আবার স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কিছু মানুষকে যখন প্রতিদিন প্রয়োজনীয় লবণের চাহিদার তুলনায় ছয়গ্রাম বেশি লবণ খাওয়ানো হয় তখন তাদের দেহ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়।
অতিরিক্ত গুগল সার্চ,ফেসবুক কমেন্টের কারণে বাড়ছে কার্বন নিঃসরণ |
আবার সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ এর রাসায়নিক নাম) আমাদের শরীরে রক্তচাপ বাড়ায় এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বন ইউনিভার্সিটি এর ইউনিয়ন গবেষণাগারের প্রফেসর ডঃ ক্রিশ্চিয়ান কুর্টস বলেন ,তারা প্রথমবারের মতো প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে মানব দেহে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।
একটি কাজ করা ও সাথে নোটিফিকেশন চেক
|
এই ভিন্নমতের কারণ রয়েছে। শরীর রক্তসহ বিভিন্ন অঙ্গে লবণের ঘনত্ব একই রাখার জন্য চেষ্টা করে। কেননা লবণের ঘনত্ব ঠিক না থাকলে জৈব রাসায়নিক কার্যকলাপ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে ত্বকের কার্যক্রম একটু ভিন্ন কেননা ত্বক লবণের যোগান দেওয়ার কাজ করে।তাই সোডিয়াম ক্লোরাইড (লবণ) ত্বকের কিছু রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।
করোনা ভাইরাসের সকল আপডেট |
খাবারের সাথে খাওয়া অতিরিক্ত লবণ কিডনি থেকে ফিল্টার হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয় এবং তখনই কিডনিতে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড সেনসর এই নির্গমনকে সক্রিয় করে। এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সেন্সরটি গ্লুকোকর্টিকয়েড শরীরে জমা করে।
যার ফলে গুলো রক্তে থাকা প্রতিরোধক কোষের গ্রানুলোকাইটসের কাজ কে বাধা দেয়। ম্যাক্রোফেজ এর মত গ্রানুলোকাইটস হল স্ক্যাভেঞ্জার কোষ।
সোডিয়াম ক্লোরাইড মানুষের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলেছেন অধ্যাপক কুর্টস।কেননা 6 গ্রাম লবণ গ্রহণকারীদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে দুটি বার্গার ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই গ্রহণ করার সমান ক্ষতি তাদের দেহে হয়।
পরবর্তীতে দেখা যায় প্রতিশোধমূলক কোষগুলো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই তেমনভাবে সামাল দিতে পারে না। অতিরিক্ত গ্লুকোকর্টিকয়েডের মাত্রা যেহেতু লবণ বেশি গ্রহণ করার কারণে বাড়ে তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ।
Materials provided by University of Bonn.
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গ-
১।রক্তের গ্রুপ ‘A’ হলে করোনা ঝুঁকি বেশি, ‘O’ হলে সবচেয়ে কম – বলছে চীনা গবেষণা
২।লবণ মেশানো গরম পানি কি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করে ?-না
৩।করোনা যেভাবে আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে !(ইন্টারেক্টিভ ডিজাইনসহ)
৪।ফ্যাক্ট চেক: (মিথ্যা) এক টুকরা লেবুতেই ধ্বংস হবে করোনাভাইরাস
৫।আমেরিকা বা চীনের ষড়যন্ত্র নয়।করোনাভাইরাস এসেছে প্রকৃতি থেকেই-গবেষণা