বর্তমানে তিনি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভারী কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে কাজ করছেন ও তিনি এখন পর্যন্ত ব্ল্যাকহোলের সবচেয়ে সম্পূর্ণ চিত্রটি আকতে সক্ষম হয়েছেন এবং সেই সাথে তিনি দেখিয়েছেন মহাবিশ্বের কোথায় এরা কীভাবে বেড়ে উঠছে এবং পরিবেশের উপর কি ধরনের প্রভাব ফেলছে ইত্যাদি। আর এই সম্পূর্ণ গবেষণাটি তিনি করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে।
সাইন্স নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে তনিমা কথা বলেন তার গবেষণা, শৈশব অনুপ্রেরণা, তার প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি যখন পাঁচ বছর বয়সে যখন তিনি ঢাকায় ছিলেন, তখন তাঁর মা তাকে মঙ্গল গ্রহে অবতরণকারী পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের কথা বলেছিলেন।তার মা ছিলেন একজন গৃহিনী কিন্তু বরাবরই বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি আগ্রহী ছিলেন এবং তিনি তার মেয়েকেও এই ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন।
অনন্যা বলেন, “আমি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে এই পৃথিবীর বাইরেও অন্য পৃথিবী ছিল, আর তখন থেকেই জ্যোতির্বিদ্যায় পড়াশোনা করতে চেয়েছিলাম।”
তিনি আরো জানান তার ব্রায়ান মাওর এ পড়াশোনা করতে আসার গল্প। তিনি জানান, বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ নিয়ে পড়াশোনার তেমন কোনো সুযোগ ছিলোনা, তাই তিনি তার আন্ডারগ্র্যাজুয়েশন পর্যায়েই পড়াশোনা করার জন্য চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার ব্রায়ান মাওর কলেজে।
তনিমা তাসনিম অনন্যা বর্তমানে ডার্টমাউথের পোস্টডক্টোরাল রিসার্চ সহযোগী। ব্রায়ান মাওরের পরে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পিএইচডি অর্জন করেছেন। তাঁর গবেষণার পাশাপাশি তিনি উই-স্টেম (উচ্চারণ “উইসডম”) নামে মেয়েদের এবং যুবতীদের মধ্যে যারা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী তাদের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য সংগঠন চালু করেন। তিনি এবং অন্য চারজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী যারা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন তারা মিলে বাংলাদেশের ২০ জন হাই-স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করছেন এমন ছাত্রীদের রিসার্চ সেক্টরে তাদের ভবিষ্যৎ খুঁজে পেতে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন।