• লেটেস্ট
  • ট্রেন্ডিং
  • সবগুলো
Science Bee Daily Science

ডেথ ভ্যালি: যেখানে আছে চলমান পাথর, শোনা যায় বালির গান!

মার্চ ২০, ২০২২
Science Bee Daily Science, Alexa-যন্ত্র-ভয়েস-নকল-কণ্ঠস্বর

মৃত ব্যক্তির ভয়েস নকল করতে পারবে Alexa!

জুন ৩০, ২০২২
Science Bee Daily Science medicine drug

ঔষধ কিভাবে কাজ করে: কেন এক ঔষধ অন্য রোগের জন্য কাজে দেয় না?

জুন ১৯, ২০২২
Science Bee Daily Science

OCD – Obsessive Compulsive Disorder: আপনি-আমি সবাই-ই কি এতে ভুগছি?

জুন ১৮, ২০২২
রামসে হান্ট সিনড্রোম

‘রামসে হান্ট সিনড্রোম’? কেনো এবং কাদের হয় এই জটিল ব্যাধি?

জুন ১১, ২০২২
Science Bee Daily Science

বায়োডিগ্রেডেবল প্যাচ: চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচন!

জুন ২, ২০২২
Science Bee Daily Science

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস আজ: বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন পরিচর্যার স্বরূপ

মে ২৮, ২০২২
ভুতুড়ে কণা “নিউট্রিনো”: যা দেবে অসংখ্য অজানা প্রশ্নের উত্তর!

ভুতুড়ে কণা “নিউট্রিনো”: যা দেবে অসংখ্য অজানা প্রশ্নের উত্তর!

মে ২৪, ২০২২
Science Bee Daily Science

বিদ্যুৎ পরিবহণকারী কালি: কলম দিয়েই আঁকা যাবে সার্কিট!

মে ২৩, ২০২২
Science Bee Daily Science

কোলেস্টেরল নিয়ে যত কুসংস্কার- Cholesterol Myths

মে ২২, ২০২২
Science Bee Daily Science

Dissociative Identity Disorder- DID: চারিত্রিক দ্বৈততা নাকি বাইপোলার ডিজঅর্ডার?

মে ৫, ২০২২
মায়ের মৃত্যুর ১২৩ দিন পর জন্ম নিল শিশু, কিন্তু কিভাবে?

মায়ের মৃত্যুর ১২৩ দিন পর জন্ম নিল শিশু, কিন্তু কিভাবে?

এপ্রিল ৩০, ২০২২
Science Bee Daily Science ভেটেরিনারি ডাক্তার সায়েন্স veterinary medicine science

ভেটেরিনারি ডাক্তার: ভিন্নভাবে জীবন বাঁচিয়ে যাচ্ছেন যারা!

এপ্রিল ৩০, ২০২২
ব্লগে লিখুন
প্রশ্ন করুন
রবিবার, জুলাই ৩, ২০২২
বিজ্ঞান সংবাদ
  • টপিকস
    • জীববিজ্ঞান
    • পদার্থবিজ্ঞান
    • রসায়ন
  • ২১ শতক
  • প্রযুক্তিNew
  • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • করোনাভাইরাস
  • মহাকাশবিজ্ঞান
  • পরিবেশ
  • অন্যান্য
    • ফ্যাক্ট চেক
    • উদ্যোগ
    • তারুণ্য
    • ক্যাম্পাস টাইম
    • টিপস
    • দেশান্তর
    • বইয়ের দুনিয়া
    • ইতিহাস
    • আত্মউন্নয়ন
    • গেমস এন্ড সফটওয়্যার
হোম
কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাওয়া যায়নি
সবগুলো রেজাল্ট দেখুন
বিজ্ঞান সংবাদ
  • টপিকস
    • জীববিজ্ঞান
    • পদার্থবিজ্ঞান
    • রসায়ন
  • ২১ শতক
  • প্রযুক্তিNew
  • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
    • করোনাভাইরাস
  • মহাকাশবিজ্ঞান
  • পরিবেশ
  • অন্যান্য
    • ফ্যাক্ট চেক
    • উদ্যোগ
    • তারুণ্য
    • ক্যাম্পাস টাইম
    • টিপস
    • দেশান্তর
    • বইয়ের দুনিয়া
    • ইতিহাস
    • আত্মউন্নয়ন
    • গেমস এন্ড সফটওয়্যার
কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাওয়া যায়নি
সবগুলো রেজাল্ট দেখুন
বিজ্ঞান সংবাদ

Home » ডেথ ভ্যালি: যেখানে আছে চলমান পাথর, শোনা যায় বালির গান!

