কোনো দাওয়াতে যেতে পারছেন না বা কোনো কাজ বাদ দিতে অজুহাত খুঁজছেন? তাহলে সময়ের উপর দায় না চাপানোই ভালো।
গবেষণার তথ্য মতে, ব্যস্ততা বা সময়কে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এরকম অজুহাত মানুষের মনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে সম্পর্কে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গত বছর ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর Grant Donnely এরকম একটি অবস্থায় পড়েন। তার এক বন্ধুর বিদেশে বিয়ে হচ্ছিল। কিন্তু সেই সময় দেশ এর বাইরে গেলে তার শুধু অনেক টাকাই খরচ হতো না, সাথে তিনি ছুটির অনেকগুলো দিন হারাতেন। সেক্ষেত্রে বন্ধুকে কষ্ট না দিয়ে কিভাবে তিনি দাওয়াতটি ফিরিয়ে দিতে পারতেন? এরকম সমস্যার মুখোমুখি আমরা অনেকেই হই। মার্কেটিং এর শিক্ষক Donnely এর উপর গবেষণা করেন এবং হার্ভাড বিজনেস রিভিউতে (HBR) ফলাফলগুলো লিপিবদ্ধ করেন (https://hbr.org/2019/03/why-i-dont-have-time-is-a-bad-way-to-decline-an-invitation)। আর এতে বেড়িয়ে আসে কোনো দাওয়াত এড়ানোর জন্যে সময় এর উপর অজুহাত তৈরি না করে ব্যস্ততা কিংবা শারীরিক সক্ষমতাকে কারণ হিসেবে দেখানো উচিৎ।
এমনটা কেনো হয়? ‘সময় নেই’- এই কথাটিকে অনেকেই মুখ বাঁচানো অজুহাত হিসেবে নেয়। কিন্তু অর্থ বা শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে এর উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। লেখকের মতে, ” এটা হয় কারণ আমরা ভাবি অন্যদের তাদের সময়ের উপরে বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিৎ।
তারা যদি কিছু করতে চায় তাহলে সেটির জন্যে ঠিক সময় বের করে নিবে।
তাই সময় না থাকার ব্যপারটি অনেকক্ষেত্রেই অবিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। আর এই ধারণা শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক সম্পর্কে প্রতিফলিত হয়।”
একটি জরিপে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষ তেমন ব্যস্ততার মধ্যে না থাকলেও সময়ের অজুহাত দেয়। তাই ‘আমি অনেক ব্যস্ত’ অনেক সময়ই বোঝায় ‘এ কাজে আমি সময় দিতে চাচ্ছি না। ‘ তাই সবসময় সময় এর উপর দায় না চাপিয়ে সত্যটা বলা আরো ফলপ্রসূ হতে পারে।
একজন মানুষ যতই ব্যস্ত হোক না কেন প্রাধান্যের ভিত্তিতে যে কাজটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে সে সেটিই করবে। এজন্য আপনাকে “না” বলা শিখতে হবে, কাউকে অজুহাত দিয়ে কয়েকদিন ঘুরানোর চেয়ে প্রথমেই “না” বলে দেওয়া ভালো,আপনি যদি মনে করেন আপনার না বলার পেছনের কারণ জানাবেন তাহলে জানাতে পারেন অথবা এটি আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ।
“না” আপনাকে অপরপাশের ব্যক্তিকে আপনার প্রতি বিরুদ্ধ/বিরোপ মনোভাব থেকে বাঁচাবে,অনুরুপ সঠিক কারণটি প্রকাশ করলে সে অবশ্যই নারাজ হবে না ৷