নাসার ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার প্রকল্পের পরিচালক মিমি অং বলেন “আমরা মানুষ হিসাবে আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে কখনও কোন প্রকার উড়ন্ত যান বা হেলিকপ্টার চালাতে পারিনি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অনেকটাই রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের পৃথিবীতে উড়তে সক্ষম প্রথম বিমান আবিষ্কারের মতোই।”
নাসা এবং বিশ্বের অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা ইতোমধ্যে মঙ্গল গ্রহে ল্যান্ডার, অরবিট এবং রোভার প্রেরণ করলেও এর আগে কেউ মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টার উড়ানোর চেষ্টা করেনি। মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় অনেক বেশি পাতলা; যার অর্থ সাধারণ হেলিকপ্টারের উড়ানের জন্য প্রয়োজনীয় বায়ু চাপ উৎপন্ন করার জন্য মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে কম বায়ু রয়েছে তাই নাসাকে ইনজেনুইটির ডিজাইনের ক্ষেত্রে অধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে।
মঙ্গলের আকাশে Ingenuity ড্রোন হেলিকপ্টারটির পূর্ববর্তী দুটি ফ্লাইট যথাক্রমে সোমবার ও বৃহস্পতিবার চালনা করা হয়। উল্লেখ্য যে এর প্রথম উড্ডয়নে এটি কেবল ৩ মিটার উচ্চতায় ৪০ সেকেন্ড উড়তে সক্ষম হয়েছিল।
এই যানটি নাসার পাঠানো Perseverance rover এর সাথে প্রেরণ করা হয়, যা গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল পৃষ্ঠে অবতরণ করে। ১.৮ কেজি ওজনের এই ড্রোনটিতে প্রয়োজনীয় প্রাযুক্তিক যন্ত্রাংশ যুক্ত করে দেয়া হয়েছে, যা প্রমাণ করতে সহায়তা করবে ওই গ্রহের বায়ুমণ্ডল এবং পারপর্শিক অবস্থা।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে মঙ্গলের দৈর্ঘ্য ২৯.৫ কোটি কিলোমিটার (প্রায়)। তাই এই ড্রোন দিয়ে পুরো মঙ্গলে বিচরণ প্রশ্নাতীত। তবু নাসা ভবিষ্যতে এরূপ পরীক্ষা শীঘ্রই আরো বড় পরিসরে করার প্রতি আশাবাদী।
Ingenuity: Nasa’s Mars helicopter makes it three from three | BBC