ডেথ ভ্যালি: যেখানে আছে চলমান পাথর, শোনা যায় বালির গান!

পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান হিসেবে কুখ্যাত এই উপত্যকাটি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ডেথ ভ্যালিতে ৯০০০ বছর পূর্বের মানুষের অস্তিত্ব প্রমাণ পেয়েছে।

মার্চ ২০, ২০২২
in ফ্যাক্ট চেক
Science Bee Daily Science

ডেথ ভ্যালি নামটি যেমন বিচিত্র, স্থানটি তার থেকেও বেশি বৈচিত্র্যময়। পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান হিসেবে পরিচিত হবার পাশাপাশি, ভুতুড়ে চলমান পাথর, বালির ভুতুড়ে সংগীত, রঙিন উপত্যকা, ডেভিলস গলফ কোর্স, বিশালাকার আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের চিহ্ন, বিরল প্রজাতির মাছ পাওয়ার কারণেও ব্যাপকভাবে সমালোচিত।

ডেথ ভ্যালি বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় মৃত্যু উপত্যকা। শুধু নামে নয়, বাস্তবেও এটি মৃত্যু উপত্যকা! ভৌগোলিক ও জীব-বৈচিত্র্য পাশাপাশি রহস্যেঘেরা ডেথ ভ্যালি- গ্রেট বেসিন মরুভূমির সীমান্তবর্তী উত্তর মোজাভে মরুভূমির পূর্ব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি মরুভূমি। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার লম্বা এবং ২৪ কিলোমিটার চওড়া এই উপত্যকা ক্যালিফোর্নিয়া এবং নেভাডার মধ্যে অবস্থিত। পশ্চিম গোলার্ধে সবচেয়ে শুকনো নিম্নভূমি হিসেবে এই স্থানটিকে মানচিত্র দেখতে অনেকটা বাটির (খাওয়ার পাত্র) মতো লাগে।

পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান হিসেবে কুখ্যাত এই উপত্যকাটি। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ডেথ ভ্যালিতে ৯০০০ বছর পূর্বের মানুষের অস্তিত্ব প্রমাণ পেয়েছে। ধারণা করা হয় তৎকালীন মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল এই ডেথ ভ্যালি। “Timbisha Shoshone Native” নামক আমেরিকান এক উপজাতি ১০০০ বছর পূর্বে এখানে বসবাস করত। ১৯৩৩ সালে প্রেসিডেন্টের ঘোষণাবলে ডেথ ভ্যালি জাতীয় স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে স্থাপিত হয়।

Science Bee Daily Science ডেথ ভ্যালি

আরওপড়ুন

‘রামসে হান্ট সিনড্রোম’? কেনো এবং কাদের হয় এই জটিল ব্যাধি?

মায়ের মৃত্যুর ১২৩ দিন পর জন্ম নিল শিশু, কিন্তু কিভাবে?

ভূমিকম্প হবে? আপনাকে জানিয়ে দেবে ঘরে থাকা ইঁদুর বা পোষা কুকুরটিই!

পৃথিবীর অস্বাভাবিক দ্রুত ঘূর্ণন: ৫০ বছরে সবচেয়ে ছোট বছর ছিলো ২০২১!

১৯১৩ সালের ১০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া ব্যুরো ডেথ ভ্যালির ফার্নেস ক্রিকের উচ্চ তাপমাত্রা ১৩৪°F (৫৬.৭ °C) রেকর্ড করে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ বায়ু তাপমাত্রা। (বায়ুর তাপমাত্রা হল বাতাসের উষ্ণতা বা শীতলতার পরিমাপ।) আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এখানকার ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাতাসের তাপমাত্রা অপেক্ষা দ্বিগুণ, ১৯৭২ সালের রেকর্ড করা তথ্য অনুসারে এখানকার ভূ পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ২০০°F। এখানে গরম এতটাই বেশি যে শরীর থেকে ঘাম নিঃসৃত হচ্ছে বিষয়টি লক্ষ্য করার আগেই তা বাষ্পীভূত হয়ে যায়, যার কারণে শরীর থেকে যে ঘাম বের হচ্ছে সেটি সহজে বোঝা যায় না।

এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয় 5 সেন্টিমিটারেরও কম, যার কারণে এখানে জলাশয়ের হদিশ পাওয়া মরীচিকার মত।পানির অভাব ডেথ ভ্যালিকে মরুভূমি বানালেও জায়গাটি মোটেও প্রাণহীন নয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে এখানে ১০০০ এর অধিক প্রজাতির গাছগাছালি, ৫১ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬৩০ প্রজাতির পাখি, কিছু অতি বিরল প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। এত বৈরী পরিবেশ হওয়া সত্বেও এখানকার ভৌগলিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্য উপভোগ করতে বছরে লক্ষাধিক পর্যটকের আবির্ভাব ঘটে ডেথ ভ্যালিতে। ১৯৯৪ সালে ডেথ ভ্যালিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ন্যাশনাল পার্ক স্থাপন করা হয়। 

Science Bee Daily Science ডেথ ভ্যালি

ডেথ ভ্যালির নাম ডেথ ভ্যালি হলো কীভাবে:

রুক্ষতা, নিষ্প্রাণতার জন্য এর এমন নামকরণ করা হয়েছে বললে ভুল হবে না। এটি বিশ্বের সব থেকে উষ্ণ এবং রুক্ষতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। তবে ডেথ ভ্যালির ডেথ ভ্যালি হবার পেছনে একটি কাহিনী কথিত আছে। কাহিনীটি অনেকটা এরকম যে, ১৮৪৯ সালে একদল স্বর্ণ সন্ধানী ডেথ ভ্যালির মরুভূমি পার হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় স্বর্ণের সন্ধানে যেতে চেয়েছিল। পথিমধ্যে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজন সহযাত্রীর মৃত্যু ঘটে এবং বাকিদের মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের একজন মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ফিরে আসার সময় পিছে তাকিয়ে বলে, ‘বিদায়, মৃত্যু উপত্যকা।’ সেই থেকেই এটি মৃত্যু উপত্যকা বা ডেথ ভ্যালি হিসেবে পরিচিত।

ডেথ ভ্যালির প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক বৈচিত্র্য:

মে মাস হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেথ ভ্যালি ভ্রমণের অনুপযুক্ত পরিবেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে, তবে নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে পরিস্থিতি অনুকূলে চলে আসে। তারমধ্যে ফেব্রুয়ারি মাস হল ডেথ ভ্যালি ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ সে সময়ে স্থানটি তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৭২ ডিগ্রী ফারেনহাইট এবং সর্বনিম্ন ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে আসে। এখানে আছে ২৫ – ৫০ হাজার বছর পূর্বে গঠিত লবণের কঠিন আবরণ দ্বারা আচ্ছাদিত খ্যাতনামা “Devil’s Hole” এবং “Telescope Peak” যা ডেথ ভ্যালিপার্কের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে খ্যাত, যার উচ্চতা প্রায় ৩৩৬৬ মিটার।

1. বরফের ন্যায় লবণের আস্তরণ: ডেথ ভ্যালির ব্যাডওয়াটার বেসিন, উত্তর আমেরিকার সর্বনিম্ন বিন্দু (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮২ ফুট নিচু), একটি মরিচিকার মত প্রাকৃতিক দৃশ্যের অবতারণা করে। অনেক দর্শনার্থী এই উত্তপ্ত উপত্যকার মেঝের পুরু লবণের আস্তরণকে  তুষার আচ্ছাদিত বলে ভুল করে  থাকেন। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ লবণ এখানে এলো কীভাবে?  শিলায় থাকা দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ বৃষ্টির পানির মাধ্যমে ব্যাডওয়াটার বেসিনে অস্থায়ী হ্রদ গঠন করে। জল বাষ্পীভূত হওয়ার সাথে সাথে খনিজ গুলি ঘনীভূত হতে হতে লবণের পুরু আস্তরণ তৈরি করে। 

Science Bee Daily Science ডেথ ভ্যালি

2. ডেথ ভ্যালির অসহনীয় তাপমাত্রা: রেকর্ড অনুসারে ২০১৮ সালের জুলাই মাসটি ছিল ডেথ ভ্যালির সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। গড় তাপমাত্রা ছিল ১০৮.১⁰F। টানা চার দিনের তাপমাত্রা ছিল ১২৭⁰F। নিরাপদ পরিদর্শনের জন্য কিছু টিপস মেনে চললে ডেথ ভ্যালির বৈরী পরিবেশের সাথে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যাবে। যেমন: প্রচুর জল পান করা, জলখাবার খাওয়া, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে কার্যকলাপ সীমিত করা এবং উচ্চতর, শীতল উচ্চতায় ভিউপয়েন্ট পরিদর্শন করা।

