ধ করুন সবার আগে। বিখ্যাত ব্রাজিলীয় ঔপন্যাসিক এবং গীতিকার পাওলো কোয়েলহো ক্রোধ নিয়ে বলেন, ‘রাগের সর্বোত্তম উত্তর হলো নীরবতা।’রাগের মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে শুধু ঠোঁট নয়, চোখ আর কানও বন্ধ করে ফেলতে হবে। এটা সত্যিই কার্যকর। যে আপনাকে রাগিয়ে দিচ্ছে বা যা নিয়ে আপনি রেগে যাচ্ছেন, কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে সেখান থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন। যেন আপনি সেখানে থেকেও নেই। প্রয়োজনে স্থান ত্যাগ করে অন্য কোথাও গিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে হেডফোনে গান শুনুন।রাগ সামলাতে না পারলে অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘটনাস্থল থেকে দূরে গিয়ে একটু হেঁটে আসুন। এতে রাগারাগি আর না বাড়ার সুযোগ তৈরি হবে আর আপনার মনও হয়তো একটু শান্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।নিয়মিত একটু সময়ের জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান করার চেষ্টা করুন। আকস্মিকভাবে রেগে যাওয়ার রোগ থাকলে সেটাও সেরে যেতে পারে নিয়মিত ধ্যানে। ধ্যানের ফলে আপনার ব্যক্তিত্ব আরও শক্তিশালী হবে।শরীরচর্চা রাগ কমানোর আরও একটি কার্যকরী উপায়। শরীরচর্চার ফলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চায় একজন মানুষের যে খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে, তা সুস্থ জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।রাগ কমাতে অনেকে ধূমপান করেন। কিন্তু তা মোটেই রাগ কমানোর ভালো পথ নয়। তাতে মনটা আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ধূমপান, মদপান, অতিরিক্ত চা-কফি পান আপনাকে বদমেজাজি করে তুলবে। এসব বাজে অভ্যাসের কারণে বদহজম ও অনিদ্রা সমস্যায় মানুষ ভোগে। শারীরিক গোলযোগের কারণে মনের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। যে কারণে আমরা চট করেই অনেক কথায় রেগে যাই। পরে হয়তো ভেবে অবাকও হন, এত সামান্য কথায় রেগে যাওয়ার মানুষ আপনি নন। তাই চটজলদি সব বদভ্যাস পরিত্যাগ করুন। সম্ভব হলে এখন থেকেই।

জীবন তো একটাই। স্বল্প সময়ের এই জীবনে যতটা সম্ভব সময়টাকে উপভোগ করতে শিখুন। এক মিনিট রাগ করার কারণে আপনি ৬০ সেকেন্ড সুখের সময় মিস করলেন। কখনো বিষয়টি এভাবে ভেবে দেখেছেন কি!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,211 বার দেখা হয়েছে
18 এপ্রিল 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 690 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 355 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 256 বার দেখা হয়েছে
13 জুলাই 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,054 জন সদস্য

52 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 52 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...