পিকে মুভির মতো আসলেই কি বাস্তবে এলিয়েনের অস্তিত্ব রয়েছে? শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।গবেষকরা সেখানে ফসফিনের অস্তিত্ব পেয়েছেন।
পৃথিবীতে সব থেকে বিষাক্ত এবং গন্ধযুক্ত গ্যাসের মধ্যে একটি হচ্ছে ফসফিন, উৎপাদিত হয় অক্সিজেন ছাড়া যেসকল শ্বসন প্রক্রিয়া ঘটে সেগুলোর মাধ্যমে। গতবছর অ্যাস্ট্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এর মাধ্যমে MIT এর কিছু গবেষক দাবি করেন প্রাণের অস্তিত্ব ছাড়া ফসফিনের উৎপাদন সম্ভব নয়। অর্থাৎ শুক্র গ্রহে প্রাণ রয়েছে বলেই ফসফিন রয়েছে।
এই দাবিটি আমাদেরকে সরাসরি শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের দিকে ইঙ্গিত না করলেও ফসফিনের উপস্থিতি আমাদের সৌরজগতে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবাচ্ছে।
পূর্বে কিছু গবেষকরা দাবি করেছিলেন বড় পরিসরে ফসফিনের উপস্থিতি আমাদেরকে এলিয়েনের অস্তিত্ব জানান করবে। বর্তমানে সেই দাবিটি সত্যি হওয়ার পথে শুক্র গ্রহে ফসফিনের কারণে।
This artistic illustration depicts the Venusian surface and atmosphere, as well as phosphine molecules. These molecules float in the windblown clouds of Venus at altitudes of 55 to 80 km, absorbing some of the millimeter waves that are produced at lower altitudes. They were detected in Venus’s high clouds in data from the James Clerk Maxwell Telescope and the Atacama Large Millimeter/submillimeter Array, in which ESO is a partner. ESO/M. Kornmesser/L. Calcada via REUTERS. NO RESALES. NO ARCHIVES. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY.
শুক্রের পৃষ্ঠ খুবই গরম এবং এসিডিক হওয়ায় কোন প্রাণীর সেখানে বসবাস করাটা খুবই কষ্টকর। মেঘ ডেকের এলাকা নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় প্রাণীর বসবাসের জন্য কিছুটা উপযোগী। এখন ধারণা করা হচ্ছে ফসফিনের উপস্থিতি সে সকল এলাকায় রয়েছে। তবে উপরের এই এরিয়ার এলাকাটা এতই এসিডিক যে এগুলো খুবই দ্রুত ফসফিনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সেকারণে বলা যেতে পারে কিছু একটা রয়েছে যেটি প্রতিনিয়তই ফসফিনের উৎপাদন করছে।
Nature Astronomy তে প্রকাশিত রিসার্চটিতে গবেষকরা আমাদেরকে সাবধান করে দিয়েছেন গবেষণাগুলো আমাদেরকে সরাসরি শুক্র গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি নিশ্চিত করছে না। কেবলমাত্র ব্যতিক্রমী কিছু প্রশ্ন আমাদের মনে উদয় করছে শুক্র গ্রহে প্রাণের উপস্থিতি সম্পর্কে। যেটি নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে গবেষকদের ধারণা। যদিও শুক্র গ্রহ সম্পর্কে আমাদের অনেক ধারণাই তাদের ব্যাখ্যার মাধ্যমে পাল্টে গিয়েছে।
“হয় ফসফিন রয়েছে কিছু রাসায়নিক পদার্থের কারণে অথবা ভূতাত্ত্বিক কিছু কারণে যেটা কেউ জানে না এখনো অথবা জৈবনিক কারণে,” বলেন একজন গবেষক।
FILE PHOTO: Handout image courtesy of NASA shows the planet Venus at the start of its transit of the Sun, June 5, 2012. REUTERS/NASA/AIA/Solar Dynamics Observatory/Handout FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. IT IS DISTRIBUTED, EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS/File Photo
গত বছরের MIT এর গবেষকেরা দাবি করেছিল পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের প্রধান নিদর্শন হচ্ছে অক্সিজেন। তবে তারা আরোও বলেন প্রাণ ছাড়াও কিছু জিনিস অক্সিজেনের উৎপত্তি করতে পারে। এখনই ফসফিনের মাধ্যমে শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে সরাসরি ঘোষণা দিতে গবেষকেরা নারাজ।শুক্র গ্রহকে আরো কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ফসফিনের পরিমাণের উঠানামা পর্যবেক্ষণ করবেন, যার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত হতে পারবেন এবং হয়ত এর উৎস সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে পারবেন।সবথেকে ভালো হবে শুক্রে মহাকাশযান পাঠিয়ে সেখানকার বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ করলে।
সেখানে প্রাণের উপস্থিতি পাওয়া গেলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করা হবে সেটি হচ্ছে আমাদের সাথে তাদের মিল কোথায় সেটা বের করা।
তাদের কি আমাদের মতো নিজস্ব ডিএনএ রয়েছে?
তাদের প্রোটিনের গঠন কেমন?
তারা কি আমাদের মতোই রক্তমাংসের অথবা তারা কি আসলেই এলিয়েন?
আন্তর্জাতিক একটি রিসার্চ টিম বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আবিষ্কার করেছে যে, প্রাচীন কুমিরগুলোর কয়েকটি প্রজাতি ডাইনোসরদের মতো...