3. বন্য ফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য: বসন্তে ডেথ ভ্যালি যেন তার নামের বিপরীতে রঙ এবং জীবন নিয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে। অনুকূল পরিবেশে পাহাড় এবং উপত্যকা গুলি সোনা, বেগুনি, গোলাপী বা সাদা ফুলের সমারোহে ভরে ওঠে।

4. ডেথ ভ্যালির Sailing Stones এর ভুতুড়ে রহস্য: Racetrack Playa-র সেইলিং স্টোন বা স্লাইডিং স্টোন বা মুভিং স্টোন এর বিশ্বয়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের প্রথম নজরে আসে ১৯৪৮ সালে।মানুষ বা কোন প্রাণীর সংস্পর্শ ছাড়াই কয়েক ইঞ্চি থেকে শত মিটার পর্যন্ত নিজে থেকে সরে যাবার সময় পাতলা কাদার স্তরে রেখে যায় স্থান পরিবর্তনের ছাপ। পাথরগুলোর  এক একটি  কয়েক বছর ধরে চলমান থাকে এবং কিছু কিছু পাথরের ওজন ৭০০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়। পাথরগুলি যে কেবল সরল পথেই চলে এমনটি নয় কোন  কোনটি বাঁকানো পথেও পরিভ্রমণ করে। এমনও হয় যে দুটি পাথর সমান্তরালে কিছুদূর চলার পর ঠিক বিপরীত দিকে তাদের দিক পরিবর্তন করে।এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে তারা এক স্তান থেকে অন্য স্থানে যায়? পাথরের ট্রেইলে রেখে যাওয়া সূক্ষ্ণ ছাপ থেকে বোঝা যায় পাথরগুলো এমন সময়ে স্থান পরিবর্তন করে যখন উপত্যকায় পাতলা কাদামাটির আস্তরণ থাকে। মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তনের কোনো চিহ্ন  কাদায় পাওয়া যায় নি।

Science Bee Daily Science ডেথ ভ্যালি

১৯৫৫ সালে M. Stanley প্রথমবারের মতো মত প্রকাশ করেন রেস প্রায়া, ডেথ ভ্যালিতে বন্যার পর সৃষ্ট বরফের কারনে পাথর স্থান পরিবর্তন করে। বছরের কোন সময় প্রায়া ভ্যালি ৭ সে.মি. পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গিয়ে রাতে যখন  তাপমাত্রা হীমাংকের নিচে নেমে গিয়ে বরফের পাতলা আস্তরণ পরে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে বরফ গলে গিয়ে পিচ্ছিল পৃষ্ঠের তৈরি করে। বাতাস পিচ্ছিল পৃষ্ঠের উপর দিয়ে পাথরকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যা নীচের নরম কাদার মধ্যে ট্রেইল ছেড়ে যায়। 

১৯৭৬ সালে Robert Sharp এবং Dwight Carey M. Stanley এর আইস-সিট মতবাদে দ্বিমত পোষণ করেন। তারা পাথরের চলার পথের ধরণ ও জ্যামিতিক বিশ্লেষণ করে একাধিক ট্র্যাকের মাঝে সম্পর্ক দেখতে পান যেটি বরফ খন্দের দ্বারা ঘটা সম্ভব নয়।তারা মত প্রকাশ করেন বছরের নির্দিষ্ট সময় এ নির্দিষ্ট আবহাওয়ায় বাতাসের কারণে পাথরগুলো সরে যায় যেটি প্রতি বছর বা দু বছর অন্তর অন্তর ঘটে থাকে। ১৯৯৫ সালে John B. Raid এবং Hampshire College এর ভূ-তাত্বিকগণ Sharp & Carey মতবাদ এর সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। আশির দশকের শেষ হতে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে M. Stanley এর আইস-সিট মতবাদকে সাপোর্ট করেন। 

আধুনিক জিপিএস ট্র্যাকিং নির্ভর স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তনের সময় গতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেলেও তাদের স্থান পরিবর্তন এখনো রহস্য আবৃত। বিশেষ করে আপস্ট্রিমে পাথরের স্থান পরিবর্তনের সঠিক ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি।

5. গান গাওয়া বালি: বালির উঁচু উঁচু টিলা গুলি ডেথ ভ্যালির একটি ছোট অংশ। বালির টিলাগুলির শীর্ষে, আপনি মরুভূমির একটি অদ্ভুত ঘটনা অনুভব করতে পারেন: গান গাওয়া বালি।  উঁচু টিলার উপর থেকে বালির কণাগুলো নিচে পড়ে যাবার সময় অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়। এই ঘটনার কারণ আজও অজানা, তবে অনুমান করা হয় বালির কনার মধ্যে ঘর্ষণের জন্য এমনটি ঘটে। পৃথিবীতে আরো কয়েকটি জায়গায়  এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যায়।

6. ডেভিলস গলফ কোর্স: ব্যাডওয়াটার এবং ফার্নেস ক্রিকের মধ্যে ড্রাইভের আরেকটি ছোট স্টপ হল ডেভিলস গলফ কোর্স। ডেভিলস গল্ফ কোর্সের নামটি ৩০ এর দশকে সংগৃহীত   একটি গাইডে প্রথম উল্লেখ পাওয়া,যেখানে এ স্থানটি সম্পর্কে এলটি উক্তির উল্লেখ পাওয়া যায় “শুধুমাত্র শয়তানই এই জাতীয় পৃষ্ঠে গল্ফ খেলতে পারে।”

গলফ কোর্স

7. বহুরঙা, ক্ষয়প্রাপ্ত পাহাড়ে ঘেরা আর্টিস্ট ড্রাইভ: বহু রঙের, ক্ষয়প্রাপ্ত পাহাড়ের একটি অবিশ্বাস্য এলাকা আর্টিস্ট ড্রাইভ। পাহাড়ে প্রাকৃতিক ধাতব অক্সিডেশনের কারণে জমে  সবুজ, নীল এবং বেগুনি রঙের চমত্কার দাগ তৈরি  করেছে যা দেখতে একজন চিত্রশিল্পীর রঙিন প্যালেটের মতো। 

Science Bee Daily Science ডেথ ভ্যালি

8. বিস্ময় উদ্রেককারী  উবেহে ক্রেটার: প্রায় ৬০০ ফুট গভীর এবং আধা মাইল প্রশস্ত,  বিশাল এই গর্তটি  প্রায় ২১০০ বছর আগে গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। স্থানীয় নেটিভ আমেরিকান উপজাতিরা এই গর্তটির নাম দিয়েছে  “Tem-pin-tta- Wo’sah”(টেম-পিন-টা-ওসাহ), যার অর্থ কোয়োটের ঝুড়ি। 

উবাহ ক্রেটার

9. ডেভিলস হোল পাপ ফিশ: মরুভূমিতে মাছ! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ডেথ ভ্যালিতে ছয় প্রজাতির মাছ পাওয়া গেছে যা কঠিন এই মরুভূমির লবণাক্ত পানিতে বেঁচে থাকতে পারে। তাদের মধ্যে একটি হলো বিপন্ন ডেভিলস হোল পাপফিশ। এটি শুধুমাত্র ডেভিল হোলের ৯৩ ডিগ্রি জলে থাকে, যেখানে জলের তাপমাত্রা এবং অক্সিজেনের ঘনত্ব বেশিরভাগ অন্যান্য মাছের জন্য প্রাণঘাতী। এই ইঞ্চি-লম্বা ইরিডিসেন্ট ব্লু পাপ ফিশ গুলি বিশ্বের বিরল মাছ গুলির মধ্যে একটি।

পাফ ফিশ

বছরে প্রায় লক্ষাধিক ভ্রমণ বিলাসী পর্যটক এর আবির্ভাব ঘটে ডেথ ভ্যালিতে। এর মধ্যে  ২০১৪ সালে রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ পর্যটকর ভিজিট করতে আসে এখানে। আমরা যারা হলিউড মুভি দেখতে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে “Star Wars” মুভি সিরিজের নাম শুনে নাই এমন দর্শক হয়তো খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। এই মুভির স্পেশাল Episode IV – A New Hope এবং Episode VI – Return of The Jedi  এর অন্তর্গত অনেক লোকেশনের শ্যুট করা হয় এখানে। শুধুমাত্র ডেথ ভ্যালিকে নিয়েই ডজন খানের সিনেমা এবং টিভি সিরিজ বানানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক/ মোঃ গালীব হাসান

তথ্যসূত্র: U.S. Department of the Interior, earthsky.org

আপনার অনুভূতি কী?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
1
+1
2
+1
0
+1
1
ট্যাগ: Death ValleyDevil's HoleTelescope Peakঅদ্ভুতআগ্নেয়গিরিআর্টিস্ট ড্রাইভইরিডিসেন্ট ব্লু পাপ ফিশউষ্ণতম স্থানকোথায় চলমান পাথর দেখা গেছে?ক্যালিফোর্নিয়াক্যালিফোর্নিয়ার Death Valleyগ্রেট বেসিনচলমান পাথর কী আসলেই সম্ভব?ডেথ ভ্যালি মরুভূমিডেভিলস গলফ কোর্সনেভাডাপৃথিবীর উষ্ণতম স্থানবালির গানবালির ভুতুড়ে সংগীতবালির রহস্যময় সংগীতবিরল প্রজাতির মাছবিশালাকার আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের চিহ্নভুতুড়েভুতুড়ে চলমান পাথরমরুভূমিমৃত্যু উপত্যকারঙিন উপত্যকারঙিন পাহাড়
Science Bee Online

Science Bee Online

বিজ্ঞান,প্রযুক্তি ও রিসার্চের সর্বশেষ সংবাদ এখন আপনার হাতের মুঠোয়।এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।

টপিকস

কেন তারা এবার রসায়নে নোবেল পেল?

Science Bee
অক্টোবর ১০, ২০১৯
4
কেন তারা এবার রসায়নে নোবেল পেল?
প্রযুক্তি

এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন জন গুডেনাফ,স্ট্যানলি হুইটিংহাম,আকিরা ইয়োশিনো।লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির উন্নতিকল্পে কাজ করে এ পুরস্কার পেলেন তাঁরা।...

বিস্তারিত পড়ুন

প্রথমবার বিজ্ঞানীরা এমন প্রাণি খুঁজে পেয়েছেন যার অক্সিজেন প্রয়োজন নেই

Science Bee
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
0
প্রথমবার বিজ্ঞানীরা এমন প্রাণি খুঁজে পেয়েছেন যার অক্সিজেন প্রয়োজন নেই
জীববিজ্ঞান

প্রথমবারের মত বিজ্ঞানীরা এমন প্রাণি খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার জন্য যার অক্সিজেন প্রয়োজন নেই! মিসোজোয়া শ্রেণিভুক্ত পরজীবী Henneguya salminicola পৃথিবীর...

বিস্তারিত পড়ুন

সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দিলে হাসি পায় কেন?

Science Bee Online
জানুয়ারি ৩, ২০২২
0
কাতুকুতু দিলে হাসি পায় কেন
জীববিজ্ঞান

কাউকে সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দিলে হাসি পায় কেন? - হঠাৎ করে হাসানোর অন্যতম মাধ্যম হল সুড়সুড়ি বা কাতুকুতু দেওয়া। মনে করেন...

বিস্তারিত পড়ুন
footer_logo    

বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম “ডেইলি সায়েন্স” সায়েন্স বী এর একটি অন্যতম অনুষঙ্গ প্রোগ্রাম। এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল সংবাদ, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার আইনত ও নৈতিকভাবে বেআইনি।

   

যা গুরুত্বপূর্ণ


  • যোগাযোগ করুন
  • প্রশ্ন ভাণ্ডার
  • বী ব্লগ
  • অফিসিয়াল পেইজ

আরও…


  • আমাদের সম্পর্কে
  • যুক্ত হোন
  • অফিসিয়াল গ্রুপ
  • আমাদের টীম

প্রধান সম্পাদক


মবিন সিকদার

 

বার্তা সমন্বয়ক


সাদিয়া বিনতে চৌধুরী

অন্বেষা শতাব্দী

 
 

© Science Bee Bangladesh. 2020 All rights reserved.

Designed & Developed By Mobin Sikder

কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাওয়া যায়নি
সবগুলো রেজাল্ট দেখুন
  • ২১ শতক
  • অন্যান্য
  • আত্মউন্নয়ন
  • ইতিহাস
  • গেমস এন্ড সফটওয়্যার
  • টিপস
  • তারুণ্য
  • দেশান্তর
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বইয়ের দুনিয়া
  • উদ্যোগ
  • ক্যাম্পাস টাইম
  • টপিকস
  • জীববিজ্ঞান
  • পদার্থবিজ্ঞান
  • রসায়ন
  • পরিবেশ
  • প্রযুক্তি
  • মহাকাশবিজ্ঞান
  • স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
  • করোনাভাইরাস

Copyright © 2020 Science Bee.

error: Alert: Content is protected !!